৫ টি সফল মানুষের অভ্যাস
সফল মানুষের অভ্যাস জানতে হলে আগে তাদের সম্পর্কে জানতে হবে আমাদের। বিল গেটস কিংবা জ্যাক মা তারা ভুল ক্রমে তাদের সফল জায়গায় আসে নি। তারা তাদেরে যোগ্যতা দিয়ে এসেছে তাদরে স্থানে।
বিল গেটস কিংবা স্টিভ জবস যাদের নামই নি না কেন আমরা।তাদরে অভ্যাস কিন্তু প্রাই সেম। তারা হারতে জানে না। তারা পরিবতর্নে বিশ্বাসী।
বিল গেটস বলুন বা জ্যাক মা বলুন তারা জীবনের আসল রহস্য খুঁজে পেয়েছে জীবনের। তাই তারা সফল মানুষের স্থানে রয়েছে।
সফল মানুষের অভ্যাস কি?সফল মানুষের প্রথম অভ্যাস হলো কাজ করা। সফল ব্যাক্তিরা হাল ছেড়ে দেয় না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সফল হচ্ছেনা ততক্ষণ পর্যন্ত তারা কাজ করে যায়।
কাজ হলো সফলতা চাবিকাঠি। কথায় আছে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে।এই কথায় উপর ভিত্তি করে কাজ করে যান তারা।
আপনিও যদি কাজ করতে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সফল হচ্ছেন তাহলে দেখবেন একদিন আপনি ও সফলতার সিঁড়িতে পৌঁছে যাবেন।
Table of Contents
সফল মানুষ কিসে বিশ্বাসী?
সফল মানুষ কাজে বিশ্বাসী।তারা কাজ ছাড়া কিছু বুঝে না। তাদের প্রতিদিন এর নিদিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে।তাদরে ডেইলি একটা গোল থাকে আজকে এটা পূরণ করতে হবে যেমন করে হোক না কেন।
সফল ব্যক্তিরা অন্ধ্রভক্ত না। মানুষ আমাকে এটা বলবে নাকি ওইটা বলবে তারা ঐসবে কান দেয় না।
তাদের একটাই লক্ষ্য আমার টার্গেট আমাকেই পূরণ করতে হবে। জ্যাক মা’র একটা ঘটনা থেকে আমরা জানতে পারি।
জ্যাক মা একবার সাংবাদিক দের এক প্রশ্ন জবাবে তার উওরে বলেছেন। আমি যখন আলিবাবা শুরু করতে আমেরিকায় গিয়েছিলাম। তখন তো চীনে ইন্টারনেট ও ছিলো না।
আমেরিকার এক বন্ধুর কম্পিউটারে সে সার্চ করলে পান্ডা, অনেক পান্ডার ছবি আসলে। তবে তার বন্ধুকে বলেছে চাইনিজ পান্ডার ছবি সার্চ করতে একটা রেজাল্ট ও আসলে না। তখনই জ্যাক মা বুঝেছে চীনে আলিবাবা ভবিষ্যৎ অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ওই দিন থেকে সে লাগাতার পরিশ্রম এর ফলে আলিবাবাকে আজকের পজিশনে নিয়ে এসেছে।সুযোগ কখন আসবে সেটা তো কেউ জানে না। সুযোগ যদি আমরা পাই সেটাকে আমরা কাজে লাগাতে না পারলে কোন দিন সফলতার ধারপান্তে ও যেতে পারবো না।
সফল মানুষ কেন পরিবতর্ন চাই?
