স্বাবলম্বী হওয়ার উপায়
|

মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায়: কীভাবে একটি মেয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে

স্বাবলম্বী হওয়া এক ধরনের বেকারত্ব না বলা। আমাদের দেশে দিন বা দিন বেকারত্ব হার বাড়তেছে। সবাই চাই বেকারত্ব কে না বলতে কিন্তু পারতেছেনা কারণ তাদের মধ্যে এই সাহস টি নাই। কি করলে বেকারত্ব দূর হবে এবং স্বাবলম্বী হওয়া যাবে। কোন মানুষ যদি আর্থিক ভাবে দুর্বল থাকে তাহলে সবাই তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, সে যেন একটা বোঝা। আমাদের সমাজে অনেক কিছু না চাওয়া সত্বেও আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের দেশে ১৮ বছর না হওয়ার সত্বেও মেয়েদেরকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দেয়।এটা মূলত আর্থিক অবস্থা এবং সমাজের নিয়ম কানুনে এর জন্য বেশি হয়।

কোন মেয়ে যদি স্বাবলম্বী হতো তাহলে থাকে জোর করে বিয়ে বা তার অমতে কোন কিছু করতে পারতো না।মেয়েদের জন্য স্বাবলম্বী হওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়, যাতে তারা সমাজে নিজের অবস্থান মজবুত করতে পারে এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

স্বাবলম্বী বলতে কি বোঝাই? একজন ব্যক্তি নিজের জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম এবং অর্থনৈতিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে স্বাধীন হতে পারেন।নিজেই টাকা আয় করে নিজেকে সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সমাজ কিংবা পরিবারের কাছে। এই ব্লগ পোস্টটি তাদের জন্য যারা নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চাই।

একজন মেয়ে কি করে স্বাবলম্বী হবে?

স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে আপনি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন।যতই কষ্ট আসুক আপনি হার মানতে পারবেন না, হার মানলে আপনি সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন না।কথায় আছে নিজের খুঁটি শক্ত থাকলে কেউ কিছু করার সাহাস পাই না।

মেয়েদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ আছে যা তাদের স্বাবলম্বী হতে সহায়ক হতে পারে।

  • শিক্ষা: শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাই সব ধরনের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ভালো শিক্ষার মাধ্যমে একজন মেয়ে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারে, যা তার কর্মক্ষেত্রে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাহায্য করে।বাংলাদেশের গ্রামীণ মেয়েরা শিক্ষাটা তেমন করতে পারে না। পারিবারিক সমস্যা, সামাজিক সমস্যা,এলাকায় শিক্ষা নেওয়ায় মতো স্কুল এন্ড কলেজের সমস্যা।সমস্যার শেষ নাই! এটা থেকে বাহির হতে হবে যদি নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে গুছিয়ে রাখতে চান তো।প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সমস্যা লেগে থাকে যারা এই সমস্যা থেকে বাহির হতে পারে তারাই সফল হয়।
  • দক্ষতা উন্নয়ন: আমাদের দক্ষতার অভাব বেশি।আমরা নিজেদেরকে দক্ষ লোক হিসাবে গড়ে তুলতে পারি না। এটার মূল কারণ হলো ভালো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকে না আমাদের আশেপাশে। যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা যায় তাহলে অতি সহজেই স্বাবলম্বী হওয়ার যাই।কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হলো:
    • সেলাই
    • হস্তশিল্প
    • প্রযুক্তি
    • ডিজিটাল মার্কেটিং ও
    • মুরগী পালান ইত্যাদি।
  • ক্যারিয়ার পরিকল্পনা: ভালো ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের আগ্রহ ও দক্ষতার ভিত্তিতে পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করা উচিত। আপনাকে এক জায়গায় স্থির থাকতে হবে ক্যারিয়ার গঠন করার জন্য। আপনি যদি মনে করেন আজকে সেলাই এর কাজ শিখলাম কালকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করলাম, এর পরের দিন মুরগী পালান এর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলাম। এসব করলে আপনি একটাতেও দক্ষ হতে পারবেন না।যে কোন একটা বিষয়ে দক্ষ হয়ে কাজ করলে আপনি সফল হতে পারবেন।
  • সিদ্ধান্ত নেওয়া: অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক বিষয়ে মেয়েদের নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না।এই সিদ্ধান্ত সম্পন্ন পরিবারের কর্তার হয়ে থাকে। কোন মেয়ে যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুযোগ পাই তাহলে সেই মেয়েকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাস করে তুলবে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তঃ নিতে পারাটা একটা স্কিল। এই স্কিল অর্জনের জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

স্বাবলম্বী হতে হলে কি করতে হবে?

