অনলাইন ব্যবসা শুরু করুন

৭ টি উপায়ে ২০২৩ সালে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করুন: সঠিক উপায়ে!

ব্যবসা করলে আপনার লাইফ স্টাইল টা পরিবর্তন হবে। কর্পোরেট চাকরিতে আপনি নিদিষ্ট একটা মাইনে তে টাকা আয় হবে যা একটা সীমিত আয়। কর্পোরেট জব আপনাকে স্বপ্নের জীবনধারার কোথাও নিয়ে যাবে না।
আপনি যা করতে চান তা তা কিছু করতে পারবেন না।তবে একটা অনলাইন ব্যবসাতে আপনার যা আয় হবে তা দিয়ে আপনি আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনাকে ৭ টি উপায়ে একটা ব্যবসা শুরু করতে হয় তার উপায় বলবো। এই ৭ টি উপায় আপনাকে একটা সঠিক ব্যবসা কি করে করতে হয়  শিখাবে।
আপনি যদি মনে করেন অনলাইনে ব্যবসা শুর করার জন্য হাজার হাজার টাকা লাগবে এবং আপনার জবটা ছেড়ে দিতে হবে তাহলে আপনার অনুমান টা সঠিক না।
আপনি যদি চাকরি করেন এবং অনলাইনে আয় ও করেন তাহলে আপনার চাকরির ছাড়ার কোন প্রয়োজন নাই। তখনই আপনার চাকরি ছেড়ে দিবেন যখন আপনার অনলাইন আয় এবং কর্পোরেট জবের বেতন সমান সমান হবে। তাহলে,  আপনার অনলাইন ব্যবসাকে কর্পোরেট ব্যবসার চাইতে মূল্য দিতে পারেন।
 আপনি যদি প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে আপনার ওয়েবসাইট  সময় দেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে ৫ অঙ্কের একটা আয় করতে পারবেন।  এটা আমাদের ওয়েবসাইট এর পাঠকদের জন্য। আপনি আমাদের গাইডগুলো ফলো করলে এই টাকাটা অবশ্যই আয় করতে পারবেন।
আমি আমার ওয়েবসাইট এর জন্যে  একটা ভালো মানের হোস্টিং ব্যবহার করে থাকি। আপনি ও এই হোস্টিং টা ব্যবহার করতে পারবেন। 
আমি আমার ওয়েবসাইট হোস্টিং এর জন্য প্রতি বছর প্রায় ৳৩৫০০ টাকা  এর ব্যাপক বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করেছি। যদি আপনি এটি সামর্থ্য করতে পারেন, আপনি একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং আপনি বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই সামান্য টাকা বিনিয়োগ করে। 
আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে! আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি কি কি পেতে পারেন। রিয়েল ভাবে এবং রিসার্চ করা মাধ্যমে আপনি কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবেন আমাদের থেকে, সম্পন্ন ফ্রিতে। এই উপায় গুলো আগে কোথাও পাবলিশ হয়নি, এই ওয়েবসাইট এর পর হলে হতে পারে।
খুবই কম টাকা ইনভেস্ট করে আপনি অনলাইনে যে কোন বিজনেস শুরু করতে পারেন। আপনি যদি এর আগে অনলাইনে কোন বিজনেস শুরু করেন নাই বা করতে চান তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য।
একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার সময় আপনাকে যে পদক্ষেপগুলি করতে হবে তা আমি আপনাকে দিতে চাই। এগুলি আমার মতে একেবারেই অপরিহার্য এবং আপনি যদি নিশ্চিত করতে চান যে আপনি এই সকল ধাপ  অনুসরণ করেন, তাহলে এই পোস্টের শেষ অবধি আমার সাথে থাকুন। কারণ আমি আপনাকে একটি চেকলিস্টের আকারে শেয়ার করবো।

1. আপনার দক্ষতার একটি তালিকা তৈরি করুন! যাতে আপনার দক্ষতা এখনই মনিটাইজ শুরু করতে পারেন