পরিবর্তন তো হতে হবে। যদি পরিবতর্ন না আসে তাহলে আপনার সামনের দিন তো আরও অন্ধকার হবে। সফল মানুষেরা থেমে থাকতে চাই না।
তারা শুধু এগোতে চাই সামনের দিকে। সামনে এগোলে তো পরিবতর্ন এর দিকে যেতে হবে। পরিবতর্ন অনিবার্য হয়ে যায় অনেক কারণে। মনে করুণ একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ সারাদিন নেশাই লিপ্ত থাকে।
সে যদি নেশা ছেড়ে না দেয়। সে কোনদিনও এটা থেকে বাহির হতে পারবে।অবশ্যাই পারবে না। তাকে নেশা ছেড়ে দিতে হলে পরিবতর্নে এর দিকে যেতে হবে।ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।ডাক্তার কি বলে, ডাক্তার এর ঔষুধ নিয়মিত সেবন করতে হবে।
তাহলে সেই নেশাগ্রস্ত মানুষটি নেশা মুক্ত হতে পারবে।এটা একটা তার জন্য পরিবতর্ন। ধরুন কোন এক SSC শিক্ষারত একজন ছাত্র পরীক্ষায় ফেল করেছে। সে যদি ফেল করেছে এটা নিয়ে বসে থাকে তাহলে তো তার জীবন তে সেখানেই শেষ হয়ে যেতো।
আসলে জীবন কারও জন্য থেমে থাকে না। জীবন হলো পরিবতর্ন শীল, জীবনে অনেক দুঃখ থাকবে তাই বলে জীবন শেষ না।
জীবনে পরিবতর্ন নিয়ে আসাটা হলো লক্ষ্য। জীবন জীবনের মতো থাকবে, এই জীবনের চালক হলো আপনি। আপনি যেভাবে চালাবেন সেইভাবে চলবে জীবন।
সফল মানুষের অভ্যাস ও আমাদের মধ্যে পার্থক্য কি
সফল মানুষের প্রতিদিন গোল সম্পর্কে অবগত থাকে। তারা জানে প্রতিদিন এর গোল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের গোল সম্পর্কে কোন আইডিয়া ও নেই। গোল কাকে বলে, গোল কেন প্রয়োজন সেটা আমরা জানি না।
তারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে একটা নিদিষ্ট সময়ে ওঠে এবং নিদিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে যায়। আমাদের ঘুম থেকে ওঠার কোন ঠিকঠিকানা থাকে না।
তাদের ডেইলি রুটিন সেট থাকে। শুধু ডেইলি রুটিন না, খাবারের মেনু থেকে শুরু করে কখন খাবে, কখন ঘুমাবে সব ঠিক থাকে। আমাদের কোন ডেইলি রুটিন নিয়ে চিন্তা ও থাকে না। আমাদের খাবার থেকে শুরু করে কোন কিছুর হিসাব থাকে না।
তারা প্রতিদিন ১ ঘন্টা মতো বই পড়ে। এবল রেগুলার এক্সারসাইজ করে যা আমরা কিছুতেই করি না। সফল মানুষ যা যা করে আমরা সেটা করি না। মূলত এগুলোই হচ্ছে সফল এবং আমাদের মধ্যে পার্থক্য।
সফল মানুষের ৫টি অভ্যাস গুলো কি কি?
সফল মানুষের দৈনিক যে অভ্যাস গুলো গড়ে তুলেছে সেটা যদি আপনি আমি করতে না পরলে সেখানে পৌছাতে পারবো না।
সফল মানুষের ৫ টি অভ্যাসের তালিকা আপনাদের কে শেয়ার করলাম যা কাজে আসবে।
১. নিজের উপর বিশ্বাস রাখা:
নিজের স্বপ্ন যদি বাস্তবায়ন করতে চান তাহলে।নিজের উপর অটল বিশ্বাস রাখতে হবে আমি এটা পারবো। নিজের উপর বিশ্বাস না থাকলে জীবনে চলা অনেক কঠিন হয়ে যায়।
আত্মবিশ্বাস ও সাফল্যের উপর চিন্তার জন্য নিজেকে সব সময় নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন আর বলুন আমি সব পারবো। দেখবেন সব জিনিশ সহজ হয়ে যাবে।কোন কিছু করতে গেলে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস নাই সব কিছু নিজের থেকে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাবে।
আপনার আশেপাশে যে বন্ধু পরীক্ষায় ভালো করেছে তাদের থেকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন সে পরীক্ষায় এতো ভালো কেন করেছে। সে আপনাকে বলবে নিজের ওপর বিশ্বাস ছিলো এবং অধ্যয়ন করেছি, অনুশীলন করেছি এবং অন্যদের চেয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি, এবং এভাবেই আমি যেখানে আছি সেখানে পৌঁছেছি।
২.নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করা:
আমাদের মস্তিষ্ক একটা লক্ষ্য স্থির থাকতে পারে না।বিভিন্ন দিকে ছুড়তে থাকে। নিজের মস্তিষ্ক কন্ট্রোল করা অনেক প্রয়োজন। আমাদের মস্তিষ্ক কন্ট্রোল করতে না পারলে আমরা সফল হতে পারবো না।
কোন কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেটার ওপর ফোকাস করে কাজ করতে হবে আমাদের।যারা সফল হয়েছেন তারা জানে কি করে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। আপনি ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন দেখবেন সফলতার কাছে আস্তে আস্তে চলে যাবেন।
নতুন অবস্থায় বড় কোন লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন না। ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে বড় বড় লক্ষ্যের দিকে যেতে হবে। আপনি যদি আপনার মস্তিষ্ক কে একটা লক্ষ্যের দিকে ঝুঁকতে বলেন দেখবেন আপনার মস্তিষ্ক নিখুঁত ভাবে কাজ করবে।
৩. অন্যের থেকে বেশি জানা:
আপনি যদি কোন বিজনেস ঠিকে থাকতে চান তাহলে অন্যের থেকে বেশি জানতে হবে। আপনার কম্পিটিশন যেটা করতেছে সেটা আপনি না করে আরও ইউনিক ভাবে কাজ করে তার থেকে এগিয়ে থাকতে পারবেন।
বেশি জানতে হলে আপনাকে বই, বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট, পেপার পত্রিকা ইত্যাদি রেগুলার পড়তে হবে। আমাদের ওয়েবসাইট রেগুলার ভিজিট করুন দেখবেন আপনি নিজেকে আরও স্কিল ফুল একজন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন।
আরও পড়তে পারেন:
সফলতা কি? মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ভিতরে লুকিয়ে থাকে সফলতা
কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়
জ্যাক মা: একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষের সফলতার গল্প
৪. একশন নেওয়া:
একজন সাকসেসফুল মানুষ একশন নিতে জানে। তারা একশন নিতে ভুল করে না। সঠিক সময়ে সঠিক একশন নেওয়া টা হলো একজন সফল ব্যক্তির কাজ। আপনি যা জানেন সেটা যদি সফল ভাবে করতে না পারেন সেটার মূল্য কিন্ত কেউ দিবে না আপনাকে।
আপনি যেটা জানেন সেটাকে ছোট ছোট টার্গেট করে, ছোট ছোট কাজে বিভক্ত করে একশন নিলে আপনি আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবেন।
একটি সঠিক একশন আপনার টার্গেটে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। নিজের উপর ভরসা রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যদি আপনি গভীরভাবে সচেতন মূলক পদক্ষেপ না নিয়ে বেরিয়ে আসলে সেটা হবে আপনার ভুল।
আপনি যখন পদক্ষেপ নেন, তখন আপনি সমস্ত জিনিসগুলিকে একদিকে ফাইন্ডআউট করে সেটাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকে।
অভিজ্ঞতা এমন একটা জিনিস, যেটা বই পুস্তক ও আপনাকে শিখাবে না।অভিজ্ঞতার জন্য নিজেকে তৈরী করতে হয় বিভিন্ন ধরনের একশনের মাধ্যামে।
৫. প্রশংসা করা:
আপনার সহকর্মী বা সহকারীদেরকে আপনি প্রশংসা করুন। একটা কোম্পানির মূল কারিগর হলো ঐই কোম্পানির স্টাফরা। তাদের এক্টিভিটি ভালো হলে সেই কোম্পানি উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।
আপনি যখন কাউকে প্রশংসা করবেন দেখবেন তার মুখ হাসিখুশি থাকবে এবং এক্টিভিটি অনেক এগিয়ে যাবে। সবসময় মানুষকে খুশি রাখবেন দেখবেন আপনি নিজেও হাসিমাখা জীবন গড়তে পারবেন।
এই ৫ টি অভ্যাস আপনি পরিবতর্ন আনতে চেষ্টা করুন দেখবেন আপনার জীবনের এক্টিভিটি কতটা পরিবতর্ন আনে। এখান থেকে আপনার কোনটা ভালো লেগেছে সেটা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমাদের Whatsapp Channel জয়েন করতে পারেন।