স্বাবলম্বী হতে হলে মেয়েদেরকে শিক্ষার দিকে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে ঠিক তেমনি প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন এর দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আর্থিক জ্ঞানের পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বাড়িতে নিজের কাজ নিজে করতে হবে, অনেক কাজ থাকে বাড়িতে এগুলো নিজের মতো করে করতে হবে।বাড়ির কাজের পাশাপাশি ডিজিটাল ক্ষেত্রে ও দক্ষ থাকতে হবে। যেমন ব্যাংকিং, অনলাইনে বিল পেমেন্ট, ইন্টারনেটের ব্যবহার, এগুলো জানা থাকলে দৈনন্দিন জীবনে অনেক সহয়তা করবে। এগুলো একটা স্কিল বা দক্ষতা।

এই দক্ষতা থাকল আর্থিক জ্ঞান বাড়ানো সম্ভব। টাইম এবং মানি দুটোই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে জানতে হবে।কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করলেন সেখান থেকে কত মুনাফা আসলো এটা জানাটা গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক মেয়েরা সঞ্চয় করে থাকে এটা একটা ভালো দিক। সঞ্চয় হলো আগামীর পথচলার সহায়ক। আপনার যদি সঞ্চয় থাকে তাহলে আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পাবে নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারবেন। সামাজিক বা পারিবারিক ভাবে নিজেকে মূল্যায়ন করা যাবে। নিজের কাজকে শ্রদ্ধা করা জরুরি। অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজেই সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায়

মেয়েরা বিভিন্ন উপায়ে আয়ের উৎস তৈরি করতে পারে। আয়ের অনেক উৎস আছে আপনি যদি মুরগী পালান করেন সেটাকে বিক্রি করলে সেটও একটা আয়ের উৎস। হস্তশিল্প তৈরী করে সেটা বিক্রি করলে সেটাও আয়ের উৎস, আপনার কাছে যদি কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে আপনি বাড়িতে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মতো কাজ করে আয় করতে পারেন।

অনলাইন ব্যবসা:

ই-কমার্স সাইটে নিজের পণ্য বিক্রি করা একটি বড় সুযোগ। জামা-কাপড়, হস্তশিল্প বা খাদ্য পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে উপার্জন করা যায়। আপনি যদি সেলাই এর কাজ করে একটা জামা তৈরী করে সেটা অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন ফেসবুক এর মাধ্যমে। শুধু ফেসবুকে না নিজের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ও বিক্রি করতে পারেন। এইসব কাজের জন্য আপনাকে ই-কমার্স ব্যাবসা টা বুঝতে হবে আপনি ফ্রিতে শিখতে পারবেন ইউটিউব এবং গুগল এর সাহায্যে নিয়ে। অথবা আপনি পেইড কোর্স ও করতে পারেন এটাতে আপনাকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিবে , ই-কমার্স ব্যাবসার জন্য সবচেয়ে ভালো হলো ফেসবুকে মার্কেটিং সেটা যদি পেইড হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো,পেইড কোর্সে আপনাকে সবধরনের সহোযোগিতা পাবেন, কোন কিছু জানার থাকলে তাদেরকে বললে তারা করে দিবে আপনাকে নিছের কোর্সটি করতে

ফ্রিল্যান্সিং:

বাড়িতে বসে ফ্রিল্যান্সিং একটা জনপ্রিয় মাধ্যমে হয়েছে মেয়েদের জন্য। শুধু মেয়েদের জন্য না এটা সবাই করেত পারে।ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় এটা যেমন সত্য, যদি দক্ষ না হোন তাহলে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। অনেক জনপ্রিয় ক্যাটাগরি আছে ফ্রিল্যান্সিং তার মধ্যে উল্লেখ
ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।

আরও পড়তে পারেন:

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ, ভবিষ্যৎ, এবং মোবাইল থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

এসব কাজ ঘরে বসেই করা যায়।আয়ের অনেক মাধ্যম আছে সেটা নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। মনে রাখবেন দক্ষ শ্রমিকের কাজের অভাব থাকে না।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়া:

একজন উদ্যোক্তাই পারে তারা নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে। ছোট্ট থেকে শুরু করে বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়া যায় কোন প্রতিষ্ঠানকে। কথা আছে ছোট ছোট বালি কণা গড়ে তুলে মহাসাগর। ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা বলতে হস্তশিল্প, সেলাই করা জামা কাপড়, শুটকি মাছ শুকিয়ে অনলাইনে বিক্রি ইত্যাদি এসবকেই বোঝানো হয়।
ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে মেয়েরা সহজেই আয়ের পথ খুলে দিতে পারে।

টিউশন:

যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান থাকলে তা অন্যদের শেখানোর মাধ্যমে আয় করা যায়। এটা অনলাইনে বা অফলাইনে দুটোই মাধ্যমে করা যায়। শিখার শেষ নাই! আপনি যতই জ্ঞানী হবেন ততই মানুষকে শিখাতে পারবেন।জ্ঞানী মানুষের কদর বেশি তবে একদেশ জ্ঞানী জন্ম নেইনা কারণ আমরা গুণীজনকে সম্মান করতে জানি না। আপনার বাড়ির আশেপাশে ছোট ছেলে মেয়েদের পড়িয়ে একটা আয়ের উৎস তৈরী করতে পারেন।

স্বামী ছাড়া মেয়েরা কি করে স্বাবলম্বী হবে?

