নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়
নিজের পথ নিজেকে তৈরী করতে হয় সেটা যতই কঠিন হোকনা কেন। নিজেকে একটিভ রাখতে নিজের রাস্তা আগে থেকে তৈরী করে রাখা উচিত। হয়তো আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার সাথে পড়া অনেক বন্ধু আপনার চাইতে অনেক এগিয়ে গেছে আপনি পিছিয়ে পড়েছেন কোন না কোন ভাবে।
আপনি নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন তো আপনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট?হয়তো হ্যা কিংবা না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে না হওয়ার সম্ভবনা বেশি।আপনি কেন আপনার জীবন নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট না। এটার উওর হয়তো আপনি খুঁজতেছেন। আপনাকে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করে দি আপনি এটা নিয়ে নিজের প্রশ্ন গুলো মিলিয়ে নিবেন।
সবাই চাই ভালো একটা জীবন তৈরী করতে কিন্তু পারে না কারণ তার কাছে অর্থ নেই। তার ফাইন্যান্সিয়াল এতো ভালো না তাই উন্নত জীবন করতে পারে না সে। আপনার লাইফ পরিবর্তন করতে হলে আপনাকে নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে।
সবসময় ইতিবাচক জিনিস নিয়ে চিন্তা করতে হবে।কিভাবে নিজের লাইফস্টাইল পরিবর্তন আনবেন এসব নিয়ে অনেক আগেই পোস্ট করা হয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ডেইলি ১৫ মিনিট করে ভিজিট করুন আপনার লাইফ পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে আমাদের ওয়েবসাইট।
Table of Contents
নিজের পথ নিজের তৈরি করতে হবে
সত্যি নিজের পথ নিজেকে তৈরী করতে হবে। নিজের পুরনো সব অভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলুন। যেমনঃ দেরী করে ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে এটাকে সকালে নিয়ে আনুন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা অনেক আছে। আপনি কেন সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতে পারেন না। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে ফেলুন কি করে সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারবেন।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম উঠতে করনীয় কি সবই আমাদের ওয়েবসাইট পাবলিশ করা হয়েছে অনেক আগে থেকে।মনে রাখবেন একটা ভালো অভ্যাস আপনাকে অনেক কিছু চেঞ্জ আনতে সাহায্য করবে। ভালো জিনিস আপনালে পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে।খারাপ জিনিস করবে না। যা করবো তাড়াতাড়ি করবো, যা খাবো তাড়াতাড়ি খাবো।
এই ছোট্ট জীবনে পরিবর্তন বলেন, সুখি বলেন সবই একসাথে করতে হবে আমাদেরকে আমাদের একটাই জীবন, একটাই লড়াই। এমন কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো পরিবর্তন করলে লাইফটা অনেকটা গুছানো হয়ে যাবে।
নিচের এই পরিবর্তন গুলো করতে চেষ্টা করুন! দেখবেন নিজের রাস্তা নিজে থেকে তৈরী হয়ে যাবে
১ নিজর যত্ন নেওয়া!
নিজের যত্ন নেওয়া বলতে আমরা কি বুঝি। প্রতিদিন ৩ বেলা খাওয়া আর ঠিক মতো অফিস করা এগুলো বুঝি আসলে এগুলো কিছুই না। নিজের যত্ন বলতে নিজের শরীর অবস্থা টা বুঝা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। ঘুম থেকে ওঠে সময় মতো নাস্তা করে, ভালো পোশাক পরে আপনি যখন বাহির হবেন দেখবেন আপনার কতটা ভালো লাগে।
২ সময়ের কাজ সময় মতো করা
সময়ের কাজ সময় মতো করতে পারলে তাহলে আপনি সফল হবেন।আমরা সময়ের কাজ সময় মতো করতে পারি না কারণ আমরা অগোছালো বা আমাদের রুটিন ঠিক থাকে না।
আমাদের রুটিনই যদি ঠিক না থাকো তাহলে আমরা সফল হবো কি করে বলুন তো।ভালো রুটিন তৈরি করতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিন।আমরা আপনাকে সাহায্যে করবো সবসময় আপনার গোল বা আপনাকে পরিবর্তন আনতে।
৩ হাসিমুখে থাকা!
