এড দেখে টাকা ইনকাম

এড দেখে টাকা ইনকাম কি হালাল

এড দেখে টাকা ইনকাম কি হালাল কিংবা এড দেখে কত টাকা আয় করা যায়  এমন প্রশ্ন আমাদের কাছে সবসময় আসতে থাকে। আজকে আমরা এই প্রশ্নের উওর নিয়ে বিশ্লেষণ করবো। অনলাইনের বিজ্ঞাপন অনেক প্রকার হয়ে থাকে, আপনি কোন বিজ্ঞাপন টা দেখতেছেন এটার উপর নির্ভর করে এটা কি হালাল নাকি হারাম।

অনেক বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং এপস আছে যাতে কোন কিছু না করে সামান্য পরিমানে আয় করা যায় এটা কিন্তু হারাম ইনকাম। অনেক ওয়েবসাইট আছে সেক্সুয়ালি একটিভ প্রমোশন করে বিজ্ঞাপন এর জন্য এসব থেকে আসা ইনকাম সবসময় হারাম।

এর মাধ্যমে আপনি যা আয় করবেন সবই হারাম হবে। এসব বিজ্ঞাপন দেখা উচিত না, ইনকাম পরে করবেন আগে নিজেকে রক্ষা করুন।

যে কাজে আপনার পরিশ্রম না করে আয় করবেন সেটা কোনদিন ও হালাল হবে না। পরিশ্রম করে সঠিক মাধ্যমে আপনার আয় করতে হবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা মোবাইল এপসে অ্যাড দেখানো হয়। অ্যাড যিনি দেখবেন, প্রথমে তার সেই ওয়েবসাইটে কিংবা এপসে  অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় তার পর  সেই অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা জমা করতে হয়। টাকা জমা করার পর অ্যাড আসা শুরু হয়। এসব কাজ কিন্তু হারাম। এসবের মধ্যে দিয়ে অনলাইনে আয় করা যায় না।

অনলাইনে এড দেখে টাকা ইনকাম করা কি হালাল

অনেকে MLM কোম্পানি আছে যারা ৪ -৫ হাজার টাকা জমা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে বলে এটা হয় অফলাইনে তবে সেম কোম্পানি স্পার্ম করে অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাড দেখার মাধ্যমে গ্রাহক থেকে ৪-৫  হাজার খরচ করলে ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আসলে এগুলো সম্ভব না।

এসব করলে আপনার টাকা মায়ের ভুগে চলে যাবে। কেন এড দেখে টাকা আয়কে হারাম বলা হয়েছে :

১. প্রাণীর ছবি: ইসলাম অনুযায়ী প্রাণীর ছবি দেখে আয় করাটাকে হারাম বলা হয়েছে অনেক ইসলামিক স্কলারস। প্রাণির ছবি  সেটা যেমনই হোক, দেখা জায়েজ নয়। প্রাণীর ছবি দেখার ওপর যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা হবে তা অবৈধ বলে গণ্য করেছেন।এইক্ষেত্রে আমরা যদি এসব সাইট থেকে প্রাণির ছবি বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা হয় তাহলে এটাকে হারাম বলা যাবে।

দারাজ বিজ্ঞাপন

আরও পড়তে পারেন: হালাল ইনকাম এর জন্য কোন স্কিল সবচেয়ে ভাল

২. ক্লিকং: ওয়েবসাইট এড দেয় মানুষ লাভবান হওয়ার জন্য। মনে করুন দারাজ একটা বিজ্ঞাপন দিলো তাদের একটা পণ্য সেলের জন্য। এই বিজ্ঞাপন ক্লিক করবে কে যাদের প্রয়োজন আছে তারা ক্লিক করে দারাজ থেকে ওই পণ্য ক্রয় করবে।

আপনি যদি এটাকে কোন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কিংবা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করে আয় করেন তাহলে এটা কি দারাজ এর জন্য কোন প্রকার লাভবান হলো। দারাজ বিজ্ঞাপন এর জন্য যে টাকা ইনভেস্ট করেছে সেটা আপনি ক্ষতি করতেছেন এই পদ্ধতিতে আয় করাকে হারাম ইনকাম বলে গণ্য হবে।

কারো ক্ষতি করে তো টাকা ইনকাম করাটা তো অবৈধ। পণ্যের মালিককে আপনি ভুয়া গ্রাহক সংখ্যা দেখানো একরকম  প্রতারণা যা শরিয়তে বৈধ নয়।এই টাকায় আপনার কোন সাফল্য নেই।

৩. নগ্নতা: আমাদের সামনে অনেক নগ্ন নারীর ছবি আসে বিজ্ঞাপন আকারে। ইসলামে গায়রে মাহরাম নারীর ছবি থাকে যা কোন পুরুষ দেখলে এটা কবিরা গুণাহ এটা পুরুষের ক্ষেত্রে ও একই কথা।

রাসুলুল্লাহ  (সা.)  কে এক সাহাবি জিজ্ঞেসা করেছিলো হে, রাসুলুল্লাহ  আমর কি করলে বুঝবো কোন ইনকামটি আমাদের জন্য হালাল। রাসুল (সা.) বললেন,ওই ইনকামই ভালো যে ব্যক্তির নিজ হাতে উপার্জন করা এবং প্রত্যেক হালাল ও সৎ ব্যবসা।

সুতরাং হালাল উপার্জনের এমন কোনো পন্থা অবলম্বন করা জরুরি যাতে নিজের শ্রম ব্যয়িত হয়। এমন উপার্জন প্রত্যেক মুমিন বান্দার জন্য বরকত পূর্ণ হয়ে থাকে।

কোন উপার্জন হালাল?

মাথার ঘাম ফেলে কষ্ট করে যে টাকা উপার্জন করা হয় সেই টাকাকে হালাল ইনকাম বলা হয়।হালাল ইনকাম ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় সমাজের কল্যাণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। হালাল ভাবে আয় করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো , যেমন উদ্যোক্তা, পেশাদার ক্যারিয়ার, কৃষি এবং কৃষিকাজ এবং রিয়েল এস্টেট বিজেনেস

ইসলামে হালাল টাকা উপার্জন করার উপায়?

আপনি যে কাজই করুন না কেন সেটাকে হালাল ভাবে করতে হবে, আবার অনেক ২ নাম্বার কাজ আছে এগুলো হালাল ভাবে করলে ও হালাল হবে না।আপনি চাইলে এইসব কাজ করতে পারেন হালাল পণ্য যেমন পোশাক, গয়না এবং খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top