সুস্থ থাকতে পানি খাবেন কখন?
প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করা উচিত, এইটি বলতে এবং শুনতে ভালো লাগে? আসলে এইটা বলতে সহজ লাগলে ও বাস্তবে এইটার সহজ কোন উত্তর নেই।
পানি আমাদের দেহের প্রধান রাসায়নিক উপাদান। দেহের ওজনের ৬০ ভাগই পানি। তাই সঠিকভাবে কাজ করার জন্য দেহের কোষ, কলা ও অঙ্গ প্রত্যেকের পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস, মলমূত্র ত্যাগ, অন্ত্রের আন্দোলন ইত্যাদি নানা কারণে দেহ থেকে পানি অপসারিত হয়। ফলে খাদ্যগ্রহণ এবং পানীয় পান করার মাধ্যমে এই অপসারিত পানির ঘাটতি পূরণ করতে হয়।
মানুষের চাহিদার শেষ নাই কিন্তু পানির চাহিদা আছে সবার। আপনার স্বাস্থ্য, আপনি কতটা সক্রিয় এবং আপনি কোথায় থাকেন তা সহ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে থাকে। সব মানুষের চাহিদা এক না ঠিক একক সূত্র সবাইকে মানায় ন। কিন্তু পানি আপনার শরীরের জন্যপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গড়ে তুলে। এই ব্লগ পোস্ট আপনাকে প্রতিদিন কতটা পানি পান করতে হবে তা করতে সাহায্য করব।
দিনে কত লিটার পানি খাওয়া উচিত
পানি ছাড়া কোন জীবের অস্তিত্ব নাই। পানির অপর নাম জীবন। ভালো স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য পানির ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু আমাদের দৈনিক আসলে কতটুকু পানি পান প্রয়োজন? প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা আমাদের জন্য উপকারী। প্রতিদিন আমাদের ২ লিটার পানি পান করার প্রয়োজন আছে, এই নিয়ে বিজ্ঞান কি বলে? প্রতিদিন আমরা যে খাবার খাই সেই খাবারে অনেক তরল থাকে। এই তরল আমাদের প্রতিদিন এর পানির চাহিদা কিছুটা পর্ণ করে দেয়।
পানি ছাড়া আমাদের ডেইলি তরল খাবার দুধ ,চা ,কপি জুস্ ইত্যাদি। এই গুলো থেকে আমাদের কিছুটা পানির চাহিদা মেটায়। এমন না যে, এই তরল জাতীয় খাবার খেলে আমাদের আর পানি পান করতে হবে না। ব্যক্তিভেদে পানির চাহিদা ভিন্ন হয়,আপনি যদি রোদের মাঝে কাজ করেন তাহলে আপনার শরীরর থেকে অনেক ঘাম ক্ষয় হয় তার জন্য আপনার থেকে বেশি পানি পান করতে হবে। আবার আপনি যদি এসি রুমে বসে কাজ করেন তাহলে আপনার রোদে কাজ করার ব্যক্তির তুলনায় কম পানি লাগবে।
আমাদের শরীরে ভ্যাসোপ্রেসিন নামে একটা হরমোন আছে।এই হরমোন শরীরে তরলের ভারসাম্য রাখে কিডনি ।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক কত লিটার পানি পান করা উচিতএকজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ মিলিলিটার প্রসাৰ করে।
৫০০ মিলিলিটার প্রসাৰ এর জন্য একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রায় দৈনিক ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মিলিলিটার তরল খাবার খেতে হয়। অনেক মানুষ তরল খাবার না খায় অনলি পানি ২ বা ৩ হাজার মিলিলিটার শুধু পানিই পান করে থাকেন। অত্যাধিক পানি পান করা শরীরের জন্য ঝুঁকি। যদিও দৈনিক ৮ গ্লাস পানি পান করলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
কতক্ষণ পর পর পানি খাওয়া উচিত
১. ভারী খাবার খাওয়ার ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পানি পান করা ভালো। এতে হজম ঠিকমতো হয়।
২. ভাত খাওয়ার পর পর পানি খাওয়া টিক না এইটা বিজ্ঞানীদের মতামত।মানুষের শরীরে একটা গ্যাস্ট্রিক রস থাকে। ভারী খাবার এর পর পানি পান করলে এই রসটি ভালোমতো কাজ করতে পারে না।
৩. সব চাইতে ভালো খাবারের ২০ – ৩০ মিনিট আগে পানি পান করলে হজম শক্তি ভালো হয়।
৪. উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে স্ল্যানের আগে এক গ্লাস পানি পান করলে সবচেয়ে উত্তম।
