ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন | ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে, অনলাইনের মাধ্যমে কি ক্যারিয়ার করা সম্ভব বা ব্লগিং এর মাধ্যমে কি ক্যারিয়ার করা সম্ভব। উওরঃ হা! ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ও আপনার ক্যারিয়ার করা সম্ভব। ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন এবং এই ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন সব উওর পাবেন।

ব্লগ শুরুর করার গাইড এ-ই  পোস্টটি পড়লে আপনার সব প্রশ্নর উওর পেয়ে যাবেন!

অনেকে ব্লগিংকে প্যাসিভ আয় হিসেবে ব্যবহার করে আয় করে থাকে। আবার অনেকে নিজের লেখালেখি শখ থেকে ব্লগিং করে থাকে, এই শখ থেকেও আয় করে থাকে প্যাসিভ আয় হিসাবে। আপনার নলেজ বা “জ্ঞান” কে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারেন।

কেউ ভ্রমন করতে গেলো কোথাও সেই ভ্রমণের উপাখ্যান পুরো ব্লগে লেখে রাখে, ভ্রমণ ব্লগিং এর মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা এবং আনন্দ মানুষের সাথে ভাগাভাগি করা যায়।

ব্লগিং শুরু করার আগে আপনার নিজের ভাবনাটাকে কাজে লাগান।ব্লগিং করে যেমন টাকা আয় করা সম্ভব ঠিক এর বিপরীত ও হয় অনেক ব্লগার আছে ব্লগিং থেকে আয় করতে পারে না। কারণ তাদের ব্লগিংকে ভালো ভাবে নেয় নি।

ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনাকে অন্যর সমস্যা সমাধান করতে হবে ধরুন এই পোস্ট থেকে আপনি ব্লগিং কি?ব্লগিং শুরুর করার গাইড? সম্পর্ক পুরো ধারণা পেয়ে যাবেন, আগে হয়তো আপনি জানতেন না এসব প্রশ্নের উওর এ-ই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন।

আপনার মনের ভিতরের লুকিয়ে থাকা প্রশ্নের উওর, এই টা হলো ব্লগিং এর আসল রহস্য অন্যর সমস্যা বা সমস্যার সমাধান দেওয়ায় হলো ব্লগিং আসল মিনিং।

আপনার ভাবনা: আজকে আপনাকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করার গাইড, কিছু থিওরি এবং হাতে কলমে কিছু তথ্য আপনাকে জানাবো। এই আর্টিকেল থেকে আপনি ব্লগিং সম্পর্কে পুরো তথ্য জেনে যাবেন।

ব্লগিং শুরু করার আগে আপনার থেকে এই তথ্য গুলো আগে থেকে জানার প্রয়োজন তাহলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন খুব সহজেই।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়:

স্টেপ ১: ভালো একটা ব্লগ টপিক চয়েস করা।
স্টেপ ২: ব্লগিং প্লাটফর্ম চয়েস করা
স্টেপ ৩ : ডোমেইন নাম এবং হোস্টি
স্টেপ ৪: WordPress ইনস্টল করা
স্টেপ ৫: আপনার ব্লগ সাইট ডিজাইন করা।
স্টেপ ৬: প্রয়োজনীয় Plugin ইনস্টল করা।
স্টেপ ৭: আপনার প্রথম ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করুন
স্টেপ ৮: আপনার পোস্ট গুলো মানুষের সাথে শেয়ার করুন।
স্টেপ ৯: আপনার ব্লগ সাইটি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করার উপযোগী করে তুলুন।
স্টেপ ১০: আপনার ব্লগ সাইটে ট্রাফিক আনার জন্য “এসইও” করুন।

মনে রাখবেন আপনি যে বিষয় ব্লগিং শুরু করবেন সেই বিষয় যদি আপনার মজাই না আসে তাহলে এই টপিক নিয়ে ব্লগিং করতে যাবেন না। সচারাচর বেশিরভাগ সময় নতুন ব্লগাররা কোন রিসার্চ না করে ব্লগিং এর টপিক হিসেবে Make Money Online এই টপিক কে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই।

বর্তমান সময়ে এই টপিক নিয়ে অনেক পুরাতন পুরাতন ওয়েবসাইট গুগলে Rank করে আছে সেটা বাংলা হোক কিংবা ইংরেজিতে এই টপিক নিয়ে ব্লগিং করলে সামনে আগানো অনেক মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। “ব্লগিং Niche” চয়েস করার আগে একটু পরিকল্পনা এবং ভালো মতো রিসার্চ করলে ব্লগিং সফলতা পেতে পারেন।চলুন তাহলে ব্লগার হতে কি করতে হবে জেনে নেওয়া যাক।

স্টেপ-১: ভালো একটা ব্লগ টপিক চয়েস করাঃ

হয়তো এর আগেও একটু করে ধারণা দিয়েছি “টপিক বা Niche” কি। টপিক হলো একটা স্পেসিফিক একটা বিষয়কে বুঝানো হয়।একজন মানুষের উদাহরণ দিয়ে ব্লগ টপিক টা ক্লিয়ার করতেছি।

একবার একজন লোক কোরাতে আমাকে জিগ্যেস করতেছে সে স্পোর্টস নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে চাই, আমি তাঁকে বললাম কোন স্পোর্টস নিয়ে সে বলতেছে সব ধরনের খেলা নিয়ে সে ব্লগিং করবে। কোনদিন সম্ভব না সব স্পোর্টস নিয়ে ব্লগিং করা এটাতে অনেক রকমের সমস্যা হবে। তবে আমি তাঁকে সাজেশন দিয়েছে কোন একটা স্পোর্টস নিয়ে করতে। ক্রিকেটের উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করতেছি।

 

দেখুন ক্রিকেট একটা মেজর একটা ক্যাটাগরি ক্রিকেটে অনেক গুলো দেশ খেলা করে তার মধ্যে অন্যতম হলো সেরা ১০টি যে গুলো টেস্ট ক্রিকেট খেলে, শুধু মাত্র এই টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে একটা ক্যটাগরি করা যায়। আপনি শুধু মাত্র বাংলাদেশ কে নিয়ে একটা বড় ধরনের ক্যাটাগরি দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের a-z সব বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আবার ক্রিকেটারের Biography দিয়েও ব্লগ সাজাতে পারেন এই টপিক টা হিউস ভিজিটর পাবেন, যারা ক্রিকেট ভক্ত আছে তারা এগুলো অবশ্য পড়বে।

আপনার ব্লগটি বাংলা বা ইংরেজি দিয়ে শুরু করতে পারেন। ইংরেজি দিয়ে করলে বিভিন্ন দেশের ট্রাফিক আপনার ব্লগে পাবেন, বাংলা দিয়ে করলে বাংলাদেশ আর কলকাতার ট্রাফিক গুলো পাবেন।

ক্রিকেট নিয়ে কয়েকটি জনপ্রিয় Niches!

ক্রিকেট একটা মেজর ক্যাটাগরি তার সাব-ক্যাটাগরি হলো।

১। বিভিন্ন ক্রিকাটারের জীবনী।
২।বাংলাদেশ ক্রিকেট এর ইতিহাস।
৩।সাকিব-তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, বিরাট কোহলি, ধনী, রোহিত শর্মা ইত্যাদি বড় বড় তারকা দের নিয়ে ও দিয়ে একটা Niches করা যায়।
৪।টেস্ট খেলে এবং দেশ গুলোকে নিয়ে একটা ব্লগ সাইট।
৫। Test, ODI, T-20 এই তিন ফর্মেট দিয়ে একটা ব্লগ ।
৬। এই Niche টা যদি ইংরেজিতে করতে পারলে খুব বেশি ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব এবং ভালো মানের টাকা ও আয় করা সম্ভব। এই টপিক শুধু মাত্র Australia and England দেশের জন্য করতে হবে।

দুইটা থেকে যেকোনো একটা দেশ কে টার্গেট করে একটা ভালো ব্লগ তৈরি করতে পারেন, শুধু মাত্র Australian Cricket কে টার্গেট করে তাদের ক্রিকেটের অবস্থা, তাদের ক্রিকেটারে জীবনী এবং কোন ফর্মেটে কে কেমন খেলতেছে।কোন দেশে সফর করতেছে এসব নিয়ে একটা ব্লগ সাইট করলে হিউস আয় করা সম্ভব।

কম সময়ে মধ্যে কারণ এগুলো নিয়ে তেমন ব্লগার নেই বললে ও চলে যদি কোয়ালিটি কন্টেন্ট এবং ভালো এসইও করলে প্রতিমাসে ভালো একটা আয় করা সম্ভব।

আমি আপনাকে একটা রিকোয়েস্ট করবো আপনি যখন এই সেক্টর নতুন তাহলে আপনি খাতা-কলম নিয়ে বসে পড়ুন আপনার পছন্দের টপিক সম্পর্কে লেখে রাখুন। কোন কোন টপিক আপনার ভালো লাগে। উদাহরণস্বরূপ: Travelling, Finance, Babycare, Health Care,
Photography, Scientific Research , Fashion, Technology, Motivation etc…

এই ধরনের টপিক হতে পারে আপনি আপনার পছন্দের বিষয় বস্তু লিখে রাখুন। এগুলো নিয়ে ইন্টারনেট খুঁজে দেখুন আপনার কম্পিটিটর কি রকম লিখতেছে। তার কোন পজিশন আছে একটা জিনিস মনে রাখবেন কপি-পেস্ট ব্লগিং করবেন না, তাহলে বেশিদিন আগানো যাবে না, গুগুল আপনার ওয়েবসাইট কে Rank করবে না। নিজের মাইন্ড থেকে লেখা শুরু করুন।