একটা নারীর জন্য তার স্বামীই সবকিছু। যদি কোন নারীর স্বামী না থাকলে তার সামাজিক মর্যদা অনেক ছোট হয়ে যায়।
আপনার স্বামী না থকলে আপনি নিজেকে একটা পেশায় গড়ে তুলুন।যেখান থেকে আপনি একটা সামাজিক আত্মসম্মান গড়ে তুলতে পারেন। এর আগেও কয়েকটি স্কিল নিয়ে কথা বলা হয়েছে। কি করলে নিজেকে সামাজিক ভাবে গড়ে তুলা সম্ভব।

আরও

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করবেন 

প্রযুক্তি নির্ভর ক্যারিয়ার প্রযুক্তির যুগে মেয়েরা ঘরে বসেই আয়ের সুযোগ পেতে পারে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আয়ের সুযোগ।যদি প্রযুক্তি আপনার নাগালে বাহিরে থাকে তাহলে শিক্ষকতা, নার্সিং এ-সব একটা আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। যেকোনো পেশাগত কাজে অভিজ্ঞতা থাকলে একজন মেয়ে তার নিজের পেশা গড়ে তুলতে পারে এবং স্বাবলম্বী হতে পারে।

আপনার কাছে থাকা কিছু প্রশ্ন

কত বছর বয়সে স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করা উচিত?

স্বাবলম্বী হতে শুরু করার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। তবে, একজন মেয়ের জীবনে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত শিক্ষাজীবন থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সময় থেকেই আয়ের উৎস নিয়ে ভাবা এবং কাজ শুরু করা উচিত। তাতে ভবিষ্যতেে চাকরি কিংবা ব্যবসা করার প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।

গ্রামের মেয়েরা কি করে স্বাবলম্বী হবে?

গ্রামের মেয়েদের জন্য স্বাবলম্বী হওয়ার খুব সহজ।
হস্তশিল্প এবং কৃষি ভিত্তিক কাজ: গ্রামীণ মেয়েরা হস্তশিল্প, মৎস্য চাষ বা কৃষি কাজে দক্ষতা অর্জন করে আয় করতে পারে সহজে এটা শহরের মেয়েরা পারে না।
চাষাবাদ: নিজস্ব জমিতে সবজি চাষ কিংবা গবাদি পশু পালন করা আয়ের একটা উৎস তৈরি করতে পারে।
ব্যাবসা: ছোট ব্যবসা মুদি দোকান, বিউটি পার্লার এর মতো সেবা দিয়ে আয় করার সুযোগ থাকে।

শহরে মেয়েরা কি করে স্বাবলম্বী হবে?

গ্রামের মেয়ে এবং শহরের মেয়ের মধ্যে অনেক তফাত। গ্রামের মেয়েদের বেশু রিসোর্স থাকে না যেটা শহরক মেয়েদের থাকে।
প্রযুক্তি ভিত্তিক চাকরি: শহরের মেয়েরা প্রযুক্তি নির্ভর চাকরিতে প্রবেশ করে সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারে। যেমন: আইটি সেক্টর, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এর মতো কাজ করে নিজের জীবিকা নির্ভর করতে পারে।
ব্যবসা উদ্যোগ: শহরে বসে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারে। ই-কমার্স এর মতো পণ্য বিক্রি করে নিজেকে তৈরী করতে পারে।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট : ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট একটা জনপ্রিয় কাজ। ইভেন্টে এর কাজ করে ভালো আয়ের সুযোগ আছে। মনে রাখবেন স্বাবলম্বী হওয়া মানে নিজের স্বাধীনতা নয়। স্বাবলম্বী হলে নিজেকে পরিবর্তন এর সাথে নিজেকে সমালোচনার মুখোমুখি ও হতে পারে।

মেয়েদের আয়ের উৎস কি?

মেয়েদের আয়ের উৎস অনেক রকমের হতে পারে। গ্রামীণ মেয়েদের আয়ের উৎস ভিন্ন এবং শহরের মেয়েদের আয়ের উৎস ও ভিন্ন। গ্রামীণ মেয়েরা পশুপাখি পালন করে আয়ের উৎস তৈরী করতে পারে এবং শহরে মেয়েরা টিউশনি থেকে শুরু করে বিভিন্ন টেক কোম্পানির থেকে ফ্রিল্যান্সিং মাধ্যম আয় করতে পারে।

এই পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন আপনাদের পরিচিতি মানুষের কাছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *