প্যাসিভ ইনকাম কি

প্যাসিভ ইনকাম  – কিভাবে Passive Income শুরু করা যায় ( Case Study )

কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম (PASSIVE INCOME) শুরু করা যায়,আয়ের অনেক উৎস থাকতে পারে।নিজের কর্ম এর পাশাপাশি যদি আয়ের আরেকটা উৎস হয়ে যায় কেমন হয়। একটি প্যাসিভ ইনকাম আমাদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দময় করে দিতে পারে।

প্যাসিভ ইনকাম (PASSIVE INCOME) কি?

প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি আয়ের ব্যবস্থা যেখানে টাকা আয় করতে গেলে আপনাকে সবসময় সে কাজের পিছনে লেগে থাকতে হবে না একবার ইনভেস্ট করে সবসময় বসে বসে আয় করাকে প্যাসিভ ইনকাম বলা হয়।

উদাহরণ হিসেবেঃ মনে করুন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকে তার নিদিষ্ট ক্লাইন্টের জন্য, সে ডিজাইনার ততক্ষণ পর্যন্ত আয় করতে পারবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার ক্লাইন্ট তাঁকে কাজ দিবে। সে কাজ করতে থাকবে তার বাহিরে কোন আয় হবে না।

সে ডিজাইনার যদি কাজ না করলে তার আয় হবে না। আবার মনে করুন সে ডিজাইনার যদি কতগুলো ডিজাইন তৈরি করে মাইক্রো স্টোক সাইটে আপলোড করে রাখে তার তৈরি করা ডিজাইন যদি সারাবছর বিক্রি হতে থাকে তাহলে কেমন হবে। এটা হলো প্যাসিভ আয় একবার ডিজাইন করে সারাবছর ধরে বিক্রি হওয়া কে প্যাসিভ ইনকাম বলে।

আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে, আপনার চাকরি পাশাপাশি যদি আয়ের আরেকটা উৎস থাকে সেটাকে প্যাসিভ ইনকাম বলা যায়। সফল ভাবে আয় করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন Case Study দেখলে আপনি আয় করতে পারবেন নিশ্চিত থাকুন।

অ্যাক্টিভ আয় কি?

 

সময়ের বিনিময়ে টাকা হচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনকাম প্রতি মাসে কাজ করে আপনি যে বেতন পান সেটা হলো আপনার অ্যাক্টিভ আয়। সাধারণ ভাবে বলা যায় জীবিকা নির্বাহ জন্য যে আয় করা হয় সেটা কে অ্যাক্টিভ ইনকাম বলা যায়।

প্যাসিভ ইনকাম কি

কাজ করলে আপনাকে টাকা দিবে কাজ না করলে টাকা দিবে না। ধরা যাক একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিদিষ্ট ক্লাইন্টের জন্য যতক্ষণ কাজ করবে সে ওই কাজের জন্য সে পেমেন্ট পাবে কাজ না করলে পেমেন্ট পাবে না।

অ্যাক্টিভ ইনকাম ফ্লেক্সিবল না। কাজের জন্য টাকা পেতে অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। অফিসে গন্ডগোল বাধলে, চাকরীও চলে যাওয়া সম্ভবনা থাকে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অফিসে বসে কাজ করতে হয়।

বসের বিরক্তিকর কথা শুনে কাজ করে যেতে হয়।আপনি যদি অনলাইনে একটা প্যাসিভ আয়ের একটা কোম ব্যবস্থা করে নেন তাহলে আপনার কোন চিন্তা থাকবে না।

কেন প্যাসিভ ইনকাম দরকার?