হুট করে ব্লগিং শুরু করবেন না তাহলে বিপদে পড়ে যাবেন, তাড়াহুড়ো করে Niche চয়েস করবেন না, এমন কেন Niche চয়েস করা ভালো না যেটাতে আপনার Passion নেই।

আপনি যে Niche চয়েস করবেন সেটাতে যদি আয় ও কম হয় তাহলে অসুবিধা নেই কারণ এই টপিক আপনার Passion আছে। যে জিনিসের Passion আছে সেটা করতে ভালো ও লাগে আস্তে আস্তে এটাতে ভালো আয় হয়।

স্টেপ ২: ব্লগিং প্লাটফর্ম চয়েস করাঃ

বর্তমান সময়ে অনেক প্লাটফর্ম হয়েছে ব্লগিং করার জন্য তার মধ্যে অন্যতম হলো “WordPress” পুরো পৃথিবীর ৩৭% ওয়েবসাইট এই প্লাটফর্ম এ মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। WordPress ব্যবহার করা খুবই সহজ তাই ইউজারদের কাছে খুব সহজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

শুধু এটা না এ ছাড়াও আরও অনেক আছে, তার মধ্যে ব্লগার ডট কম ফ্রি ব্লগিং এর জন্য এটা সবচেয়ে জনপ্রিয়। বেশিরভাগ সময়ে নতুন ব্লগাররা ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করে দেয় blogger.com এর মাধ্যমে এটি গুগলের একটা পণ্য।

আপনি যদি ব্লগিং থেকে আয় করতে চান তাহলে ফ্রি ব্লগিং থেকে দূরে থাকুন, আবার অনেকে ভেবে থাকে ফ্রি ব্লগিং থেকে ব্লগিং শুরু করে কিছু টাকা আয় করে তার পরে না হয় টাকা খরচ করে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে না হয় আবার নতুন ভাবে আগানো যাবে।

এটা একটা বড় ভুল ডিসিশন আপনার ওয়েবসাইট হলো আপনার সম্পদ। বর্তমান সময়ে গুগলে Rank করা অনেক কষ্ট কর। বিশেষ করে নতুন ওয়েবসাইট কে গুগল সহজে Rank দেয় না। একটা ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন আছে আপনি ভেবে দেখুন কোথায় কাজ করবেন ফ্রি ব্লগিং নাকি নিজের ক্রয় করা ডোমেইন-হোস্টিং দিয়ে শুরু করবেন। আবার ব্লগারে আপনার ক্রয় করা শুধু মাত্র ডোমেইন দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন, হোস্টিং ক্রয় না করেও ব্লগারে মাধ্যমে নিজের নামে ডোমেইন দিয়ে শুরু করা যায়।

আপনার যদি প্রথম অবস্থায় ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে সমস্যা থাকলে। আপনি জাস্ট একটা ডোমেইন নাম নিয়ে ব্লগারের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। এই ডোমেইন নাম আপনার সম্পদ এই সম্পদকে আপনি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলন।

আপনিই চয়েস করুন কোন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করবেন, আমি রিকমেন্ড করবো WordPress দিয়ে শুরু করা।

স্টেপ ৩ : ব্লগ নাম বা ডোমেইন নাম এবং হোস্টি

ব্লগ নাম চয়েস করার আগে এই তথ্য গুলো জেনে নেওয়া আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করে ডোমেইন নাম চয়েস করুন।সবসময় চেষ্টা করুন “ডট কম (.com)” ডোমেইন নাম নিতে। ডোমেইন নামে নাম্বার, হাইফেন এবং এমন কোন শব্দ ব্যহার করবেন না যে নাম আপনার ভিজিটর মনে রাখতে পারবে না।
চেষ্টা করুন ১২ শব্দের মধ্যে নিতে।

১. সহজে মনে রাখা যায় এমন নাম নেওয়া ভালো। আপনার নামে ও শুরু করতে পারেন।
২. খুব সহজে ভিজিটর আপনার নাম গুগল সার্চবারে টাইপ করতে পারে এমন নাম নেওয়া ভালো।
৩.নামটি সুন্দর এবং ব্যান্ডের মতো হ’য়ে দাঁড়ায় এমন নাম নিতে চেষ্টা করুন।
৪.আপনার ডোমেইন নামে স্পেলিং যেন ঠিক থাকে।
৫.(.info), (.net) এগুলো নিতে চেষ্টা করবেন না,এই এক্সটেনশন গুলো গুগলে Rank পেতে দেরি করে থাকে । সবসময় চেষ্টা করুন (.com) & (.org) নিতে।

আপনার নিজের নামে ডোমেইন নিতে পারেন আপনার নামকে একটা Brand এর রুপ দিতে পারেন অথবা আপনার নিক-নামের পরে ব্লগ নাম যুক্ত করে নিতে পারেন। উদাহরণ :Karimblog, Riponblog ,monirblog, Rahimblog etc..এই ভাবেও আপনার ব্লগটি নাম চয়েস করতে পারেন।

