|

দুইটি ব্যাঙ এক বালতির ভিতরে জীবন মরণের লড়াই করতেছে

অনুপ্রেরণামূলক ছোট গল্প আমাদের জীবনে অনেক মূল্যবান। হাল ছেড়ে দেওয়ার আগে একবার চেষ্টা করা উচিত। করুণ মানুষ খুব সহজে হাল ছেড়ে দেয়, জীবনে অন্ধকার যতই থাকুক না কেনও, অন্ধকারের পর কিন্তু আলো আসে এটা মনে রাখতে হবে। আলো না থাকলে পুরো পৃথিবী কিন্তু অন্ধকার থাকতো। হাল ছেড়ে দেওয়ার আগে একবার চেষ্টা করুন দেখবেন আপনি সফল হতে পারবেন।

আজকে আপনাদেরকে ২ টা ব্যাঙ এর কথা বলবো,এই ব্যাঙ এর গল্প থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। পৃথিবীর কোন এক স্থানে ২ টি ব্যাঙ ছিলো, তাদের বন্ধুত্ব ছিলো ভাইয়ের সমতুল্য। তাদের বন্ধুত্ব এতই ভালো ছিলো তাঁরা কোথায় ঘুরতে গেলে একা একা যায় না, ২ জনই এক সাথে যায়। ১ টা ব্যাঙ ছিলো মোটা আকৃতির,আরেকটা ছিলো পাতলা।

এই  ওয়েবসাইট আপনাকে মোটিভেট এবং নিজেকে ফিনান্সিয়াল (Case Study) এই সব আর্টিকেল পাবেন।

আমাদের রিসেন্ট Case Study বিশ্বকাপ থেকে মেসিদের কত টাকা আয় হল। 
এই ব্যাঙ দুইটি ছিলো সাহসী, তারা সব সময় ঘুরে বেড়াতো পছন্দ করতো। কষ্ট এবং সাহসিকতার জন্য গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতো। একদিন তারা দেখে এক কৃষক একটা বালতি রেখে চলে যাচ্ছে, ব্যাঙ ২ টি কৌতূহল বসত ঔই বালতিতে কি আছে দেখতে আসে। বালতিটা খুব বড় সড় ছিলো, তারা জানতো না বালতিতে কি আছে। ব্যাঙ তো লাফ দিতে জানে, যে কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা লাফিয়ে চলে যেতে পারে।

অনুপ্রেরণা মূলক গল্প

কৌতুহল বসত, ব্যাঙ ২ টি লাফ দিয়ে ওই বালতিতে কি আছে দেখতে গেলো। লাফ দেওয়ায় পর তারা দুধ বর্তি ওই বালতি তে লাফিয়ে পড়লো। লাফিয়ে পড়বার পর তারা ওই বালতিতে সাঁতার কাটতে চেষ্টা করতেছে, চারপাশে তারা সাঁতার কাটে এবং তারা সাঁতার কাটে কিন্তু তবুও তারা এখান থেকে বাহির হতে পারতেছে না।

ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁরা সাঁতার কেটে তবুও তাদের কোন অবনিত হয় না। এই দুধ ভরা বালতি যেন তাদের মরণ ফাঁদে পরণিত হয়েছে। দুধে ভরা বালতিতে খুব পিচ্ছিল ছিলো যদি দুধের জায়গায় পানি থাকলো তারা খুব সহজে বাহির হয়ে যেতে পারতো। এক সময় পাতলা ব্যাঙটি মোটা ব্যাঙ কে বলেছে ভাই আমরা প্যাডেলিং করে লাভ নেই কারণ আমরা ডুবে যাচ্ছি।আমরা মারা যাবো আমাদেরকে রক্ষা করার মতো কেউ নেই। আমরা প্রজাপ্রতিও না যে আমরা উড়ে যাবো ডানা মেলে, আমরা মরে যেতে বসেছি। পাতল ব্যাঙটি হাল ছেড়ে নি, মোটা ব্যাঙটি হাল ছেড়ে দিচ্ছে।

কিন্তু তার বন্ধু উত্তর দিল ভাই ধৈয্য রাখুন
মোটা ব্যাঙ প্যাডলিং চালিয়ে যাচ্ছ, শেষ পর্যন্ত কেউ আমাদের বের করে নিবে এই আশায়। যতক্ষণ না আমরা হাল ছাড়ি না আমরা ডুবব না।

