আমাদের মস্তিষ্ক ও একটি অঙ্গ। মস্তিষ্ক ভালো থাকলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, শরীর সবই ভালো থাকে।
জীবনের সাফল্য নির্ভর করে এই মস্তিষ্ক সুস্থতার উপরে। আপনার মস্তিষ্ক যদি ভালো না থাকে তাহলে অনেক কিছু হতে পারে তার মধ্যে উল্লেখ, আপনি সময়ের কাজ সময় মতো করতে পারবেন না, অনেক সময় আমরা হঠাৎ করে ভুলে যায় এই কাজটি এখন করতে হতো কিন্তু মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যাওয়া কারণ এসব হয়।মস্তিষ্ক দুর্বল হওয়ার জন্য কিছু কারণ আছে শ্রম, স্ট্রেস, নিয়ামিত খাবার না খাওয়া ইত্যাদি। সুতরাং দুর্বল মস্তিষ্ক উন্নয়নের জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।দুর্বল মস্তিষ্ক উন্নত করার জন্য কিছু উপায় আছে। একটি সম্পূর্ণ ও ভালো মস্তিষ্ক জন্য কোন গোপনীয় সূত্র নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি উন্নয়ন করা যেতে পারে।
নিম্নলিখিত কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো যা দুর্বল মস্তিষ্ক উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে:
শারীরিক ব্যায়াম:
ব্যায়ামে মস্তিষ্কের আকার বাড়ে। শারীরিক ব্যায়াম মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। নির্দিষ্ট ব্যায়াম স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য খুব জরুরী এবং মস্তিষ্ককে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। মানসিক অবস্থা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা খুব জরুরী। সহজ ব্যায়াম যেমন হালকা দৌড়, হাইকিং, সাধারণ গিমনাস্টিক এবং সকালে জগিং করা যেতে পারে।ব্যায়াম করা মানে হলো শরীর গাঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করা এবং দুর্বল মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। মানসিক এবং শারীরিক দুটি ব্যায়াম উভয়ে ভাল। শ্বাস-প্রাণায়াম, জগারণ করা, মেডিটেশন করা এবং যোগাসন করা উপযুক্ত হতে পারে।
পরিবেশ:
আমাদের চারপাশে যা আছে তাই হলো আমাদের পরিবেশ। পরিবেশ বলতে কোনো ব্যবস্থার ওপর কার্যকর বাহ্যিক প্রভাবকসমূহের সমষ্টিকে বোঝায়। যেমন: চারপাশের ভৌত অবস্থা, জলবায়ু ও প্রভাব বিস্তারকারী অন্যান্য জীব ও জৈব উপাদান ইত্যাদির সামষ্টিক রূপই হলো পরিবেশ। পরিবেশের প্রতিটি উপাদানের দ্বারাই একজন ব্যক্তি বা প্রাণী বা জীব এমনকি উদ্ভিদ প্রভাবিত হয়ে থাকে। এই প্রভাবকসমূহের মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক বা কৃত্রিম পারিপার্শ্বিক উপাদানসমূহ।মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার পিছনে অসুস্থতার কারণ হতে পারে ব্যস্ত এবং অশান্ত জীবনযাপন।
একটি শান্তিপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ স্বাস্থ্যকে ভালভাবে করতে সাহায্য করে। আপনার পরিবেশ ভালো থাকলে, আপনি নিজেই ভালো থাকতে পারবেন। ভালো থাকার জন্য ভালো পরিবেশের বিকল্প নেই। আপনার পরিবেশ যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলো আপনাকে ভালো পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
আপনার বাড়ির পাশে যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ না থাকে তাহলে প্রাকৃতিক একটা পরিবেশ তৈরী করতে চেষ্টা করুন। প্রাকৃতিক পরিবেশ হচ্ছে সেই পরিবেশ যা প্রকৃতি নিজে নিজে তৈরি করে। এগুলো হচ্ছেঃগাছ,পাহড়-পর্বত,ঝর্ণা,নদী ইত্যাদি। এগুলো মানুষ সৃষ্টি করতে পারে না। এগলো প্রাকৃতিক ভবেই সৃষ্টি হয়। আপনি চাইলো ঝর্ণা, পাহাড়, নদী এসব তৈরি করতে পারবেন না।আপনি চাইলে আপনার আশেপাশে একটা বাগান কিংবা গাছপালার দিয়ে একটা ছোট পরিবেশ তৈরী করতে পারেন। পরিবেশের প্রতিটা উপাদানের সুসমন্বিত রূপই হলো সুস্থ পরিবেশ। মস্তিষ্ক উন্নয়নের জন্য আপনার পরিবেশ টা ভালো হতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবারঃ
মগজের শক্তির জন্য বেছে নিন সঠিক খাবার। খাদ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের স্বাস্থ্য ও সম্পৃক্ত হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সাহায্য করে। আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর ও উন্নত মস্তিষ্কের জন্য আপনার খাবার লিস্টে হতে পারে, সবজি, ফল, প্রোটিন-যুক্ত খাবার, নুডলস মসুর ডাল, সবুজ শাকসবজি, ভিটামিন এস ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ, ফলমূল এবং প্রক্সিমিটি সম্পন্ন খাবার খাওয়া উচিত। প্রোটিন যুক্ত খাবার আহার করলে মস্তিষ্কের কাজকর্ম উন্নয়ন করে সেই জন্য ভালো খাবার গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু খাবার পরামর্শ করা হয়। বন্ধুদের সাথে খাদ্য বিল্লাপ করা এবং স্ট্রেস কমাতে সহজ উপায়।
স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক খাদ্য বাছাই করুন প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। প্রতিদিন সব প্রকার খাবার খেতে হয় যারা প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেলস উচ্চ পরিমাণে সরবরাহ করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার সংগ্রহের সময় যত্ন নেওয়া উচিত। খাদ্যের বিভিন্ন অংশ যেমন মাংস, মাছ ও পাকা সবজি এগুলো হতে পারে আপনার খাদ্যের তালিকা। পরিষ্কার ও নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন। পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
খাদ্যের সংগ্রহ করা এবং প্রস্তুতির পদ্ধতি শেখার চেষ্টা করুন। যথাসম্ভব সঠিক উপকরণ এবং প্রক্রিয়া ব্যবহার করুন যাতে আপনি খাদ্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর করতে পারেন।পরিমিত পরিমানে খাবার খেতে চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
নিয়মিত হাঁটাচলায় বাড়ে স্মৃতিশক্তি :
হাঁটাচলা একটি স্বাস্থ্যকর ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ। এটি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।হাঁটাচলা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল একটি কাজ। প্রতিদিন গড় একজন মানুষর এক থেকে দেড় ঘন্টা হাঁটাচলা করলে তার জন্য খুবই উপকারী।
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, হাঁটাচলার মাধ্যমে মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে। হাঁটাচলার ক্রিয়াকলাপ মানসিক চাপ কমাতে এবং অবসাদ থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রকারের মনোরোগের জন্য হাঁটাচলা কার্যকর হতে পারে।
একটি গবেষণার ফলাফল হল যে, সম্প্রতি হাঁটাচলা করা একটি খুব জনপ্রিয় ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ হয়ে উঠছে। নিয়মিত হাঁটাচলা করা মানুষের স্মৃতিশক্তি উন্নয়ন করে এবং আল্জাইমার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
আরও দেখতে পারেন
তাই হাঁটাচলার মাধ্যমে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন করা সম্ভব।শ্রমের সাহায্যে মস্তিষ্ক স্বাস্থ্য উন্নত করা যায়। দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম হেঁটে চলা, কাজ করা ইত্যাদি স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করে। পড়া-লেখা, পাঠ্যপুস্তক পড়া এবং চিন্তা করা এই ধরনের শ্রমের ক্ষেত্রে সেরা হতে পারে।