হোস্টিং: নাম তো নেওয়া হলো এবার হোস্টিং নেওয়ার প্রয়োজন,হোস্টিং কি! হোস্টিং কে একটা দোকানের সাথে তুলনা করতে পারি। হোস্টিং হলো জায়গা ডোমেইন নাম হলো দোকানের নাম।

আমরা যদি কোন দোকান ক্রয় করলে একটা স্পেস পাই, অনলাইন ও দোকান করতে একটা স্পেস প্রয়োজন। এটাকে বলা হয় হোস্টিং। নতুন ব্লগের এ জন্য কম স্পেস দিয়ে ও প্রথম দিকে শুরু করা যায়। ডোমেইন নামে জন্য প্রতিবছর ৳ ৮০০- ১০০০ টাকা আর হোস্টিং এর জন্য ৳১৫০০-২৫০০ টাকা মতো খরচ করতে পারেন।

আপনার ব্লগ সাইট এর ওপর নির্ভর করে স্পেস বাড়াতে পারেন পরবর্তীতে। প্রথম অবস্থায় এই ডোমেইন -হোস্টিং দিয়ে শুরু করতে পারেন। এসইও এর জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব হলো হোস্টিং, আপনার হোস্টিং স্পিড যতো ভালো হবে এসইওতে আপনার Rank পেতে ততই সহজ হবে। আপনি যদি বাংলাদেশের অডিয়েন্স টার্গেট করে থাকেন তাহলে আপনি BDIX এই হোস্টিং প্ল্যানটি নিতে পারেন। এটা বাংলাদেশের অডিয়েন্স এর জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো।

হোস্টিং ক্রয় করার সময় যা করবেন না, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ অনেক হোস্টিং কোম্পানি আছে কম টাকায় ডোমেইন হোস্টিং দিয়ে থাকে এগুলো থেকে বিরত থাকুন।এই কোম্পানি থেকে নিতে পারেন Exonhost এরা খুব ভালো এবং তাদের কাস্টমার সাপোর্ট খুবই ভালো দিয়ে থাকে। আপনার ওয়েবসাইট স্পিড যত ভালো হবে ভিজিটর ততই আপনার ওয়েবসাইট আসবে, একটা ওয়েবসাইট সাধারণ ৩-৫ সেকেন্ড এর স্পিড বা লোড হতে সময়ে নিয়ে থাকে ৩ সেকেন্ড হলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় ৫ সেকেন্ড হলো অনেকটা খারাপ বলা যায়। এটার উপর নজর দেওয়া দরকার।

 

নোট : হোস্টিং হলো সবকিছু একটা ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে। হোস্টিং যত ভালো হবে একটা ওয়েবসাইট ততই উপরে Rank করবে।

 

এই কোম্পানি থেকে হোস্টিং নিতে পারেন। খুব ভালো সাপোর্ট এবং ডাটা সেন্টার বাংলাদেশে পাবেন।

এই লিঙ্কে ক্লিক করে এমন একটা পেইজে আসবে, স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করুন।

 

হোস্টিং কোম্পানি

Get Started ক্লিক করুন তার পর নেক্সট পেইজে এমন একটি পেইজ আসবে👇

 exonhost price list
Hosting Plan

এই ফিউচার গুলো পাবেন আপনার হোস্টিং এর সাথে।  এই পেইজ আসার পর Get Started ক্লিক করুন পরবর্তী পেইজে নিয়ে আসবে আপনাকে।

ডোমেইন নাম সেটাপ
আপনার ডোমেইন নাম দিন

রেজিস্ট্রার এ নেই ডোমেইন নামে আপনার ডোমেইন নাম টি দিন উদাহারন হিসাবে আমার নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই রকম একটা ডোমেইন নাম দিন। নাম দেওয়ার পর ডোমেইন নামটি Available আছে কিনা দেখুন যদি থাকে তাহলেই এই রকম ছবি আসবে আপনার সামনে।

Domain name available
Domain name Available থাকলে এমন একটা লেখা আসবে

তার পর আপনার একউানট টিতে আপনার সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে Next Click করুন

একাউন্ট ইনফরমেশন
একাউন্ট ইনফরমেশন

একাউন্ট ইনফরমেশন

আপনার ইনফরমেশন ঠিকমতো দিয়েছেন কিনা লক্ষ্য রাখুন।

এটি গুরুত্বপূর্ণ
এটি গুরুত্বপূর্ণ

ডাটাসেন্টারে রে আপনি বাংলাদেশ থেকে হলে বাংলাদেশ করো দিবেন, যদি আপনারা অডিয়েন্স বাংলাদেশ থেকে হলে তাহলে।যদি ইন্ডিয়া থেকে হয়ে থাকলে ডাটাসেন্টার Singapore দিতে পারেন।

এই সব দেওয়ার পর Extra option  Click করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

আপনার ইমেইল একটা OTP আসবে এটা সেটআপ করে দিন
আপনার ইমেইল একটা OTP আসবে এটা সেটআপ করে দিন