৫. যখন আপনি পিপাসা অনুভব করবেন থকন পানি পান করুন।
৬. রাতের খাবারে সময় পানি পান করতে ভুলবেন না।
৭. ঘুম থেকে ওঠে এক গ্লাস পানি পান করলে সব চাইতে ভালো হয়।
৮. ঘুম থেকে ওঠে পানি পান করলে শরীরে সব অঙ্গ ভালো মতো সক্রিয় থাকে।
দৈনিক পানি পান করার নিয়ম
সুস্থ জীবনের জন্য পানির পান করা অপরিসীম ।সুস্থ জীবন যাপনের জন্য দৈনিক কতটুকো পানি পান করা যায় আগে আলোচনা করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিস অব সায়েন্সের গবেষকরা বলছেন , প্রতিটি খাবারের মাঝে পানি বিদ্যামান। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- তরমুজ, শসা ও স্ট্রবেরির মোট ওজনের ৯০ শতাংশই পানি। মানুষের পানি চাহিদার ২০ শতাংশই পূরণ হয় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে।
অনেকে মনে করে থাকেন, পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি (দুই লিটার) পান করা উচিত। আমেরিকার নারীরা দৈনিক খাবার থেকে গড়ে ২.৫ লিটার পানি গ্রহণ করে থাকে। কিছু গবেষক মনে করে থাকেন – মানুষের বয়স , ওজন দেহিক কাজকর্ম , ওজন নির্ভর করছে তার পানি চাহিদার পরিমাণ।
ঘামের সাথে যে পরিমান পানি দেহ থেকে বাহির হয় তা পর্ণ করতে এর চাইতে বেশি পানি পান করার দরকার। আপনার যদি পানি ঘাটতি থাকে তাহলে আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। আপনার পানি পিপাসা পাবে বেশি।
তাছাড়া আপনার প্রস্রাবের রং বলে দিবে পানি খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা বেশি পানি পান করলে বেশি প্রসব আসবে । যদি প্রস্রাবের রং হলুদ বা কমলা হয়ে আসে, তবে পানি পান করুন। আর দেহের ঘাম ঝরলে পানি পান করতে ভুলবেন না। পানির অপর নাম জীবন এন্ড পানির অপর নাম মরণ।
রাতে পানি খাওয়ার নিয়ম
ঘোমানোর আগে পানি পান করার অনেক সুবিধা আছে , ঘোমানোর আগে পানি পান করলে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। ডিহাইড্রেশনকী? আমরা অনেকেই পানিশূন্যতার কথা শুনেছি এইটা কে ডাক্তারি পরিভাষায় ডিহাইড্রেশন বলে থাকে। এটি হলো শরীরের পানিশূন্যতা বা পানির স্বল্পতার একটি অবস্থা। পানি কম পান করলে আমাদের শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়, রোগ বা পরিবেশগত উচ্চ তাপমাত্রার কারণেও শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে
এক গবেষনায় দেখা গেছে যে , যারা রাতে হাইড্রেটেড থাকে তারা ঘুমের আগে পানি পান করা এড়িয়ে চলে। তবে তারা সকালে বেশি শান্ত থাকে।
রাতে ঘোমানোর আগে হাইড্রেট করলে আপনার রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে । ঘুমানোর আগে পানি পান করা পেটের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করবে। এবং যদি আপনি এটিতে এক ড্যাশ লেবু যোগ করেন তবে এটি অলৌকিকভাবে আপনার কাশি এবং সর্দি নিরাময় করবে।
১. রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত এক গ্লাস পানি পান করা যেতে পারে।
২. অনেকে রাতে ব্যায়াম করে থাকে তাদের রাতে পানি বেশি পান করা উচিত।
৩. রাতে ভারী খাবার না খাওয়া , যদি ভারী খাবার খাওয়া হয় তাহলে একটু নিয়ম মতো পানি পান কর তে হবে।
৪. রাতে বেশি পানি পান করলে প্রসাব বেশি হবে.
আরও দেখতে পারেন:
৭ টি বিষয়ের উপর সফল ব্যাক্তিরা সময় নষ্ট করে না
ফ্রিল্যান্সিং কি?ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো (২০২৩ সালে)
নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় (৬ মাসে নিজেকে পরিবর্তন করুন)
সফলতা কি? মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ভিতরে লুকিয়ে থাকে সফলতা