সফলতার শিক্ষনীয় গল্প:সফল মানুষের কাছ থেকে আমরা কি শিখব
মোটিভেশনাল স্টোরি সব জায়গা থেকে আসতে পারে তবে সফলতার শিক্ষনীয় গল্প সব জায়গা থেকে আসতে পারে না। আপনি যদি ভালো মোটিভেশনাল স্টোরি তৈরী করতে পারেন তাহলে আপনি সবাইকে উৎসাহ করতে পারবেন। আমরা অনেক সময় রেডিওতে সফলতার মোটিভেশনাল গল্প শুনে থাকি। রেডিও থেকে ও আমরা শিক্ষনীয় মোটিভেশনাল গল্প নিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি।
ব্যর্থদের সফলতার গল্প থেকে ও আমরা অসাধারণ কিছু শিখতে পারি। এই গল্প থেকে ও আমরা হতাশা থেকে সফলতার গল্পে পরিনত করতে পারবো। মানুষের জীবন হলো অনেক অদ্ভুত এই কষ্টের জীবনে সফলতার গল্প ও আছে ছোট্ট ছোট্ট। আপনি যদি মোটিভেশন এর জন্য নিজের জীবনে দিকে তাকান তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। কখনো হাল ছাড়বেন না , হতাশা থেকে সফলতার গল্প পরিণত করতে নিজেকে সময় দিন।
Table of Contents
সফলতার শিক্ষনীয় গল্প (আগেকার যুগের মানুষ কিভাবে বানর শিকার করত)
শিকার তো সবাই করতো কারো কারো শিকার এতটা ভয়ঙ্কর হতো যা থেকে মানুষ শিহরিত হয়ে যেত। আপনি কি জানেন আগেকার মানুষ কি করে শিকার করত , কি করে বানরদের ফাঁদে ফেলত? এই সফলতার ছোট গল্পটি আপনাকে কিছু ভাবতে শিখাবে।
একটি লোক একবার তার সন্তানদের কে জিজ্ঞাসা করতেছে , তোমরা কি জানো কি করে মানুষ বানর শিকার করত। ওই লোকটি সন্তানরা জিজ্ঞেস করলো কি করে করতো , বানরদের গাছের ওপর থেকে তীর নিক্ষেপ করার পরিবর্তে তারা মেজেতে একটি সরু ঘাড় সহ একটি ভারী কাঁচের বয়াম রাখত, যার ভিতরে বানরদের প্রিয় খাবার রাখতো। যখন কোনো বানর খাবার খেতে আসতো তাহলে এই ফাঁদে আটক পড়ে যেত।
শিকারিরা ভারী কাঁচের হাড়ি বা বয়াম রাখার পর লুকিয়ে থাকতো , সন্ধজনক কোনো বানরের জন্য অপেক্ষা করত।
যখন কোনো বানর খাবারের সন্ধানে আসতো ওই বয়ামের ভিতর হাত বা মাথা দিতো বয়ামের সরু ঘাড় বেচারা বানরকে হাত ছাড়াতে বাধা দিতো এই ভাবে বানর আটকা পরতো!
খাবারে জন্য কোনো বানর ওই ফাঁদ আটকা পরত তারা অনেক চেষ্টা করার পর ও এই ফাঁদ থেকে বাহির হতে পারে না। খাবার ছাড়াই জার থেকে হাত বের করার কোনো উপায় ছিল না।
তখন শিকারিরা কাছে গিয়ে ওই বানর টিকে ধরে তাদের ভোজন উপভোগ করত। একটা খাবারে লোভে পরে ওই বানরটি তার জীবন টা শেষ করে দিতো।
ওই লোকটি তার ছেলে দের কে বলতেছে ওই বানরের মতো হয় না।
জীবনে অনেক লড়াই করতে হবে। একদিকে না হলে অন্য দিকে হবে তার জন্য যুকি জেনে যেদিক সেদিক লাফ দেওয়া উচিত না। আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কখন ছাড়তে হবে, কখন এগিয়ে যেতে হবে এবং কখন যা আপনাকে আটকে রাখছে তা ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করতে হবে ।
গল্পের নৈতিক শিক্ষা :
কখনও কখনও আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু পাওয়ার জন্য আপনার এখন যা আছে তা ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করতে হবে। প্ৰত্যেক মানুষের একটা জেদ থাকে এইটা কে পতন হতে দেওয়া যাবে না। আপনার জেদ পতন হলে আপনি নিজেও পতন হয়ে যাবেন।
পৃথিবীর সেরা মোটিভেশনাল গল্প (টাকার দাম সব জাগায় একই থাকে )
এই গল্প টি ছাত্রদের জন্য মোটিভেশনাল গল্প হিসাবে বিবেচিত হবে। কোন একটি স্কুলে নুতন একটা বছরের শুরুতে একজন শ্রেণী শিক্ষক তার ছাত্রদের সামনে $১00 ডলার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
সেই শিক্ষক টি জিজ্ঞেস করলো এই $১০০ ডলার টি কে কে নিতে চাও। অনেক জন স্টুডেন্ট হাত তুলে বললো আমরা নিতে চাই এই $১০০ ডলার টি। শিক্ষক বলতেছে আজকে তোমাদেরকে শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প শিখাবো যা তোমাদের কাজে আসবে সব সময়। মোটিভেশনাল কথাবার্তা বললে সবাই শুনতে আগ্রহ বেশি প্রকাশ করে থাকে।