একটা হাসির জন্য মানুষ অনেক কিছু করতে পারে।আপনি যদি ডিপ্রেশনে থাকেন তাহলে আপনার জীবন থেকে হাসিটাই চলে যাবে। হাসিমুখে কারও সাথে কথা বললে দেখবেন সবাই আপনাকে পছন্দ করবে। হাসিমুখে কথা বলে অনেক কিছু আদায় করে নেওয়া যায়।হাসতে টাকা লাগো না, ভালো মতো হাসলে শরীর সুস্থ থাকে।মনে করুন আপনার হাসিটা তেমন সুন্দর না তাহলে আপনি হাসি বন্ধ করবেন।
অবশ্য না। আরেক জনের জন্য নিজেকে কোন মতো কিছু করবেন না।হাসিমুখে কথা বললে অনেক কিছু ভালো লাগে।
৪ ভালো কাজে নিজেকে উৎসাহ করা
সমালোচনা নয়, নিজেকে উৎসাহ করুন। কখনো নিজেকে বড় ভাববেন না।কেউ আপনার থেকে মতামত চাইলে আপনি উৎসাহ করুন তাঁকে ইনসাল্ট করবেন না।
যদি কাউকে ভালো বলতে না পারেন তাহলে খারাপ ও কোন দিন ও বলবেন না। ভালোর সাথে ভালো কাজ খারাপের সাথে খারাপ কাজ। কেউ ডিপ্রেশন অবস্থায় আপনার থেকে হেল্প চাইছে আপনি যতটুকু পারেন সহোযোগিতা করুন। আপনার একটু সাহায্য দেখবেন ওই ব্যাক্তির অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে।
৫ মন দিয়ে শুনুন
মন দিয়ে শুনুন প্রাণ দিয়ে কাজ করুন। কাজ করতে হলে আগে কাজটা বুঝতে হবে তারপর কাজটা করুন ঠিক মতো। শ্রোতা হওয়া এতটা সহজ নয়।একজন ভালো শ্রোতায় পারে নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা মানুষকে জাগ্রত করতে। আপনাকে কেউ বলতে চাইলে মন দিয়ে তার কথা শুনুন।
৬ ব্যায়াম করুন!
ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন ২৫-৩৫ মিনিট ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে নতুন একটা হরমোন সৃষ্টি হবে যা আপনাকে সামনো এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। আপনি কি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন কিছু না কিছু জিনিস একেকটার সাথে কানেক্টেড।
আপনি ব্যায়াম করতেছেন, আপনার নতুন একটা অভ্যাস এবং হরমোন তৈরি হচ্ছে নিজের পথ চালার জন্য। নিজের রাস্তা নিজেকে বানাতে হয়।
সর্বশেষ আপনি কি বিষয় নিয়ে জানতো চান আমাদেরকে জানান আমরা আপনাকে সাহায্যে করবো। আপনার প্রশ্ন আমাদের সমাধান, আমি বিশ্বাস করি সব কিছুরই সমাধান রয়েছে। তবে কোন কিছু করতে গেলে লক্ষ্য রাখবেন নিজের সুবিধা অসুবিধা। নিজের পরিকল্পিত কাজে অন্যকে বাঁধা সৃষ্টি করতে দিবেন না। নিজেকে সুরক্ষা রাখুন নিজের যত্ন নিন যদি ভালো লাগে তাহলো বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
কিভাবে আমি নিজেকে অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবো
কি করে নিজেকে অন্যার সাথে গ্রহণযোগ্য করে তুলবো।গ্রহণযোগ্যতা গড়ে তুলতে হলে নিজেকে অন্যর থেকে ভিন্নতা করতে হবে। নিজেকে ইউনিক করে তুলতে হবে। কিছু কিছু জিনিস আছে যা আপনি ফলো করলে অন্যার কাছে আপনি অতিসহজেই গ্রহণতা পাবেন।
- অন্যের থেকে বেশি জানুন, কম কথা বলুন
- কাউকে বেশি আপনজন ভাববেন না, বাইরে কি হচ্ছে তাতে কান দেওয়া দরকার নেই।
- নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে কোন খারাপ কাজ করবেন না।
- নলেজের কাছে জান, জ্ঞানহীন মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
- কারো সাথে তর্ক জড়াবেন না।
- সফলতার পিছনে দৌড়াদৌড়ি করবেন না, সফল হওয়ার জন্য কাজ করুন। সফল হতে যা যা করতে হবে তা তা করুন।
- নিজেকে ডেইলি রুটিনে পরিবর্তন করুন।
- নিজের স্কিল ডেভলপ করতে চেষ্টা করুন।
- বর্তমান সময়ে স্কিল হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
- কারো ভুল ধরবেন না। নিজের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
- মুক্ত চিন্তা করুন।
- বই পড়ুন এবং ব্লগ লিখতে চেষ্টা করুন।
- নিজের মা- বাবা কে ভালোবাসুন।
- ছোটদের কে স্নেহ করুন, বড় দেরকে সম্মান করুন।
- কোন কিছু পরিবর্তন এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকেই পরিবর্তন আনা।
- টাকা আয় করতে চেষ্টা করুন, টাকায় সম্মানিতত করবে এই স্কিল এর সাথে।
- টাকায় কিন্তু সম্মান ভয়ে আনে না, টাকার সাথে সাথে এই সবই স্কিল লাগবে।
আপনার স্কিল পরিবর্তন করতে কিংবা নিজেকে মোটিভেট রাখতে আমাদের ওয়েবসাইট কে ফলো করুন।