যদি আপনার কাছে এমন কোনো দক্ষতা বা স্কিল না থাকে, তাহলে আমি আপনাকে আপনার আবেগ এবং শখের তালিকা তৈরি করুন।অনেকর সফল ব্যবসা শুধুমাত্র একটি শখ থেকে শুরু,আপনি ও শুরু করতে পারেন আপনার শখ থেকে একটা সাকসেসফুল অনলাইন ব্যবসা।
নিজেকে 20 বা 30 মিনিট সময় দিন এবং আপনার ধারনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। চিন্তাভাবনা করার আগে কাগজ এবং কলম সাথে রাখুন।শুধু কাগজের টুকরোতে আপনার মনে যে যে চিন্তাভাবনা আসবে সবই লিখে ফেলুন।
 এই ধারনাগুলির মধ্যে কোনটি এখনও মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করবেন না।যদি আপনার লেখা হয়ে যায় তাহলে আপনার পরবর্তী ধাপ হল এটির মধ্যে  আপনাকে শীর্ষ তিনটি পছন্দের মধ্যে সংকুচিত করতে হবে। চিন্তা করবেন না, ৩ টি ধারণা যদি বাঁচাই করতে না পারেন তাহলে ও সমস্যা নাই। আপনার একটা ভালো ধারণা আপনাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে সাহায্যে করবে।
আমি আপনাকে বলতে পারি না যে আপনার জন্য সেরা ধারণাটি কী? কারণ আমাদের একেক জনের চিন্তা ধারণা একেক রকমের।  কিন্তু আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে সহজ উপায় কি? আমি বলব যে, আপনি এমন কিছু দিয়ে শুরু করুন যা আপনি কাউকে পরিষেবা হিসাবে বিক্রি করতে পারেন সবচেয়ে সহজ।
এটি শুরু করার জন্য আপনার অনেক কিছুর প্রয়োজন নেই – শুধু নিজেকে সেই ফিল্ডে এলাকায় বিশেষজ্ঞ হিসাবে অবস্থান করুন। আপনি যদি কোন কিছ  বিক্রি করেন তবে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াই শুরু করা সম্ভব। আপনি এটির জন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলি ব্যবহার করতে পারেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন৷ উদাহরণস্বরূপ, Facebook গ্রুপগুলিতে যেখানে লোকেরা তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজছে যা আপনি তাদের সমাধান করতে সহায়তা করতে পারেন।
আপনি ভ্রমণ নিয়ে শুরু করেছেন, অনেক মানুষ হোটেল খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত। আপনার যদি ভালো হোটেলে খোঁজ থাকে তাহলে আপনি সহজে বিভিন্ন ট্রাবল গ্রুপ থেকে ট্রাবালার দের কে হোটেলের খোঁজ দিতে পারেন।এবং আপনারা একটা কমিশন নিতে পারেন সেটা হতে পারে ১০-২০% এর আশেপাশে।

2. আপনার কমপিটর রিসার্চ করুন

আপনার প্রথম ধাপ শেষ হলে, এবার আসুন ২য় ধাপের জন্য । ২য় ধাপে আপনার কম্পিটিশন রিসার্চ করা, আপনি যে ফিল্ডে কাজ করবেন। সে ফিল্ড আপনাকে ভালো মতো রিসার্চ করে কাজে নামতে হবে।যদি ভালো মতো রিসার্চ করতে না পারেন আপনার কম্পিটর তাহলে কখনো আপনার অনলাইন ব্যবসা সফল হবে না।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের সবাইকে বিল গেটস ইলন মাস্ক হতে হবে না। গ্রহ বা সমগ্র মহাবিশ্ব পরিবর্তন করতে হবে এই চিন্তা ভবানা নিয়ে কাজ শুরু করুন। ধারণা এবং সমস্যাগুলিকে ঘিরে অনেকগুলি ব্যবসা তৈরি করা যেতে পারে যা ইতিমধ্যে অন্য কেউ সমাধান করেছে এবং সমাধান করেছে।
এখানে আপনার কাজ হল গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক গ্রুপ, অনলাইন ফোরাম এবং অনলাইনে অন্য যেকোন জায়গায় আপনার গবেষণা করা যেখানে আপনি মনে করেন আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকরা আছে। এটি করার মাধ্যমে, আপনি আপনার আদর্শ ক্লায়েন্টদের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যথার পয়েন্টগুলি খুঁজে পাবেন, তবে আপনার সবচেয়ে সফল প্রতিযোগী কারা তাও খুঁজে পাবেন।
যদি কেউ লাভজনক হয় বা আপনার ব্যবসায়িক ধারণার অনুরূপ জিনিস অফার করে, তাহলে এর মানে একটি চাহিদা রয়েছে এবং আপনারও এটিকে ঘিরে একটি লাভজনক অনলাইন ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।

3. অনলাইন ব্যবসা শুরু করুন

আগে থেকে সবকিছু বের করার চেষ্টা করবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, একটি অনলাইন ব্যবসা কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে সমস্ত কিছু শেখার চেষ্টা করা হল বিলম্বিত করার একটি উপায় এবং ইম্পোস্টার সিন্ড্রোমের একটি রূপ। আপনি যেই বিজনেস শুরু করবেন না কেনও। সেটা কি করে কাজ করবে, তার সম্পর্ক আগে থেকে আপনার জানা থাকতে হবে।
আপনার ডেইলি প্ল্যান, সপ্তাহিক প্ল্যান,মাসিক প্ল্যান থাকতে হবে। কি করে ৬ মাসে নিজেকে তৈরি করবেন এই বিষয়ে আমার অনেক পোস্ট পাবেন সেগুলো দেখতে পারেন।
আপনি কোন বিজনেস ম্যান বা বিশেষজ্ঞ এর কাছে যান তাহলে আপনাকে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে বলবে। কোন ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার   ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দরকার। কিন্তু আমি আপনাকে  বলতে পারি, আমি যখন অনলাইনে শুরু করি তখন আমার কোনো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছিল না। এই ওয়েবসাইট কি করে তৈরি করতে হয় কিছুর আইডিয়া ছিলো না। এটা আমি আাস্তে আস্তে শিখেছি এবং করেছি।
 আমার অনলাইন ব্যবসা করার সময় একটি সাইড হাস্টল হিসাবে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি কী করতে বেশি পছন্দ করি, কী আমি উপভোগ করি না এবং কী আমি আউটসোর্স করব বা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাব আমার ব্যবসায় ইত্যাদি।
শুধুমাত্র কিছু করার মাধ্যমেই আমি খুঁজে বের করতে পারতাম কোনটা বেশি লাভজনক।আমার শক্তিগুলো কী? এবং আমি কী ভালো নই। আপনি আসলে এটি করা শুরু করার আগে আপনি এই সমস্ত “ব্যবসায়িক পরিকল্পনা” করতে পারবেন না।
আমার পরামর্শ হল বিজনেস পরিকল্পনা করার জন্য আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। যদি এটি আপনাকে অনুসরণ করার জন্য কিছু পয়েন্টার দেখতে সহায়তা করে তবে আপনি যে লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে চান তার একটি খুব সহজ তালিকা তৈরি করুন।
 স্বল্পমেয়াদে এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলি কী কী? আপনি কিভাবে আপনার ব্যবসা আপনার জীবনধারা পরিবর্তন করতে চান? সেই ভিত্তির উপর নির্ভর করে আপনার পরিকল্পনা সাজান।

4. আপনার মানসিকতা নিয়ে কাজ করুন

মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গিতে লুকিয়ে থাকে সফলতা। আপনার মানসিকতাকে উজ্জীবিত করুন।
আমি আপনাকে একটু আগে বলেছিলাম যে আপনি যখন  অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন তখন আপনাকে বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। শুধু মাত্র আপনার দক্ষতা এবং স্কিল কে উজ্জীবিত করলে হয়ে যাবে। আপনার ব্যবসাকে বিস্তার করতে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে। কম বিনিয়োগ করে ও বিজনেস করা যায়, যদি আপনার কাছে সঠিক স্কিল এবং প্রচুর সময় থাকে তাহলে।
 আমরা অতি তাড়াতাড়ি মুনাফা লাভের চেষ্টা করি। তাই অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমরা এই ব্যাবসাকে ছেড়ে দেয়।আপনি অবিলম্বে ফলাফল দেখতে আশা করবেন না এবং আমি দেখছি অনেক লোক শুরু করে এবং তারপর এক মাসের মধ্যে ছেড়ে দেয়।
আমি আমার কোরা একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে অনেক ভিজিটর পেয়ে থাকি আমার ওয়েবসাইট এর জন্য। আপনি কোরার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন বা ফেসবুক এর মাধ্যমে ও শুরু করতে পারেন। আমার কাছে অনেক মন্তব্য বা প্রশ্ন আসে, আমাকে বলে মনির ভাই আমি অনলাইন থেকে আয় করতে চাই কিন্তু অনলাইন ইনকাম কি করে করতে হয় তা জানি না।
আপনার মনেও এই ধরনের প্রশ্ন আসলে, আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। 
আপনাকে আপনার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। একটা উদাহরণ বলি! অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি প্রতিমাসে লক্ষ্য লক্ষ্য ভিউ কি করে  পান কোরাতে। আমি তাদেরকে বলি দেখুন কোরাতে আপনি সময় দিয়ে ভালো টপিক নিয়ে কোয়ালিটি উওর দিতে পারলে আপনার কাছে ভিজিটরের এমনিতে চলে আসবে। কোরাতে আপনি আমাদের মঞ্চকে ফলো করতে পারেন।  আমাদের সাথে থাকলে আশা করি আপনার ব্যবসা সফল হবে।
আপনি যদি মনে করেন, অন্য ওয়েবসাইট থেকে কপি করে কোরাতে দিলে মানুষ পড়বে আমি হাজার হাজার আপভোট পাবো তাহলে আপনার ধারণা টা ভুল।আপনি কোয়ালিটি উওর এবং কোয়ালিটি সেবা দিলে আপনি ভালো মতো ভিজিটর এবং ভিউ হবে।
যদি আপনি মনে করেন ৩ টা উওর দিবো প্রতিদিন তাহলে আমার কাজ হয়ে যাবে। আসলে আপনি প্রতিদিন একটা উওর দিন,  যেটা দিবেন ভালো মতো দিবেন দেখবেন আপনার উওর এমনিতে ভাইরাল হবে বেশি মানুষের কাছে যাবে।
কিন্তু এমনকি তাদের একই গতিতে তাদের বৃদ্ধি বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এবং বেশিরভাগ লোক যারা অনলাইনে শুরু করে তাদের শুধু ধৈর্য এবং ধারাবাহিক হতে হবে এবং সাফল্য আসবে।