নিয়মিত হাঁটাচলা করে স্মৃতিশক্তি উন্নয়ন করা সম্ভব। স্মৃতিশক্তি একজন ব্যক্তির জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যে কোন ব্যক্তির জীবনে স্মৃতিশক্তি খুব প্রয়োজন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ স্মৃতিশক্তির সমস্যার সম্মুখীন হয়। একটি শক্তিশালী স্মৃতিশক্তির মানুষ খুবই দুর্দান্ত হয় যে তার স্মৃতিশক্তি খুবই নীচের মাত্রায় আছে। হাঁটাচলার মাধ্যমে মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ানো সম্ভব।
হাঁটাচলা করা স্বাস্থ্যকর একটি ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ। এটি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের সুখবর্তী। হাঁটাচলা করে আপনি আপনার বৃদ্ধি শীঘ্রই দেখতে পারবেন।
মানসিক স্বাস্থ্য:
মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে যত্ন নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত চিন্তা, তন্দ্রা এবং স্ট্রেস মানসিক স্বাস্থ্য জন্য ক্ষতিকর। মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে হলে নিয়মিতভাবে মেডিটেশন করা যায়, যেমন যোগ ব্যায়ম বা দৈনন্দিন ব্যায়াম করা।দৈনন্দিন ব্যায়াম মস্তিষ্কের কাজকর্ম উন্নয়ন করে। রেগুলার ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ, যেমন দৌড়ানো, সাইক্লিং, জগিং ইত্যাদি।
আমরা প্রতিদিন ছোট্ট বড় অনেক কাজ করে থাকি এই কাজ গুলো করতে গিয়ে আমরা নিজের মস্তিষ্ক কে অনেক মানসিক ভাবে পেশার দিয়ে থাকি। যেমন নিয়ন্ত্রণহীনতা, সংকটসম্পর্কিত হতাশা, নিঃস্বতন্ত্রতা এবং অসহায়তা। এই সমস্যাগুলি আমাদের জীবনের সাথে যুক্ত। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকার জন্য কিছু পরামর্শ মেনে চলা উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে একজন ব্যক্তি তার দিনগুলি কে আরও ভালোভাবে কাটাতে পারে। আপনি যে কাজই করেন না কেনও নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন না। নিজের ওপর চাপ মানে হলো নিজের মস্তিষ্ক কে দুর্বল করে দেওয়া।
নিয়মিত ব্রেক (খুঁজে নিন অবসর) :
কাজ এবং অধ্যয়নের সময়সূচীতে নিয়মিত ব্রেক নেওয়া উচিত। দৈনন্দিন কাজের মাঝে একটি ছোট ব্রেক নেওয়া একটি চমৎকার উপায় মস্তিষ্কের উন্নয়ন করতে এটির বিকল্প নেই। সময় অধিক প্রয়োজনে দৈনন্দিন চা বা কফি বা ফলের নাস্তা নেওয়া যেতে পারে।
অবসর সময়ে আপনি বিভিন্ন কাজ করতে পারেন। এই সময়টি আপনার স্বাস্থ্য ও সামজিক জীবনে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে কিছু অবসর সময়ে করা যেতে পারে উল্লেখ করা হলো:
শারীরিক কাজসমূহ: জগতে শারীরিক কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সহায়তা করে। আপনি ব্যায়াম, মান
শিক্ষামূলক কাজসমূহ: আপনি অবসর সময়ে নতুন কিছু শিখতে পারেন। কিছু বই পড়তে পারেন, অনলাইন কোর্স করতে পারেন বা নতুন কোন কাজ শিখতে পারেন।
ক্রিয়াশীল কাজসমূহ: আপনি অবসর সময়ে কোন হবগোল সম্পর্কিত কিছু করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, খেলা করতে পারেন, যাত্রা করতে পারেন, ফটোগ্রাফি করতে পারেন বা কোন নতুন কাজ শুরু করতে পারেন।
সামাজিক কাজসমূহ: অবসর সময়ে আপনি সামাজিক কাজসমূহে অংশগ্রহণ করতে পারেন। স্থানীয় কমিউনিটির জন্য কোন কাজ করতে পারেন, স্থানীয় শিশুদের জন্য পড়াশোনা দিতে পারেন বা কোন ধরনের সেবা করতে পারেন।
মনোরম কাজসমূহ: আপনি আপনার মনোরম কাজ করতে পারেন যেমন পটভূমি চিত্র আঁকা, মিউজিক শুনা বা মনোরম ভিডিও দেখা।