OTP দেওয়ার পর Verified করে নিন।

OTP ভেরিফাই করার পর পেমেন্ট করে দিন। আপনি নগদ/বিকাশ বিভিন্ন পেমেন্ট গ্রেটওয়ে আছে পেমেন্ট সম্পন্ন করে দিন।

পেমেন্ট সেটআপ
পেমেন্ট সেটআপ দিন

পেমেন্ট পে হয়ে গেলে আপনার ইমেইল হোস্টিং এর ডিটেইলস দিয়ে দিবে।  ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে আপনার নামে ডোমেইন নাম টা রেজিষ্ট্রেশন হয়ে যাবে।

 

নোটঃ আমাদের এই লিঙ্ক থেকে ক্লিক করলে আমরা একটা ছোট কমিশন পাবো।আপনার কোন এক্সটারা খরচ হবে না।

হোস্টিং ক্রয় করুন

 

 

স্টেপ ৪: WordPress ইনস্টল করা

ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করার পর আপনার ডোমেইন এখনো WordPress ইনস্টল করতে হবে। প্রথমে আপনাকে হোস্টিং Cpanel লগিন করতে হবে আপনার ডোমেইন এর পর / cpanel দিলে আপনার cpanel যাবতীয় ইনফরমেশন চলে আসবে। Cpanel থেকে WordPress সেট আপ করতে হবে নিচের স্কিন শর্ট গুলো ফলো করুন।

 

 Cpanel logain
Cpanel

প্রথম অবস্থায় cpanel দেখতে অনেকটা এই রকমের।yourdomanin.com/cpanel আসবেন cpanel লগিন তথ্য দেওয়ার পর ওয়ার্ডপেস সেটআপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আপনার ওয়েবসাইট।

Cpanel একটু নিছে আসলে দেখবেন WordPress  software সেটআপ দেওয়ার জন্য একটা অপশন।

 

wordpress software
wordpress software

Scripts থেকে WordPress এ ক্লিক করুন। আপনাকে নতুন একটা পেইজে নিয়ে যাবে।

wordpress software install page
wordpress software install page

 

নিছে আসলে চপনি ইন্সটল এর জন একটা বাটন দেখবেন।

ইন্সটল
ইন্সটল ক্লিক করুন

ইন্সটল ক্লিক করলে নতুন আরেকটা পেইজে আপনাকে নিয়ে যাবে।

ডোমেইন নাম সিলেক্ট করুন
ডোমেইন নাম সিলেক্ট করুন

এই পেইজ থেকে https সিলেক্ট করে তার পর আপনার ডোমেইন টা সিলেকশন করুন। আমি আপনাদেরকে দেখানোর জন্য সাব ডোমেইন দিয়ে দেখাচ্ছি। একই পদ্ধতিতে আপনারা করবেন। Choose domain  নামে আপনি যে ডোমেইন টা নিয়েছেন সেটা সিলেক্ট করবেন। আপনার যদি কয়েকটি ডোমেইন নাম নেওয়া থাকে তাহলে সব গুলো দেখাবে আপনাকে। In  Drectory সাধারণত wp থাকবে সেখান থেকে এটাকে খালি রাখবেন। এর পর আসবে সাইট সেটিং, আপনার মতো করে সাইট সেটিং দিয়ে দিন।

সাইট সেটিং
সাইট সেটিং

এর পর আসবে Admin Panel

Admin User Name, Password, একটা ইমেইল ঠিকানা দিয়ে দিবেন। User Name  and password আপনার ওয়েবসাইট কে লগিন করতে সাহায্য করবে।তার পর একদম নিছে চলে আসবেন।ইন্সটল তে ক্লিক করবেন

 

ইন্সটল তে ক্লিক করুন
ইন্সটল তে ক্লিক করুন

 

ইনস্টলেশন ক্লিক করলে আপনার ওয়েবসাইট WordPress ইনস্টল হয়ে যাবে। install হওয়ার পর একটা আপনার কাছে মেসেজ আসবে।

সফটওয়্যার ইন্সটল হয়েছে সঠিক ভাবে
সফটওয়্যার ইন্সটল হয়েছে সঠিক ভাবে

আপনার ওয়েবসাইট টা ভিজিট করুন। ভিজিট করার পর আপনার ওয়েবসাইট টা দেখতে পাবেন ঠিক এই রকম ভাবে।

একটা নতুন ওয়েবসাইট 
একটা নতুন ওয়েবসাইট

আপনার সাইট রেডি হওয়ার Admin panel ঢুকতে yourdomainname.com/wp-admin ক্লিক করুন। এইখান আপনার User Name এন্ড পাসওয়ার্ড দিয়ে জয়েন হন।

জয়েন হওয়ার  পর আপনার প্রয়োজনিয় সেটিং করে নিন।

Wordpress Dashboard
WordPress Dashboard

 

স্টেপ ৫: ব্লগ সাইট ডিজাইন করা

 

আপনার ব্লগে WordPress ইনস্টল করা শেষ হয়েছে। এখন নিজের মতো করে ব্লগসাইট ডিজাইন করা প্রয়োজন। ব্লগ সাইট ডিজাইন করার জন্য আপনার থেকে একটা থিম প্রয়োজন থিম কি?