স্যার সবার এটেনশ দেখে, ওই ডলারটি মোচড়ে টেবিল ওপর রাখল এবং জিজ্ঞেস করল কার থেকে এই ডলার লাগবে। আবার সবাই হাত তুলেছে , স্যার এই তা দেখে ওই ডলার টি কে একটু দূরে ফেলে দিলো এবং জিজ্ঞেস করল এই ডলার টি কার লাগবে আবার সবাই হাত উপরে তুলেছে।
স্যার ওই $১০০ ডলার টি নিয়ে একটা ময়লার ডাষ্টবিনে ফেলে দিলো এবং জিজ্ঞেস করল এই টাকাটি কার লাগবে এখন আবার সবাই হাত তুলেছে।
স্যার কৌতূহল হয়ে জিজ্ঞেস করলো তোমরা কেন এই টাকাটি চাও সবাই বললো এইটা টাকা ময়লা হলেও টাকা ভালো হলেও টাকা। এইটার সব জাগায় দাম আছে। স্যার তখনই বলে চরিত্রের আচরণ মোটিভেশন কি মনস্তাত্ত্বিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। টাকার দাম যেমন মূল্যে তেমন তোমাদের ও এমন মূল্যে আছে তোমরা যতই নোংরা হও না কেন কখনো আপনাদের মূল্য হারাবেন না
আপনার জীবনে একই রকম সময় আসবে যখন আপনি ছিটকে পড়বেন, ক্ষতবিক্ষত হবেন এবং কাদা হয়ে যাবেন। তবুও যাই ঘটুক না কেন, আপনি কখনই আপনার মূল্য হারাবেন না।”
গল্পের নৈতিক:
জীবনের কষ্টগুলি মানুষ সহজে নিতে পারে না। মানুষ একটু নোংরা হলে তাদের আশাবাদী হারিয়ে ফেলে। আমরা সকলেই কোনো না কোনো সময়ে রিংগারের মধ্য দিয়ে যাব, প্রায়শই আমাদের নিজেদের কোনো দোষ ছাড়াই।
এই চ্যালেঞ্জ গুলিকে আপনার স্ব-মূল্যের অনুভূতিগুলিকে পরিবর্তন আনতে দিবেন না। আপনি সর্বদা যথেষ্ট বড় হবেন। আপনার পরিবার এবং দেশের জন্য বিশেষ কিছু করতে হবে আপনার থেকে।
মোটিভেশনাল স্টোরি – কোনটি মানুষের সাফল্যের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে
আপনি যতই দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেন না কেন, যদি ঠিক জাগায় ঠিক কাজটি করতে না পারলে আপনি কখনো সফলতা পাবেন না। অনেক মানুষ নিজের ক্লান্ত কে দূর করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ফোন হাতে নিয়ে সময় অপচয় করে থাকে। আপনি ও তাদের মতো না তো, আপনি যদি তাদের মতো হয়ে থাকেন তাহলে ‘৫ ঘণ্টা নীতি’ কাজে লাগাতে পারেন।
বিল গেটস, জ্যাক মা, ইলন মাস্ক যত বিলিওনার আছে সবাই নীতি কিন্ত প্রায় একই তারা ৫ ঘণ্টা নীতি’ অনুসরণ করে থাকে।
সফল মানুষরা প্রতিদিন অন্তত এক ঘন্টা করে বই পড়েন। শুধু বই না তারা নিউস পেপার , ব্লগ ওয়েবসাইট ফিকশন এন্ড নন ফিকশন বুক পড়ে থাকে। আপনি চাইলে মোটিভেশন এর জন্য আমাদের ওয়েবসাইট msterblog.com পড়তে পারেন।
বিল গেটস এক সাক্ষাৎ কারে বলেন , আমি ছোট কাল থেকে বই পড়তে ভালবাসি , আমি যা শিখেছি বই থেকে। আমার আমার শেখার অন্যতম প্রধান উপায় হলো বই পড়া।’ বিল গেটস প্রতি বছর প্রায় ৫০টি বই পড়েন। শুধু বিল গেটস না এলোন মাস্ক ওয়ারেন বাফেট প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা বই পড়ার জন্য সময় ব্যয় করেন।
সফল ব্যক্তিদের কাছ থেকে শেখা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শিখার কোন শেষ নাই, শিখার শুরু আছে শেষ নাই। যে মানুষ অলরেডি সফল তার কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে। আমরা অন্যের সফলতা নিয়ে খুশি না হয়ে তার সফলতা হতে কি কি করেছে সেটা নিয়ে কাজ করা উচিত। অনেক সময় অন্যেদের সফলতা আমাদের জন্য মোটিভেশন যোগায় এবং আমাদের হৃদয়ে এবং অভ্যন্তরে সামান্য শিখা জন্য জ্বালা পোড়া করে। সেজন্য সফল ব্যক্তিদের কাছ থেকে শেখা জরুরি তারা কেন সফল হলো তারা কি কারণে সফল হলো। এই বিষয় নিয়ে আমাদের রিসার্চ করা উচিত । তাদের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনাকে অনুপ্রাণিত বা অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রয়েছে!