হালাল ইনকাম এর জন্য কোন স্কিল সবচেয়ে ভাল
হালাল ইনকাম করা মুমিনের জন্য ফরজ হালাল ইনকাম এর জন্য কোন স্কিল সবচেয়ে ভাল হবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন।হালাল ইনকাম মানে বৈধ উপার্জন। বর্তমান সময়ে হালাল ইনকাম করা অনেক মুশকিল। আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে হালাল আয় করতে পারেন। আজকে এই পোস্টে এর মাধ্যমে হালাল ইনকাম করার জন্য কোন স্কিল প্রয়োজন সেটা শেয়ার করবো।
Table of Contents
প্রত্যেক মানুষের উচিত হালাল ইনকাম করা।আমরা অনেকে কনফিউজড হয়ে যায় হালাল ইনকাম কি? কি করে আমরা হালাল ইনকাম করতে পারি? হালাল ইনকাম এর জন্য কি আলাদা স্কিল শিখার প্রয়োজন আছে অনলাইনের। এসব প্রশ্ন যদি আপনার মাথয় ঘুরপাক করতে থাকে তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্ট থেকে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
হালাল ইনকাম কি?
সোজা কথায়া আল্লাহ ও রাসূলের দেখানো পথে যে অনুমোদিত পন্থায় যে উপার্জন করা হয়, সেটাই হালাল উপার্জন বা হালাল ইনকাম। হালাল উপার্জন সবার জন্যই কল্যাণকর।হালাল উপার্জন এবং হালাল উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অনলাইন হালাল ইনকাম করা যায়? হ্যা!অনলাইনে ও হালাল ইনকাম করা যায়। অনলাইন হলো একটি মাধ্যম, এখানে শিক্ষা, ব্যবসা বানিজ্য, চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে সব কাজই অনলাইনে করা যায়, আপনি কি কাজ করতে চান তা আগে ঠিক করুন। যদি অনলাইনের মাধ্যমে কি করে আয় করতে হয় জানা না থাকলে আমরা আপনাকে সহায়তা করবো। আপনি যে কাজই করুন না কেন আপনার কাজটি হারামের না হলে আপনি অনলাইন ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন আশা করি।
অনলাইনে অনেক কিছু হয় হারাম এবং হালাল। আপনি যদি অনলাইনে ক্যাসিনোর মতো কাজ করে টাকা আয় করেন তাহলে তো এটা হারামে ইনকাম হবে। আবার আপনি যদি অনলাইনে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলো সেটা তো হালাল হবে।
কেন আমরা হালাল ইনকাম করবো?
অনেকে মনে করে থাকেন।ইনকাম তো ইনকামই সেটা হালাল হোক বা হারাম। আসলে তা না। আপনি আগেই সিন্ধান্ত নেন কেন আপনি হালাল ইনকাম করবেন। কোন ধর্মগন্থ এটা পাবেন না যে হারাম ইনকাম করে, জীবিকা নির্বাহ করো। জীবিকার তাগিদে মানুষ অনেক কাজ করে থাকে। আপনি হারাম আয় করে সেটা আপনার স্ত্রী দের সাথে শেয়ার করে দেখুন। আপনার হারাম ইনকাম এর দায়ভার তারা নিবে কিনা।
তারা বলবে আমরা কেন আপনার হারামে এর দায় ভার নিবো। আপনি ইনকাম করেন আপনিই জানেন। কোন একদিন যদি আপনার প্রিয় স্ত্রী, আপনার কলিজার টুকরা সন্তান, আপনার মাথার তাজ পিতামাতা, আপনার স্নেহের ভাই-বোন যদি বলে উঠে তোমার উপার্জন অবৈধ, তোমার সাথে আমরা নেই কেমন লাগবে? তখন হয়তো আপনার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে। আপনি একটাই বলবেন এতো দিন কাদের জন্য কষ্ট করলাম, কেন করলাম এসব আপনার মাথায় ঘুরপাক করবে।
আপনাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তার কথা কি চিন্তা করেছেন। তিনি আপনাকে কেমন দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার নামাজ, রোজা, দান, সাদকা, এগুলোর কোনো মূল্যই তাঁর কাছে থাকবে না। আপনার হারাম ইনকাম এর জন্য আপনি একটি মহাশূন্যে পরিণত হয়ে যাবেন একদিন।
হালাল ইনকাম এর জন্য সবচেয়ে ভালো স্কিল গুলো কি? হালাল ইনকাম এর জন্য কোন স্কিল সবচেয়ে ভাল
অনলাইন ইনকাম করার জন্য কয়েকটি স্কিল প্রয়োজন তার মধ্যে কয়েকটি হলো।
১ ধৈর্য থাকা।
২ মেজর একটা ক্যাটাগরিতে অভিজ্ঞতা থাকা।
৩ কমিউনিকেশন ভালো থাকা