চাকরি পাশাপাশি কিংবা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের একটা উৎস আসলে কতই না ভালো হয়। মূলত এই প্যাসিভ আয় করতে একটু সময় আর কষ্ট মধ্যে দিয়ে এই আয়ের উৎস বাহির করা। টাকা সবার প্রয়োজন সেটা এক্টিভ হোক কিংবা প্যাসিভ সবাই চাই আয় করতে কম পরিশ্রম করে।

আসলে কম পরিশ্রম টাকা আয় করা মোটেও সহজ কাজ না। শত পরিশ্রমের পর টাকা আয়ের উৎস বাহির হয়, একবার আয়ের উৎস বাহির হলে সেখান থেকেই টাকা আসতে থাকে।

টাকা কামানোর নেশায় হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় নেশা এটাকে বাড়িয়ে চলুন। কারণ এই পৃথিবীতে যে কোন সময় যে কোন কিছু হতে পারে। কখন তুফান কিংবা ভূমিকম্প আসবে কেউ জানে না এইসব জন্য মানুষ কে সর্বদা প্রস্তুতি থাকতে হয়। যদি আপনার মধ্যে টাকা আয়ের নেশা সজাগ থাকে তাহলে সব পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করা সম্ভব।

মনে রাখবেন যেখানে ঝুঁকি থাকে তার আশেপাশে সুযোগ হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ায় । আর যেখানে সুযোগ থাকে সেখানে ঝুঁকি হামাগুড়ি দিয়ে থাকে। যদি মধু খেতে চান তাহলে মৌচাক ভাঙ্গতে হবে তাহলে মধুর সাদ পাওয়া যাবে।আরও দেখতে পারেন, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিতরে লুকিয়ে থাকে সফলতা

কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করবেন PASSIVE INCOME IDEAS?

প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে সেবার বিনিময়ে টাকা আয় করা। মনে করুন আপনি একজন লেখক সে বই লেখতে আপনার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এই বই লেখতে কত ঘন্টা, কত দিন লেগেছে আপনি জানেন এই বই যতক্ষণ না পাবলিশ হচ্ছে সেই বইয়ের দাম কেউ দিবে না।

বইটি সম্পন্ন পাবলিশ হওয়ার পর আপনি ঘরে বসে একটা প্যাসিভ আয় করতে পারবেন যতবার বিক্রি হবে ততবারই আপনার পকেটে টাকা আসতে থাকবে। তখন আপনার পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পাবেন।

বাস্তবে প্যাসিভ ইনকাম জটিল, তবে আপনি ভলো মতো চেষ্টা করলে এটা  সময়ের ব্যাপার। সময় দিয়ে প্রোডাক্ট বানাতে অনেক সময় লাগে। তবে প্যাসিভ ইনকামে অ্যাক্টিভ ইনকামের চেয়ে কম কষ্ট করে বেশি টাকা পাওয়ার যায়।

অনলাইন এবং অফলাইনে উভয় ভাবে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করা যায়। আজকে আমরা আলোচনা করবো অনলাইনে কি করে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করা যায়।

১। ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকামঃ

 

সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কম সময়ের মধ্যে ব্লগিং দ্বারা আয় করা যায়। প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা কাজ করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগিং শুরু করতে আপনার পছন্দের বিষয়বস্তুর উপরে লেখালেখি শুরু করতে পারেন।

খাবারের রেসিপি হতে পারে, ক্যারিয়ার গাইড হতে পারে,ভ্রমন হতে পারে, রেস্টুরেন্টে সম্পর্কে রিভিউ আরও অনেক ভাবে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

২০২৩ সালে প্যাসিভ এবং অনলাইন আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং। বাংলা এবং ইংরেজিতে উভয় ভাবে শুরু করা যেতে পারে সামান্য কিছু ইনভেস্ট করে একটা ওয়েবসাইট মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করা যেতে পারে।

যদি ব্লগিং এর উপর আইডিয়া না থাকলে লেখালেখি শুরু করে দিন সাথে  msterblog.com/qna   গিয়ে লেখালেখি করুন আপনার নিশ বা বিষয়বস্তুর উপর। অনেক আইডিয়া পাবেন আপনার বিষয়বস্তু উপর। শুরু করুন ব্লগিং এর ব্লগিং এর চাহিদা দিন দিন বাড়তেছে। ব্লগিং নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের QnA  করে জানিয়ে দিন।

২। ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে প্যাসিভ ইনকামঃ

ব্লগিং এর পরে ইউটিউবের জনপ্রিয় অনেক বলা যায়। একজন ভালো ইউটিউবারে আয় একজন ব্লগার চেয়েও অনেক গুন বেশি হয়ে থাকে।ব্লগিং এবং ইউটিউব এক সাথে শুরু করতে পারেন।  আপনার কন্টেন্ট উপর নির্ভর করে আপনার ব্লগিং কিংবা ইউটিউব চ্যানেল গ্রো হবে তার আগে না।

দিন দিন ইউটিউবারে সংখ্যা বাড়তেছে, গুগলের পরে ইউটিউব এর উপর বেশি মানুষ সার্চ করে থাকে ইউটিউব গুগলের একটা অংশ। প্যাসিভ আয় হিসাবে ইউটিউব কে চয়েস করা যেতে পারে।

ইউটিউবে আপনি নিজের চেহারা এবং চেহারা না দেখিয়ে উভয় ভাবে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। আপনার বিষয়বস্তু নির্বাচন করে ইউটিউব কাজ শুরু করতে পারেন। ইউটিবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যাটাগরি মধ্যে হলো, Technology, review, motivation, movie review, influence guide, love advice. Make Money Online etc.

৩। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্যাসিভ আয়ঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ও প্যাসিভ আয় করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক সময়ের ব্যাপার। আপনার জবের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। প্রতিদিন ২-৪ ঘন্টা সময়ে দিয়ে শুধু মাত্র এডোবি ইলাস্ট্রটের টুলস গুলো শিখে গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করতে পারবেন। একটা সফটওয়ার এর মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর টুকিটাকি ডিজাইন শিখে ভালো মতো একটা ইনকামের সোর্স তৈরি করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কয়েকটি জনপ্রিয় ক্যাটাগরি?প্রতিদিন ডিজাইন প্র্যাকটিস করুন একটা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে, হতে পারে Flyer Design, Business Card Design, Birthday Card Design, এগুলো দিয়ে শুরু করুন নতুন অবস্থায়।

ডিজাইন এর জগতে এগুলো তুলনা মূলক ভাবে সহজ। যদি আপনার একটা আইডিয়া চলে আসে ডিজাইন নিয়ে তাহলে স্টক সাইটে কাজ করতে পারেন। ডিজাইন কোয়ালিটি ভালো হলে স্টোক সাইটে কাজ শুরু করুন।

যদি কোয়ালিটি ভালো না তাহলে কোন প্রকার স্টক সাইটে কাজ করবেন না। মনে রাখবেন একবার ডিজাইন তৈরি করলে এটা সারাজীবন এর জন্য স্টোক সাইটে থাকবে, যতবার সেল হবে ততবারই একটা কমিশন পাবেন স্টোক সাইট থেকে।

প্রতিদিন ২-৪ ঘন্টা সময় দিয়ে ৬ মাস প্র্যাকটিস করে একটা প্যাসিভ আয় করা সম্ভব। তার জন্য আপনার প্রয়োজন সময় একটা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন আর প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে। তাহলে ভালো একটি আয় করা সম্ভব হবে।

৪. ইন্সটাগ্রামে মাধ্যমে প্যাসিভ আয়ঃ

আরেকটা মজাদার আর সবচেয়ে আন-কমন প্যাসিভ আয়ের উৎস হলো ইন্সটাগ্রাম। এক দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ব্যবহার করা হয়ে গেলো অপর দিকে আয়ের একটা উৎস হবে।ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে অনেক প্রকার আয় করতে পারবেন।যেমন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর অনেক বড় সুবিধা পাওয়া যায় ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে।

