তানিয়া বৃষ্টির জীবন কাহিনী: বাংলাদেশী বিনোদন জগতের উজ্জ্বল তারকা
তানিয়া বৃষ্টি বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান মডেল ও অভিনেত্রী, যিনি তার অভিনয় ও মডেলিং দক্ষতার জন্য ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।এই অভিনেত্রী Channel i এর টিভি প্রোগ্রামের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করে
তার ক্যারিয়ার শুরু ২০১২ সালে ভিট চ্যানেল আই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানার আপের বিজয়ী দিয়ে। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন, নাটক দিয়ে নজর আসেন নির্মাতাদের।
২০১৫ সালে ঘাসফুল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হয় তানিয়া আক্তার বৃষ্টি।
তানিয়া বৃষ্টি শৈশব ও শিক্ষাজীবন
তানিয়া বৃষ্টি জন্ম ৫ মার্চ ১৯৯৫
মুন্সীগঞ্জ জেলা, গজারিয়া উপজেলা, চর বাউশিয়া। তানিয়া বৃষ্টি বাবা মো: সুরুজ মিয়া এবং মা হেলেনা বেগম তারা দুই বোন। তানিয়া হলো পরিবারের মধ্যে সবার ছোট, তারা দুই বোন।
তানিয়ার জন্ম মুন্সিগঞ্জে হলেও তার শৈশব কেটেছে ঢাকায়। বাবা ছিলেন প্রবাসি, বড় বোন সোনিয়া আক্তার ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের টেনিস খেলোয়াড়।ছোটবেলা থেকে নাচ গানে পারদর্শী ছিলেন।
২০১০ সালে বেগম রহিমা আদর্শ বালিকা থেকে SSC এবং ২০১২সালে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
স্কুল জীবন থেকেই শিল্পের প্রতি আগ্রহী ছিলেন, স্কুলে শিক্ষার্থী হিসেবে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন। শৈশবের এই অভিজ্ঞতা থেকে পরবর্তীতে তাকে মডেলিং ও অভিনয়ের জগতে প্রবেশের জন্য অনুপ্রাণিত করে।
ক্যারিয়ার জীবন
তানিয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন,সদ্য HSC পর পরেই তার মডেলিং এর যাত্রা শুরু হয়।
২০১২ সালে ভিটা চ্যানেল আই টপ মডেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয় ক্যারিয়ার। বাংলাদেশ এর মানুষ বলশ আবেগের হয়। একবার যাকে পছন্দ করা শুরু করবে তাকে নিয়ে পরে থাকে।
অল্প সময়ে মিডিয়া আসায় দ্রুতই পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন।মডেলিং এর মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করলেও পরবর্তী ছোটপর্দায় এবং তারপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। ২০১৫ সালের দিকে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে কাজ করার সুযোগ পান।
আরও পড়ুন:
জীবন বদলে দেওয়ার মতো মোটিভেশনাল ছোট গল্প
২০১২ সালে ভিটা চ্যানেল আই টপ মডেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয় ক্যারিয়ার। বাংলাদেশ এর মানুষ বলশ আবেগের হয়। একবার যাকে পছন্দ করা শুরু করবে তাকে নিয়ে পরে থাকে।অল্প সময়ে মিডিয়া আসায় দ্রুতই পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন।
মডেলিং এর মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করলেও পরবর্তী ছোটপর্দায় এবং তারপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। ২০১৫ সালের দিকে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে কাজ করার সুযোগ পান।
মডেলিং ও বিজ্ঞাপন
মায়ের উৎসাহে তানিয়া মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেছে।তানিয়া শুধুমাত্র অভিনেত্রী হিসেবেই নয়, বরং একজন মডেল হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও ফ্যাশন Show তে অংশগ্রহণ করেন এবং তার মডেলিংয়ের জন্য প্রশংসিত হন।
তার অভিনয় এবং মডেলিং দক্ষতা বাংলাদেশের বিনোদন জগতে এক বিশেষ স্থান করে দেয়।
অভিনয় করলে হবে না, অভিনয় করে যদি ফেমাস হওয়া যায়, সেই ফেমাসকে ঠিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন টাকা।
একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রী তখনই ভালো টাকা আয় করতে পারে সে যদি বিজ্ঞাপন করতে পারে।ভালো বিজ্ঞাপন করতে পারলে অভিনয় জগতে এর চাইতে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব।
তার ছোট্ট ক্যারিয়ারে বেশ বড় বড় বিজ্ঞাপন করার সুযোগ পাই।
তার বিজ্ঞাপন এর মধ্যে উল্লেখ্য হলো, গ্রামীণফোন, এশিয়ান টাউন, সিটি ব্যাংক, এসিআই, ফাস্ট ওয়াশ ডিটারজেন্ট, এর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করে নিজেকে মিডিয়া জগতে স্থান করে নিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রী বিজ্ঞাপন না করলে তাঁকে বড় তারকা বা বড় শিল্পী হিসাবে দেখা হয়না। শিল্পীদেরকে অভিনয় এর পাশাপাশি বিজ্ঞাপন কেও ভালো মতো হিসাব করে ব্যালেন্স করতে হয়।
তানিয়ার বিয়ে স্বামী বিচ্ছেদ (ব্যক্তিগত জীবন)
তানিয়া বৃষ্টি তার ব্যক্তিগত জীবনে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তিনি টিভি সাংবাদিক সাব্বির চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
বাংলাদেশের অভিনেতা এবং অভিনেত্রী তাদের বিয়ে করার ঠিক না, কখন বিয়ে হয়, আবার কখন বিয়ে ভাঙ্গে তার কোন হুদিস নাই, বাংলাদেশের সুপার স্টার শাকিব খানকে দেখুন কয়টা বিয় করলো সে।
এই অভিনেত্রী বিয়ের বছর দুয়েক না যেতেই তার বিবাহ বিচ্ছেদের এর ঘটনা শুনা যায়। বৃষ্টি ও তার বাবার মতো এক প্রভাসিকে বিয়ে করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী টেলিভিশন সাংবাদিক সাব্বির চৌধুরী।
তানিয়া আর সাব্বির প্রেম করে বেশ কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কে পর পারিবারিক সম্মতিতে ২০১৭ সালের ৩০ জুন তাদের বাগদান হয়।
সম্পর্কে মধ্যে রাগ, ভালো বাসা সবই থাকে। তাই বলে বিচ্ছেদ এটা মানা যায় না। আমাদের অভিনয় শিল্পীদের কে আরও উন্নত হতে হবে বিয়ে শাদী করার আগে তাদের ভাবতে হবে অনেক বার।
তানিয়ার জনপ্রিয় নাটক গুলো কি কি?
বেশ কয়েক ডজন নাটকে অভিনয় করেছে তানিয়া আক্তার বৃষ্টি। তারমধ্য অনেকে নাটক মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ইউটিউবে। তার বেশকিছু জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্র হলো:
- ঘাসফুল (চলচ্চিত্র)
- লাভার নাম্বার ওয়ান (চলচ্চিত্র)
- অবলা নারী (চলচ্চিত্র)
- যদি তুমি (চলচ্চিত্র)
- গোয়েন্দাগিরি (চলচ্চিত্র)
তানিয়া বৃষ্টির নাটক গুলো হলো:
- অভিনেতা
- লিংক হবে
- কম্পেয়ার
- কবিতার চার লাইন
- প্যাক আপ
- যদি তুমি জানতে
- রকি ভাই
- ছোবল
- এক্স এল
- জামাই আমার সেরা রাঁধুনী
- পিনিকেই ঝিনিক
- সব দোষ হোসেন আলীর
- জায়গায় খায় জায়গায় ব্রেক
- আইসিইউ
- আড়াই তালাক
- ভাগের গাড়ি
- লাকি থার্টিন
- কমেডি ৪২০
- রসের হাঁড়ি
- শেষ বাজি
- ভাইয়া ছ্যাকা খাইতে চায় না ও
- মন থেকে দূরে নয় ইত্যাদি।
আরও অনেক আছে কয়েকটি বাছাই করা নাটক এর নাম।
FAQ
তানিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র কি?
তানিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র ঘাসফুল, এটি মুক্তি পাই ২০১৫ সালে
তানিয়া জনপ্রিয়তা কেমন?
যারা বাংলাদেশের নাটক দেখেন তারা প্রায় তানিয়া অভিনয় দেখে মুগ্ধ। তানিয়া বৃষ্টির জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তার অভিনয় এবং মডেলিং দক্ষতা তাকে ভক্তদের মাঝে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
তানিয়ার সোশাল মিডিয়া মাধ্যম গুলো কি কি?
তানিয়া বেশ কয়েকটি সোশাল মিডিয়ায় একটিভ আছে তার মধ্যে, Facebook, Instagram, x, Tiktok
তানিয়া বৃষ্টি তার প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনোদন জগতে একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন। স্বপ্ন পূরণের জন্য যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। যিনি কাজের মাধ্যমে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এই অভিনেত্রী সম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।