এই তিনটা স্কিল যদি আপনার থাকো তাহলে আপনি আজই অনলাইনে চলে আসুন। অনলাইনের আয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন ধৈর্য। অনলাইনের আয় করার জন্য আপনাকে ভালো মতো স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে আপনাকে শিখতে হবে। কি শিখবেন, কেন শিখবেন, কোথায় শিখবেন। শিখার কোন শেষ নেই। বর্তমান সময়ে ইউটিউব আছে ফ্রিতে শিখারা জন্য। ফ্রি রিসোর্স থাকতে ও আমরা শিখতে পারি না কারণ আমাদের শিখার আগ্রহ নেই তাই আমরা শিখতে পারি নহালাল আয়ের জন্য কয়েকটি মেজর স্কিল
১. গ্রাফিক্স ডিজাইন।
২. ডিজিটাল মার্কেটিং
৩. কনটেন্ট রাইটিং
৪. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
৫. Programme Language
৬. Software Development
৭. Web Development
৮. ব্লগিং
৯. Affiliate Marketing
১০. ইউটিউব
আপনি এই ১০ টি মেজর স্কিল থেকে ভালো মতো একটা শিখে আয় করতে পারবেন অনলাইন থেকে। দেখুন এই স্কিলের মধ্যে ও হালাল এবং হারাম আয়ের একটা সুযোগ রয়েছে। আপনি হালাল টাকে চয়েস করে আয় শুরু করতে পারেন।
১ গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক বড় ক্যাটাগরি। এখানে হালাল এবং হারাম আয়ের সুযোগ আছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন ২ টা সফটওয়ার নিয়ে কাজ বেশি করা হয়। Adobe Photographs & Adobe Illustrater এই সফটওয়্যার এর কাজ বেশি।আপনি যদি ফটোশপ নিয়ে কাজ করেন এখানে ও ভালো খারাপ মিশ্রিত আছে। ধরুন আপনি ব্যানার ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন। আপনার কাছে একটা পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ব্যানার এর একটা কাজ আসলো এটা আপনি করবেন কিনা।এই কাজটি করলে আপনার আয়টা হারাম এর দিকে চলে যাবে।
২ ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটা ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরি আন্ডারে SEO, SEM, SMM, কনটেন্ট রাইটিং সব কিছু আছে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয় করেন তাহলে আপনি করতে পারবেন। এখানে ও ভালো খারাপ সব কিছু আছে। কোন কাজ নেওয়ার আগে ভেবে করবেন কেন আমি এই কাজটি করবো।
৩ কনটেন্ট রাইটিংঃ এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আন্ডারে আসে। আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং করেন তাহলে আপনার থেকে অনেক কিছু খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে। আপনি যে ওয়েবসাইট বা ব্যাক্তির জন্য কনটেন্ট রাইটিং করতেছেন সেটা কি ভালো নাকি খারাপ দেখে করবেন। অনলাইনে অনেক ব্যাটিং সাইট আছে তাদের জন্য আপনি কাজ করলে তো এটা হারামে ইনকাম হবে।
৪ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো কোন সার্চ ইঞ্জিন কে অপটিমাইজেশন করা। যেমন গুগল একটা সার্চ ইঞ্জিন এই ইঞ্জিন এর জন্য কোন ওয়েবসাইট কে অপটিমাইজ করে গুগল ফ্রেন্ডলি করার নামই হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
৫ Porgramme Language: আমরা বিভিন্ন সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকি এগুলো কোন না কোন Porgramme Language তৈরি করা। আপনি যদি Porgramme Language এর আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি এটাকে ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে পারেন। Java, c, c+, c++ অনেকে প্রোগ্রামিং আছে যা আপনি ভালো মতো শিখে অনলাইনের ক্যারিয়ার করা যায়।
৬ Software Developmentঃ একটু আগে প্রোগ্রামিং নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পোগ্রামিং এর মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব এগুলো এককটা সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে একেকটা প্রোগ্রামিং ভাষার মাধ্যমে।