5.  একটি প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন এবং আপনার নিজের কমিউনিটি গড়ে তুলুন!

এক জায়গায় ফোকাস করলে আপনি অতি শিগগিরই সফল হবেন। আজকে কোরাতে, কালকে ফেসবুকে এর পরের দিন পিন্টারেস্ট আপনি কোন ভাবে সফল হতে পারবেন না। একটা জায়গায় ফোকাস করুন ইনশাআল্লাহ আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। অনলাইন জগতে, সর্বদা পরবর্তী চকচকে বস্তু থাকে যা বিস্ফোরক বৃদ্ধির একটি সহজ পথ বলে মনে হয়। আসলে তা হয় না, আপনার মনে হতে পারে ওই ব্যক্তি ফেসবুকে সফল আমি ফেসবুক যাবো, অমুক ভাই কোরাতে সফল আমি কোরাতে যাবো আসলে এমন কিছু করতে গেলে আপনি নিজেই বিপদে পড়বেন এবং কোনও প্ল্যাটফর্মে প্রকৃত বৃদ্ধি দেখতে পাবেন না।
আপনি যে মাধ্যমে অতি তাড়াতাড়ি গ্রো দেখবেন সে প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে হবে। 
আপনি যা চয়েস করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করে। তবে একটি প্রধান প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন, যখন আপনি অনলাইন শুরু করছেন। আপনি যদি সব জায়গায় থাকার চেষ্টা করেন তাহলে কোন জায়গায় সফল হবেন না।
আপনি দিনে একবার ইনস্টাগ্রামে, ফেসবুক এবং পিন্টারেস্ট  পোস্ট করার চেষ্টা করুন। পরিবর্তে আপনি যা করতে পারেন তা হল একটি প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করা সেটা  হতে পারে কোরা অথবা ফেসবুক আমি কিন্তু কোরাতে আছি।  যদি একাধিক প্ল্যাটফর্মের জন্য কন্টেন্ট  তৈরি করার চেষ্টা করেন তবে আপনি তাদের সবকটিতেই ধীর গতিতে ক্রমবর্ধমান হবেন৷ কোন একটিতে ও সফল হতে পারবেন না।