থিম কি এটা জানার আগে ওয়ার্ডপ্রেস কি সেটা জানা প্রয়োজন
ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি ওপেন সোর্স (Open Source) কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Content Management System) বা CMS। আপনি এই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কোন প্রকার কোডিং ও প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কোন রকম জ্ঞান ছাড়াই একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন খুব সহজে। আমরা কেন ওয়ার্ডপ্রেসকে চয়েস করবো অন্য কোন CMS বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি নেই, অবশ্যই আছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো WordPress, পুরো পৃথিবীতে ৩৭% ওয়েবসাইট WordPress দিয়ে তৈরি তাই আমরা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবো।

থিম হলো একটি ওয়েবসাইটের গঠন বা আকার নির্ধারণ করে, যা কিছু টেমপ্লেট এবং স্টাইলশিট এর মাধ্যমে তৈরি। একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে সেটা থিম এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আপনি কোডিং জানা ছাড়া একটি থিম কাস্টমাইজ করতে পারেন খুব সহজে।

 

থিম ৩ ভাবে পাওয়া যায় এক ফ্রি থিম,দ্বিতীয় টাকা দিয়ে কেনা থিম তৃতীয় নাল বা ভাইরাস সংক্রমণ যুক্ত থিম। বেশীর ভাগ সময়ে তৃতীয় থিমটা ব্যবহার করে থাকে নতুন ব্লগাররা তারা মনে করে নাল থীম ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হয়না।

হা নতুন অবস্থায় সমস্যা হয় না। সচারাচর আপনার ওয়েবসাইট জনপ্রিয়তা পেলে যেকোনো সময় ওয়েবসাইট হ্যাক হতে পারে বা আপনার এতো দিনের সব মেহনত ধ্বংস হয়ে যাবে। ভুলেও নাল থীম ব্যবহার করবেন না, প্রয়োজনে ফ্রী থীম ব্যবহার করা ভালো।

ফ্রি থিমে সাধারণ তেমন ফিচার থাকেনা, তাই একটা ভালো মানের পেইড থীম ব্যবহার করতে পারেন থীম একবার কিনলে সারাজীবন ব্যবহার করতে পারবেন একটা থীমের মূল্য $৪০-$৬০ ডলার মতো হয়। আপনার বাজেট ভালো থাকলে Themeforest থেকে নিতে পারেন। একবার ক্রয় করলে সারাজীবন আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য থেকে যাবে।

স্টেপ ৬: প্রয়োজনীয় Plugin ইনস্টল করা

 

আপনার ওয়েবসাইট কে আরও আকষ্মিক করতে প্লাগিন ব্যবহার করা হয়। সাধারণ থীমে যে সকল সুবিধা থাকে না, সেগুলো প্লাগিন দিয়ে করা হয়ে থাকে। যেমনঃ আপনি আপনার ওয়েবসাইট আপনার ভিজিটর থেকে ইমেইল সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার প্লাগিন প্রয়োজন, আপনার সাইটে এসইও মেগা ট্যাগ এর জন্য বা এসইও করার জন্য প্লাগিন প্রয়োজন।

আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য প্লাগিন প্রয়োজন। আশা করি প্লাগিন এর গুরুত্বটা কতটা বুঝা গেছে। কিছু প্রয়োজনীয় প্লাগিন নাম!

কয়েকটি জনপ্রিয় প্লাগিন।

Elementor
Seo এরজন্য Yoast, Rank Math, AIOSEO
Wp rocket ওয়েবসাইট এর স্পিড বাড়ানোর জন্য।
ইমেইল কালেকশন করার জন Convertful এর মতো প্লাগিন ব্যবহার করতে পারেন।
আরও অনেক প্লাগিন আছে যে গুলো আপনার প্রয়োজন হবে তখন নিয়ে নিবেন।

এই প্লাগিন দিয়ে নতুন প্রাথমিক কাজ করা যাবে পরবর্তীতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্লাগিন ইন্সটল করতে পারবেন, প্লাগিন বেশি ব্যহার করলে সাইটের লেড হতে দেরি হয় তাই বেশি প্লাগিন ব্যবহার না করায় ভালো।

স্টেপ ৭: আপনার প্রথম ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করুন

 

ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করা আগে আপনার থেকে কন্টেন্ট প্ল্যান করে রাখতে হবে কি রকম কন্টেন্ট তৈরি করবেন। কখন পোস্ট করবেন সেটা প্ল্যান করে রাখা হলো সবচেয়ে বড় কাজ।