৭ Web Developmentঃ ওয়েব সাইট ডিজাইন হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। MsterBlog.Com হলো একটা ওয়েবসাইট এই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেছে কোন না কোন ডেভলপার। আপনি ১-১.৫ বছর সময় দিলে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট পুরোপুরি শিখতে পারবেন।
৮ ব্লগিংঃ এই পোস্ট টি আপনি পড়তেছেন এটা একটা ব্লগিং পোস্ট। এই পোস্ট এর আশেপাশে অনেক বিজ্ঞাপন দেখতেছেন এই বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে কিন্তু আমার আয় হচ্ছে। আপনার একটা প্রশ্ন ছিলো সেটা গুগলে সার্চ করেছেন। সেই প্রশ্নের উওর আমার ব্লগে লেখা ছিলো এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেন ভালো মতো করা হয়েছে বলে ওয়েবসাইট টা গুগলে Rank করতেছে।
৯. Affiliate Marketing: Affiliate Marketing করে খুব সহজে ইনকাম করা যায় ব্লগিং এর মাধমে। আপনি যদি ব্লগিং শুরু করেন তাহলে তার সাথে আপনি Affiliate Marketing কর তে পারবেন সহজে।
১০. ইউটিউব: বর্তমান সময়ে একটা youtube চ্যানেল থাকা এইটা স্বভাবিক একটা ব্যাপার। আপনি যদি কনটেন্ট তৈরী করতে পারেন তাহলে youtube আপনার জন্য বেস্ট অপশনটি হতে পারে।
কিভাবে অনলাইনে হালাল ইনকাম করা যায়?
অনলাইনে হালাল আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। এর ওপরে পোস্ট আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। ওপরে পোস্টটি আপনি ভালোমতো পড়লে আপনি একটা আইডিয়া পাবেন এখানে কয়েকটি ধারনা দেওয়া চেষ্টা করতেছি :
- ব্লগিং বা ওয়েবসাইট শুরু করুন: আপনি এমন একটি বিষয়ের উপর একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যা সম্পর্কে আপনি লেখতে বা কাজ করতে আগ্রহী। এমন একটা ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে গুগল বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পনসর পোস্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন৷
2, অনলাইনে পণ্য বিক্রি করুন: আপনি Etsy, eBay এবং Amazon-এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বা আপনার নিজের অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনে প্রোডাক্ট করতে আপনার জন্য এই প্লাটফ্রম গুলো বেস্ট হতে পারে। আপনি চীন থেকে আলিবাবার মাধ্যমে কেনো প্রোডাক্ট এনে সেটা Etsy, eBay এবং Amazon এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। যদি বাংলাদেশ করতে চান তাহলে দারাজ এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
3. কোচিং পরিষেবা অফার করুন: আপনার যদি কোনও বিশেষ দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি Upwork, Fiverr, বা LinkedIn এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে কোচিং পরিষেবা অফার করতে পারেন।অনলাইন কোর্স তৈরি করুন: আপনি Udemy, Skillshare বা Teachable এর মত প্ল্যাটফর্মে অনলাইন কোর্স তৈরি এবং বিক্রি করতে পারেন।
অনলাইন হালাল কিংবা হারাম অনেক ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি সবসময় মনে রাখবেন অনলাইনে ইনকাম করার জন্য অন্য যেকোনো ধরনের ব্যবসার মতোই নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন বেশি হয় না তবে এই খানে আপনার থেকে ধের্য থাকতে হবে। অনলাইন ইনকাম করতে আপনার থেকে ফলাফল দেখতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতার সাথে অনলাইনে হালাল আয় করা সম্ভব।
আরও দেখতে পারেন:
যদি সফলতা পেতে চান এই 3 টি Skills শিখুন
৭ টি উপায়ে ২০২৩ সালে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করুন: সঠিক উপায়ে!
ফেসবুক থেকে আয় | ৭টি উপায়ে ফেইসবুক থেকে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং কি?ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো (২০২৩ সালে)