6.  ইমেল লিস্ট কালেকশন করুন

আপনার ওয়েবসাইটর ভিজিটর থেকে ইমেল লিস্ট সংগ্রহ করতে থাকুন। ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ করার পর এই ঠিকানায় সপ্তাহে একটা করে ইমেইল পাঠাতে পারেন।
অনলাইন বিজনেস এর জন্য আপনাকে যে পদক্ষেপগুলি নিতে হবে তার জন্য  এটিকে অন্তর্ভুক্ত করার কারণ হল।আপনি আপনার ভিজিটের কাছ থেকে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে।আপনার নতুন পণ্য বা নতুন কোন প্রোডাক্ট সরাসরি তাদেরকে মেইল করতে পারবেন।
আমার এই ব্লগের জন্য একটা ভুল করেছিলাম তা হলো। আমি ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ করি নাই,এটা অনেক বড় মাপের ভুল ছিলো আমার জন্য। আপনি যদি আমাদের ইমেইল লিস্ট যুক্ত হোন নাই তাহলে এখনই যুক্ত হতে পারেন। আপনার ইমেইল আমরা কোয়ালিটি কনটেন্ট পাঠিয়ে দিবো।
 আপনার ইমেল তালিকা সেট আপ না হওয়া পর্যন্ত আপনার কোনো বিষয়বস্তু প্রকাশ করা উচিত হবে না। ইমেইল ঠিকানা হলো  লিড ম্যাগনেট তৈরি করা। যাতে আপনার পাঠক বা বিষয়বস্তু ওপর প্রকাশ করা।
আপনার ব্যবসা একটি ব্লগ বা একটি ইকমার্স সাইট কিনা তা বিবেচ্য  বিষয় নয়। – আপনার দর্শকদের কাছে যদি পৌঁছাতে চান তাহলে একমাত্র ইমেইল আপনাকে সাহায্যে করবে।  সর্বদা ইমেল সংগ্রহ করতে হবে। যদি আপনি না করেন, আপনি আপনার কনটেন্ট এর  প্রতি আপনার ভিজিটরে আকৃষ্ট করতে পারবেন না। আরও সম্ভাবনা রয়েছে এমনকি তারা আপনার সামগ্রী বা আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইট পছন্দ করলেও, তারা কখনই আপনার সাইটে ফিরে আসবে না কারণ ইন্টারনেটে অনেক ই-কমার্স  এবং ব্লগের রয়েছে সেখানে তাদের সাথে মিলে যাবে।
আরও দেখতে পারেন:
এছাড়াও, আপনি হয়তো জানেন, যদি আপনার ভিজিটরের শুধুমাত্র কোনো ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে থাকে, তাহলে আপনার সেই সমস্ত দর্শক হারানোর ঝুঁকি সবসময়ই থাকে। সোশ্যাল
 মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টগুলি সাসপেন্ড, ব্লক বা শাস্তিপ্রাপ্ত হয় – এটি শুধুমাত্র খারাপ
 লোক এবং স্প্যামারদের ক্ষেত্রেই ঘটছে না। কখনও কখনও বৈধ ব্যবসাগুলি অ্যালগরিদম পরিবর্তন বা স্প্যাম ফিল্টারগুলির  মধ্যে পড়ে  হতে পারে। একমাত্র আপনার ইমেল তালিকাটি হল একমাত্র সম্পদ যার মালিক আপনি নিজেই৷

7. পেমেন্ট পদ্ধতি সেটআপ করুনSETUP PAYMENT METHODS

এই ধাপটি শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত বিষয়। আপনার যদি সাকসেস ফুল ভাবে ব্যবসা দাড়িয়ে যায়। তাহলে আপনাকে  গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতে হবে। এটার জন্য আপনাকে পেমেন্ট গ্রেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে পেমেন্ট নিতে পারেন।  হয়তো আপনার মনে আস্তে পারে এই ধাপটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না বা এটার কি বা প্রয়োজন আছে।
ব্যবসা করলে সব আগে থেকে ভেবে নিতে হবে।  এই পদক্ষেপটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি কোথায় থাকেন তার উপর নির্ভর করে আপনার সীমিত বিকল্প থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে পেপ্যাল একটি অর্থপ্রদানের পদ্ধতি হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের সর্বত্র উপলব্ধ এবং স্ট্রাইপ যা আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থপ্রদান সংগ্রহ করতে দেয়। কিন্তু আপনার বিজনেস টা যদি বাংলাদেশে বা ইন্ডিয়ার এর জন্য হয় তাহলে আপনাকে বিকল্প পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।আপনাকে বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের সিস্টেম পেমেন্ট গ্রেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। ইন্ডিয়ার জন্য হলে ইন্ডিয়ার সিস্টেম পেমেন্ট গ্রেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে।
বিজনেস শুরু করার আগে আপনার থেকে এসব মাথায় রাখতে হবে। পেমেন্ট কি করে নিবেন, কোথায় থেকে নিবেন, পণ্য কিভাবে ডেলিভার করবেন সব আপনার থেকে আগে থেকে ভেবে রাখতে হবে।
আমাদের অন্যন্য ব্লগ পোস্ট গুলো দেখতে পারেন আপনাকে সাহায্যে করবে। আপনার অনলাইন বিজনেস শুরু করার জন্য। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে করতে পারেন।এই পোস্টটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের মাঝে জানাতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top