নতুন ব্লগাররা বেশি ভুল করে হলো তাদের কোন কন্টেন্ট প্ল্যান বা সিডিউল থাকে না। আপনার ক্ষেত্রে কিন্তু এটা না হয় মতো। আপনার নোটেশনের মধ্যে কন্টেন্ট প্ল্যান টা তৈরি করে রাখতে পারেন। কন্টেন্ট প্ল্যান আইডিয়াটা একটু আপনাকে শেয়ার করি।

আপনি যে Niche কাজ ব্লগসাইট তৈরি করবেন সে ব্লগসাইট তো কন্টেন্ট এর আইডিয়া আপনার মাথায় বেশি আসবে না হয়তো ৪-৫ টা কন্টেন্ট লেখে তার পর দেখবেন আইডিয়া ও খুঁজে পাচ্ছেন না।

তার জন্য আপনাকে আপনার রিলেটেড ব্লগসাইট গুলিতে নিয়মিত ভিজিট করতে হবে সেখান থেকে যদি আইডিয়া পেয়ে যান তাহলে সেটা এক্সেল নোট করে রাখুন টাইটেল, হেডিং, সাবহেডিং, জাস্ট নোট করে রাখুন।

মনে রাখবেন হুবুহু কোন ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্ট কপি করবেন না,টাইটেল ও কপি করবেন না, আপনার নিজের মতো করে লিখুন, গুগল আপনাকে কপি করলে Rank দিবে না। যদি ব্লগিং কি করে করতে হয় সেটা না জানলে তাহলে সবার প্রথমে ব্লগিং শিখুন, শিখতে সময় লাগেনা কপি করতে সময় লাগে এটা মনে রাখবেন।

আপনার প্রথম ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করুন, কন্টেন্ট হলো একটা ওয়েবসাইট এর প্রাণ, গুগল পছন্দ করে কন্টেন্ট, আপনি যত কন্টেন্ট লেখবেন ততই গুগল আপনাকে প্রধান্য দিবে। কন্টেন্ট মিনিমাম ১০০০+ শব্দের হতে হবে।

কম আর্টিকেল গুগল সহজে Rank করে না তাই বেশি শব্দের আর্টিকেল লেখতে চেষ্টা করুন। গুগল থেকে কোন ইমেজ ব্যবহার করবেন না। কপিরাইট মুক্ত ছবি ব্যবহা করুন।

pixabay এই ওয়েবসাইট থেকে ছবি ব্যবহার করুন কোন প্রকার কপিরাইট আসবে না। YouTube থেকে ভিডিও embed করে ব্যবহার করতে পারেন যদি কোন ভিডিও ব্যবহার করতে চান তাহলে। যদি গুগল থেকে ট্রাফিক পেতে চান তাহলে কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল লেখুন তাহলে সহজে গুগল আপনাকে ফাস্ট পেইজে জায়গা করে দিবে।

স্টেপ ৮: প্রয়োজনীয় পেইজ গুলো তৈরি করুন

গুগলে Rank করার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনিয় পেইজ তৈরি করতে হবে।এই পেইজ গুলো গুগল দেখে এগুলো অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট যুক্ত করুন।

প্রয়োজনীয় পেইজে গুলো!

১.About page:
২.Contact page:
৩.Privacy policy page
৪.Disclaimer page
৫.Terms and conditions

এই পেইজ গুলো অবশ্যই যুক্ত করুন

 

স্টেপ ৯: আপনার ব্লগ সাইটি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করার উপযোগী করে তুলন



 

গুগল এডসেন্স হলো ব্লগারদের জন্য আয়ের একটা উৎস।শুধু এটা না আয়ের আরও অনেক উৎস আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটকে আয়ের উপযোগী করতে হলে মিনিমাম ২০-৩০ টি মতো আর্টিকেল থাকলে হবে।

শুধু আর্টিকেল থাকলে হবে না আরও অনেক কিছু প্রয়োজন আছে সেগুলো ফুলফিলাপ করলে সহজে এডসেন্স অনুমোদন পেয়ে যাবেন।

১। ওয়েবসাইট এর চেহেরাটা আকষ্মিক হতে হবে।
২। কপিরাইট মুক্ত, আর্টিকেল, ইমেজ থাকতে হবে।
৩। আপনাকে যে সব গুরুত্বপূর্ণ পেইজ যুক্ত করতে বলা হয়েছে এগুলো অবশ্যই থাকতে হবে।
৪। আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর থাকতে হবে। যদি সম্ভব হয় অর্গানিক ভাবে ভিজিটর তাহলে সহজে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
৫। ৫-৬ টা আপনার ওয়েবসাইট মেনু থাকতে হবে।

আপাতত এগুলো থাকলে ১০০% অনুমোদন পাবেন। যদি অনুমোদন পেতে সমস্যা হয় তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আপনাকে ফ্রিতে সম্পন্ন সহোযোগিতা করা হবে।

শুধুমাত্র গুগল এডসেন্স না অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের এর মাধ্যমে ও আপনি ভালো আয় করতে পারেন।

১.google AdSense

2.Affiliate marketing
3.Sponsored content
4.Amazon affiliate program (বাংলাদেশের জন্য বাংলা ব্লগে সম্ভব নয় তবে দারাজ এ সম্ভব আমাজন বাংলাদেশ আসলে বাংলা ব্লগে ওসম্ভব হবে তবে ইন্ডিয়ায় কলকাতায় যারা আছে তাদের জন্য ও খুব সহজে বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
5.Direct ad sales
6.Own digital products eBooks, Online course etc..