অনেক্ষণ প্যাডলিং করার পর যখন কোন কিছুর সমাধান পাচ্ছে না তখন মোটা ব্যাঙটি হাল ছেড়ে দেয় এবং প্যাডলিং করা ছেড়ে দেয়, প্যাডলিং ছেড়ে দেওয়ার কারণে মোটা ব্যাঙটি ওই দুধ ভরা বালতিতে ডুবে মারা যায়। আপনি যতই বিপদে থাকুন না কেনও কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত না। আপনি হাল ছেড়ে দিলে তখনই শেষ হয়ে যাবে। যদি মোটা ব্যাঙটি সাঁতার কাটা বন্ধ না করলে ব্যাঙটি মারা যেতো না, তার হয়তো কষ্ট হতো কিন্তু মারা যেতো না।

এই ব্যাঙটি, মারা যায়নি, মারা যাওয়ার আগে তার পাতলা ব্যাঙটিকে হিম্মৎ ভেঙে দিলো, মূহুর্তের মধ্যে সে তার ছোট্ট কালের বন্ধুকে হারিয়ে ফেলেছে, অন্য দিকে ওই পাতলা ব্যাঙটি সাঁতার কেটে নিজের জীবন”মরণ” লড়াইয়ে ঠিকে আছে। সে কান্না করতেছে তার বন্ধুর জন্য।পাতলা ব্যাঙটি হাল ছেড়ে দেয় নাই, পাতলা ব্যাঙটি শুরু করার চেয়ে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে প্যাডলিং করতেছে দ্রুত খুব দীর্ঘ সময় ধরে। এক সময় পাতলা ব্যাঙটি ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করেন কিন্তু হাল ছেড়ে দেয় নাই, হিম্মত ধরে রেখেছে। তার বিশ্বাস ছিলো সে এখান থেকে বাহির হতে পারবে। আপনাদের কাছে একটা জিনিস বলে রাখা ভালো, বালতি মধ্যে মাখন ছিলো যা খুব পিচ্চিল।

এক সময় ব্যাঙটি সাঁতার কাটতে কাটতে লাফিয়ে ওই বালতি থেকে বাহির হয়ে যায় এবং বনের ভেতরে চলে যায়। একটা আনন্দের চিৎকার দেয়,যা ব্যাঙটি করে দেখিয়েছে তা ভুলার মতো এটি ছিলো ওই ব্যাঙের জন্য সফলতা। ব্যাঙটি হাল ছেড়ে দেয় নি,তার বন্ধু কে হারিয়েছে তবুও হাল ছাড়ে নি।

এটা করেছেন কিন্তু সে দুঃখিত ও ছিল কারণ সে তার সেরা বন্ধুকে হারিয়েছে।
ব্যাঙটি জানতেন যে তিনি সাহায্য করতে সক্ষম হননি।

মোটা ব্যাঙটি যদি হাল ছেড়ে না দিলে হয়তো ব্যাঙটি জীবিত থাকতো, পাতলা ব্যাঙটি হাল ছেড়ে না দেওয়াতে সে জীবত আছে। আমরা ও হাল ছেড়ে দেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখি কেন হাল ছাড়বো।

ব্যাঙের বিয়ের

কিছু দিন পর, পাতলা ব্যাঙটি বিয়ে করে এবং তার অনেক বাচ্চা হয়, তার বাচ্চাদেরকে, ওই মোটা ব্যাঙটির গল্প শোনায়।

একটা সিদ্ধান্তঃ নেওয়াতে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায় ওই পাতলা ব্যাঙের। আমাদের লাইফে ও এমন সময় আছে, আমরা হতাশায় থাকি, বেঁচে থাকতে মন চাই না। মনে হয় মারা গেলে ভালো হতো, মারা যাওয়ার আগে আরেকটা বার চেষ্টা করুণ, এই পাতলা ব্যাঙটির মতো দেখবেন সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে। এটি ছিলো একটা অনুপ্রেরণা মূলক একটা ঘটনা। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

১. যে জিনিস এর আগ্রহ নেই সে জিনিস প্রতি নজর না দেওয়া।

২. কখনো বন্ধু জন্য বসে না থাকা।

৩. নিজের রাস্তা নিজে বাহির করা।

৫. বন্ধু পারে নাই বলে আমিও পারব না এমন কিছু না ভাবা।

৬. কখনো হাল ছেড়ে না দেওয়া।

৭. বিপদের সময় নিজেকে কন্টোল করা।

এই আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে, আমাদরেকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর মোটিভেশনাল স্টোরি, নিজেকো মোটিভেট রাখতে আমাদের ফেসবুকে, আমাদের কোরা মঞ্চ কে ফলো করতো পারেন।

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *