মোটিভেশনাল ছোট গল্প

জীবন বদলে দেওয়ার মতো মোটিভেশনাল ছোট গল্প – Msterblog.com

 শিক্ষনীয় মোটিভেশনাল গল্প যা আপনার মনকে ভালো করতে সাহায্য করবে? আমাদের সকাল এমন এক মোটিভেট দিয়ে শুরু করা যাতে পুরো দিনটা ভালো যায় 

নিজেকে শক্তি শালী করতে হলে শিক্ষনীয় মোটিভেশনাল গল্পের বিকল্প নেই।মোটিভেশান গল্পই আপনার মন ভালো করতে পারে। আজকে আপনাদের কে কয়েকটি ছোট অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার করবো। এই গল্প গুলো আপনাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

মন ভালো করার ছোট গল্প হজম করা খুব সহজ, এই গল্প গুলো শুনতে খুব ভালো লাগে। এই  শিক্ষনীয় গল্প থেকে কিছুনা কিছু শিখার থাকে।

এই গল্প গুলো সত্য গল্প হোক বা না হোক তাতে কিছু যায় আসে না। এই গল্প থেকে আমরা কি শিখলাম তা হলো বড় কথা।

 

যাইহোক, আজকে যে গল্পগুলির কথা বলছি সেগুলি এতই শক্তিশালী এবং অনুপ্রেরণামূলক যে সেগুলির মধ্যে এমন কিছু গল্প আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে এবং এমনকি কখনও কখনও আপনাকে বাকরুদ্ধ করে দিবে।

আরও পড়তে পারেন!  অনলাইন ইনকাম করার উপায় 

 

শিক্ষনীয় গল্প ও শিক্ষামূলক ঘটনা

ছোট্ট কালের একটা দড়ি সারাজীবন আটকে রাখা যায় কীভাবে (হাতির দড়ির বিশ্বাস)

 

কোন একসময় একজন ভদ্রলোক একটি হাতি ছাউনির মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, এবং তিনি দেখলেন যে হাতিগুলোকে খাঁচায় রাখা হয়নি বা শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়নি।

ছোট কাল থেকে যে ছোট একটা দড়ি দিয়ে এই হাতি গুলোকে বেঁধে রেখেছিল, এই দড়ি দিয়ে হাতি গুলো কে বেঁধে রেখেছে।ছোট্ট একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলে সবার মনে প্রশ্ন আসবে, এতো বড় হাতিকে ছোট্ট একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা কি সম্ভব। অবশ্যই না!

ওই লোকটি হাতিদের দিকে তাকালেন এবং তিনি সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। হাতিরা কেন তাদের শিবির থেকে পালাতে তাদের শক্তি ব্যবহার করে না। তারা সহজেই তা করতে পারত, কিন্তু তারা এই চেষ্টা করে না কেন?

ওই লোকটি অনেক কৌতূহলী এবং উত্তর জানতে চাওয়ায়, তিনি কাছাকাছি যান। ওই হাতির শিবিরে থকা একজন প্রশিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলেন কেন হাতিরা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং কখনও পালানোর চেষ্টা করেনি।

প্রশিক্ষক উত্তর দিলেন,”যখন তারা খুব ছোট এবং অনেক ছোট হয় আমরা তাদের বেঁধে রাখার জন্য একই আকারের দড়ি ব্যবহার করে থাকি এবং ছোট বয়সে হাতিদেরকে ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট। তারা বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিশ্বাস করার শর্ত দেওয়া হয় যে তারা ভেঙে যেতে পারবে না। তারা বিশ্বাস করে যে দড়ি এখনও তাদের ধরে রাখতে পারে, তাই তারা কখনই মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে না।যদি হাতিরা চাইলে এটা করতে পারতো,খুব সহজে কিন্তু তারা করে না।

 

হাতিদের মুক্ত না হওয়ার এবং শিবির থেকে না পালানোর একমাত্র কারণ হল যে সময়ের সাথে সাথে তারা এই বিশ্বাসটি গ্রহণ করেছিল যে এটি সম্ভব নয়।তারা এই দড়িটা ছিঁড়তে পারবে না। বিশ্বাস হলো সবচেয়ে বড় জিনিস আপনার মনের মধ্যে যদি বিশ্বাস না থাকে তাহলো আপনি কিছু করতে পারবেন না।

 