স্টেপ ১০: আপনার ব্লগ সাইটে ট্রাফিক আনার জন্য (এসইও) করুনঃ

 

আপনার ব্লগ তো রেডি হলো এখন প্রয়োজন এসইও, এসইও যত ভালো করতে পারবেন ততই ট্রাফিক আসবে। নতুন অবস্থায় ভালোমতো এসইও হয়তো সম্ভব হবে না তবে আপনার ব্লগে ট্রাফিক আনতে নিছের স্টেপ গুলো ফলো করুন সহজে ট্রাফিক আনতে পারবেন।

 

১. ট্রাফিক এর ভান্ডার হলো কোরা কোরাতে ভালোমতো উওর দিয়ে আপনার সাইটে ট্রাফিক আনুন। কোরাকে কাজে লাগাতে পারলে প্রতিমাসে ১০-৫০ হাজার মতো ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।

২। সোশ্যাল মিডিয়ায়ঃ ফেসবুক হতে পারে ট্রাফিক এর আরেকটা উৎস তবে নতুন অবস্থায় কোরায় সবচেয়ে ভালো। আপনার রিলেটেড বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপকে Target করে ভালো মতো ট্রাফিক আনতে পারেন। শুধু ফেসবুক না ইনস্টাগ্রামে আছে পিন্টারেস্ট, মিডিয়াম ইত্যাদি এগুলো ও ব্যবহার করে ভালো ট্রাফিক আনা সম্ভব।

আপনার একটা ফেসবুক পেইজে থাকতে হবে আপনার ওয়েবসাইট নাম দিয়ে সেখানে প্রতিনিয়ত আপনার আর্টিকেল শেয়ার করতে পারেন। শেয়ার করবেন অবশ্যই স্পামিং করবেন না,স্পামিং করলে আপনার ডোমেইন নাম ব্লগ করে ফেলতে পারে ফেসবুক কমিউনিটি। তাই সাবধানে লিংক শেয়ার করুন।

৩। ভালো মতে অন-পেইজ এসইও করুন, ভালে মতো কনটেন্ট মধ্যে keyword ব্যবহার করুন, গুগল মধ্যে আপনি Rank পাবেন। আপনার ওয়েবসাইট যে কাজ গুলো করবেন সে গুলো অনপেইজ এসইও অন্ত ভুক্ত হবে।

৪। অফ -পেইজ এসইও করুন অফ-পেইজ হলো আপনার ওয়েবসাইট কেন কাজ করবেন না, আপনার ওয়েবসাইট এর বাহিরে যে কাজ গুলো করবেন সেগুলো হলো অফপেইজ এসইও যেমনঃ Back link তৈরি করা অন্যর ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

আপনার কাছে থাকা কিছু প্রশ্ন?

 

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

 

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা নিদিষ্ট কোন হিসাব নাই তবে এইটুকু বলা যায় আপনার ব্লগ সাইটি যদি দাঁড় করাতে পাটেন তাহলে অতি সহজেই আপনি ভালো একটা আয় করতে পারবেন। প্রতিমাসে $৩০০- $৫০০ ডলার মতো আয় করা সম্ভব বাংলা ব্লগ হতে, যদি ইংরেজি ব্লগ হলে এই ইনকাম আরও বেশি হবে আপনি ওয়েব সাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে ততই আপনার আয় বাড়বে।

ফ্রি ব্লগ থেকে আয়?

ফ্রি ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায় তবে এটা থেকে বেশি আয় করতে পারবেন না। ফ্রি ব্লগ সাইটে আপনার অনেক সময় লস হবে, আপনি পরবর্তীতে যদি টাকা দিয়ে ওয়েব সাইট তৈরি করে ব্লগিং শুরু করেন তাহলে ফ্রি ব্লগিং আপনি যা কষ্ট করেছেন সব নষ্ট হয়ে যাবে, শুধু শুধু সময় লস ছাড়া আর কিছু না।

ব্লগ সাইটে প্রতিদিন কতটি পোস্ট করা উচিত?
ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করা উচিত। আপনি যদি আপনার ব্লগে ২০০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল লেখেন তাহলে সপ্তাহে ২-৩ টি যথেষ্ট। যদি ৭০০-১০০০ ওয়ার্ডের লেখে থাকপন তাহলে প্রতিদিন একটা করে লেখা উচিত।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার একটা শেয়ারের মাধ্যমে অন্য জন জানতে পারবে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top