প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যমে ব্লগিং

ভালো ভালো ক্লায়েন্টে পাওয়া যায় ইন্সটাগ্রামে। শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর জন্য না। বিভিন্ন সেক্টরের আয়ের সুযোগ আছে। সোশ্যাল ইনফ্লোয়েন্সার একটা বড় ভূমিকা আছে ইনস্টাগ্রামে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কিংবা অফ্যালিয়েট মার্কেটিং জন্য ইনস্টাগ্রামে বড় ভূমিকা আছে। কোন প্রতিষ্ঠানে পণ্য বিক্রি করা জন্য ইনস্টাগ্রামে অবদান অনেক। প্যাসিভ আয়ের অন্যতম সেরা উৎস হতে পারে ইনস্টাগ্রাম শুধু মাত্র ২-৪ ঘন্টা সময়ের দিয়ে সারাজীবন এর মতো একটা আয়ের উৎস বাহির হবে।Instagram influencer হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন ভালো চাহিদা আছে ভবিষ্যতে।

৫. Seo মাধ্যমে প্যাসিভ আয়ঃ

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেসন বা এসইও। সার্চ: সার্চ মানে হলো কোন কিছু গুগলে সার্চ দিয়ে খুঁজে বাহির করাকে বুঝায়। মনে করুন আপনি গুগল সার্চ বারে “প্যাসিভ ইনকাম “সার্চ করলেন এই পোস্টটি আপনার সবার উপরে আপনার সামনে আসলো এটাই একটা সার্চ এর ফলাফল।এই পোস্ট কে ভালো মতো SEO করার কারণে গুগল আপনার সামনে নিয়ে আসলো।

ইঞ্জিন: ইঞ্জিন হলো কোন গাড়ির মেইন পার্ট কে ধরতে পারি। ইঞ্জিন না থাকলে গাড়ি চলে না। ঠিক অনলাইনে কিছু সার্চ করতে বা খুঁজতে একটা মাধ্যমে প্রয়োজন হয় এটাকে সার্চ ইঞ্জিন বলা হয়। সোজা কথায় কোন কিছু সার্চ করার জন্য যে মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি তাকে সার্চ ইঞ্জিন বলা হয়। অনেক প্রকারের সার্চ ইঞ্জিন আছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গুগল মামা।

অপটিমাইজেসন: অপটিমাইজেসন হলো গুগলের নিয়ম কানুন মেনে চলা। মনে করুন আপনি গুগল মধ্যে Chang রিলেটেড কিছু সার্চ দিলেন সেটা হতে পারে টাকা change , অথবা কম্পিউটার পাওয়ার পয়েন্ট  change কিংবা, মানুষের মোড change আসলেই change শব্দ দিয়ে তিনটি মিনিং উল্লেখ করলাম গুগল আপনার প্রশ্নের জবাব এর উপর ভিত্তি করে change শব্দের সঠিক টা আপনার কাছে নিয়ে আসবে অপটিমাইজেসন এর মাধ্যমে।

SEO সবজায়গায় প্রয়োজন আছে যদি ব্লগিং শুরু করেন তাহলে SEO এর ভূমিকা অপরিসীম। SEO মাধ্যমে গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে টপে আনবে আপনার ওয়েবসাইট অর্গানিক ট্রাফিক আসবে আপনার প্যাসিভ আয় টা অনেক গুন বেড়ে যাবে।

২-৪ ঘন্টা সময়ে দিয়ে ব্লগিং এবং এসইও কাজ শিখে ভালো মানের একটা লংটাইম প্যাসিভ আয়ের উৎস হবে।

৬ মাস হাতে নিয়ে কাজে নেমে পড়ুন একদিন সফল হবেন কাজ করে যান এই প্যাসিভ আয় টা আপনার এ্যাক্টিভ আয়ের চেয়েও অনেক গুন বেশি হবে একদিন। কাজ করুন কিছু না করলে জয়ে ধনী শুনা যায় না কিছু না করলে আয়ের আরেকটা উৎস বাহির হয় না।

আমাদের QnA তে জয়েন হতে পারেন। আপনার যে কোন প্রশ্নর উওর থাকলে করতে পারেন আমাদের QnA তে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top