এই গল্পের থেকে শিক্ষা:

 

পৃথিবীতে অনেক মানুষ আপনাকে আটকে রাখার চেষ্টা করুতে পারে। কোন এক ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে আপনি পারবেন না, আপনি কিছু করতে পারবেন না। এই খোলস থেকে আপনি বাহির হয়ে আসুন।

মনের মধ্যে এই বিশ্বাস টা রাখুন যে, আপনি যা অর্জন করতে চান তা সম্ভব। বিশ্বাস করুন নিজের উপর আপনি সফল হতে পারবেন। আসলে বিশ্বাস হলো অর্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনি ডিপ্রেশনে ভুগবেন, আপনি অ্ধকারে থাকবেন এইখান থেকে আপনার থেকে বাহির হতে হবে।

আপনাকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য তো আমরা আছি। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট সকল ধরনে কনটেন্ট পাবেন যা আপনার মনের হতাশ দূর করতে সাহায্য করবে। আপনার ফাইন্যান্স সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

 সৃজনশীল চিন্তা মানুষকে পরিবর্তন করে?

 

অনেক দিন আগের ঘটনা ইতালী একটি ছোট শহরের ঘটনা, টাকা মানুষ কে অন্ধ করে দেয়, এই ঘটনা টা আপনাকে শিখাবে কি করে এইসব জিনিস থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন। একটি ছোট ব্যবসার মালিক তার ব্যবসার জন্য। এক মহাজন এর কাছে যায়, সে মহাজন এর অনেক টাকা ছিলো। টাকা যার আছ পৃথিবীতে সেই রাজত্ব করতে পারে।

ওই মহাজন এর বয়স অনেক বেশি ছিলো। ওই ছোট ব্যবসায়ি মহাজন এর কাছে যখন যায় টাকা ধার নেওয়ার জন্য। মহাজন এক সত্ত্বে টাকা দিবে। তার মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে মহাজন এর কাছে তাহলে সে টাকা দিবে।

মহাজন বলেছিল যে সে একটি ব্যাগে দুটি পাথর রাখবে, একটি সাদা এবং একটি কালো।

আরও দেখতে পারেন? ৬ মাসে নিজেকে কি করে পরিবর্তন করবেন

তার কন্যাকে একটা পাথর চয়েস করতে হবে। যদি কালো পাথটি চয়েস করে তাহলে তার সব ঋণ মুছে ফেলা হবে, কিন্তু মহাজন তার মেয়েকে বিয়ে করবে। যদি সাদা পাথরটি চয়েস করে তাহলো ঋণ মুছে যাবে এবং মহাজন কে বিয়ে করতে হবে না।

মুক্ত খোলস থেকে বাহির হতে
মুক্ত খোলস থেকে বাহির হতে

 

ব্যবসায়ীর বাগানে পাথর ছিলো ওই মহাজন বাগান থেকে ২ টি কালো পাথর তুলে তার বেগের মধ্যে রাখে।ওই মেয়েটি লক্ষ্য করলো মহজানের কর্ম কান্ড। মহাজন ওই ব্যবসায়ি মেয়েকে বলেছে এখানে এসে একটা পাথর চয়েস করতে।

ব্যবসায়ির মেয়ে খুব চালাক ছিলো সে একটা সাদা পাথর তার হাতে নিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছিলো।

মেয়েটি যখন মহাজন এর ব্যাগ থেকে একটি পাথর বাহির করলো, মহাজন হতবাক হয়ে গেছিলো।মহাজন জানতো তার ব্যাগে ২ টি কালো পাথর ছিলো। ব্যাবসায়ির মেয়ের হাতে সাদা পাথর হওয়ায় মহাজন খুব লজ্জাই পড়ে যায়। মহাজন তার ব্যাগ থেকে পাথর গুলো বাহির ও করতে পারতেছে না। তার প্রতরণা সবার সামনে চলে আসবে বিদায়।

মেয়েটির চালাকির কারণে মহাজন এর কাছ থেকে টাকা ও পেলেও তাকে আর বিয়ে করতে হলো না।

গল্পের শিক্ষা:

সৃজনশীল চিন্তাভাবনা জন্য এমন এক পরিস্থিতি থেকে সে বাহির হতো পেরেছে।যতই বিপদে থাকুন না কেন সবসময়ই একটা সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা রাখবেন মনের মধ্যে।

 



Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top