জীবন বদলে দেওয়ার মতো গল্প – msterblog
জীবন মানে হলো সংগ্রাম। এই জীবনে অনেক কিছু দেখতে হবে এবং অনেক কিছু সহ্য করতে হবে। আজকে আপনাদেরকে জীবন বদলে দেওয়ার মতো গল্প শেয়ার করবো যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করবে।
আমরা পরিবর্তন হতে বেশি ভয় পায়। আমরা মনে করি পরিবর্তন হলে অনেক কিছু সমস্যা হবে। তাই আমরা নিজেদেরকে পরিবর্তন এর দিকো নিয়ে যেতে চাই না বা পরিবর্তন এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
মানুষ মানে হলো অটো পাইলটস, যদি অটোপাইলট না হলে সারাজীবন একটা চাকরি নিয়ে, একটা গাড়ি নিয়ে মানুষ কি করে জীবন কাটাতে পারে।
আমরা আমাদের চারপাশে তাকাই তখন আমরা নিজেদেরকে নতুন সম্ভাবনা এবং নতুন সুযোগের জন্য উন্মুক্ত করি এবং ভয়কে দূর করতে পারি।” এটি সাধারণত, ভয় বা ভয়ের শক্তি। এটি আমাদের আসলে যা করতে হবে এবং পরিবর্তন করতে হবে তার চেয়েও বড়। যদি নিজেকে পরিবর্তন এর দিকে নিয়ে যেতে চান তাহলে এই অনুপ্রেরণা মূলক গল্প যা আপনাকে সাহায্যে করবে। এই মোটিভেশনাল স্টোরি গুলো আপনাকে প্রমাণ করবে যে আপনার জীবন পরিবর্তন করতে আপনার বয়স বেশি হয়নি বা এখনো দেরি হয় নাই। আপনি যেখানে আছেন সেখান থেকে শুরু করতে পারেন।
জেইম কোকার রবিনসন JAIME COKER ROBINSON
আমরা একটা চাকরিতে খুশি।আমরা এটা ভাবিনা আমি যে চাকরি করি সেটা যদি চলে যায় তাহলো আমার কি হবে? জেইম কোকার রবিনসন হলো এমন এক ব্যক্তি ৫৩ বছর বয়সে তার চাকরি চলে যায়। এই ৫৩ বছর বয়সে, সে চাইলো ও অন্যন্য কোম্পানি তে চাকরি করতে পারবে না। তার পক্ষে সম্ভব হবে না কারণ তার বয়স ৫৩ বছর হয়ে গেছিলো। সে তার চাকরি চলে যাওয়ার পরেই নিজের একটা রেস্টুরেন্টে চালু করেছিল।
“৫৩ বছর বয়সে চেইনের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট চাকরি চলে যাওয়ার পর, ৫৪ বছর বয়সে নিজেই রেস্টুরেন্টে এর মালিক হন”
জেইম কোকার রবিনসন
“যখন রবিনসন একটি চেইন রেস্তোরাঁর সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদ থেকে 53 বছর বয়সে তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়।সে অনুভব করতে পারে তার চাকরি না ব্যবসা করা উচিত চিলো। এই বয়সে তাঁর চাকরি চলে গেছে,সে নতুন চাকরির জন্য আরও অনেক সংগ্রাম করতে হতো। বুড়ো বয়সে চাকরি চলে গেলে চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন এমনকি চাকরি নাও হতে পারে। রবিনসন এর স্বপ্ন ছিলো সে একদিন রেস্তোরাঁর মালিক হবে। রেস্তোরাঁ মালিক হওয়ার এতো সহজ কথা নই,রবিনসন যখন ভেঙে পড়ে তাঁকে সহোযোগিতা করেছিলো তার স্ত্রী।তাঁর স্ত্রী বলেছিলো তোমার এখন স্বপ্ন পূরণ এর সময়। তুমি নিজেই একটা রেস্তোরাঁ খুলে ফেলো।
তাঁর স্ত্রীর কথা মতো সে রেস্তোরাঁ ওপেন করার জন্য চিন্তা ভাবনা শুরু করলো। সে জানতো এতো সহজ হবে না তার জন্য এই কাজটিবকরার জন্য। জীবনে অনেক বাঁধা আসবে এই বাঁধা গুলো আপনাকে পাড়ি জমাতে হবে। রবিনসন রেস্তোরাঁ ওপেন করার জন্য, এমন একটি ক্যােফ খুঁজতে ছিলো। যে ক্যাফেটি লসের মধ্যে আছে , রবিনসন জনাতো কি করে একটি রেস্তোরাঁ পরিচালনা করতে হতো। অনেকো খোঁজাখুঁজি পর সে একটা ক্যাফে খুঁজে পেলো যে ক্যাফে মালিক তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না তাঁর বর্তমান ক্যাফে টি পরিচালনা করা । ওই ক্যাফের মালিক এতোটা লসে ছিলো, সে বাজার মূল্যার চাইতে কম ইজারা দিতে প্রস্তুত ছিলো।
রবিনসন অনেক খুশি হয়েিছিলো তার বাড়ির আশেপাশে একটা কম দামের ক্যাফে খুঁজে পেয়েছিলো। আমেরিকার মতো একটা দেশে ক্যাফে চালু করা এতোটা সহজ না, যদি আপনার কাছে টাকা পয়সা না থাকে। সে তাঁর বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনদের থেকে টাকা ধার নিয়ে তার স্বপ্নের ক্যাফে চালু করেছে।
সে এই ক্যাফের না পরিবর্তন করে ব্ল্যাক ডগ কফি রেখেছে। এবং, মেনু, রেসিপি এবং ক্যাফের ডিজাইন সব তাঁর স্ত্রী করে দিয়েছিল।
চাকরি চলে যাওয়ার পর চাকরি করতে আগ্রহি না হয়ে সে তাঁর স্বপ্নের ক্যাফে ব্ল্যাক ডগ কফি চালু করেছে। আপনি কি করতে চান সেটা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান তাবে শুরু করতে পারতেছেন না তাহলে আপনি Uddin dot com dot bd আপনার ব্যবসার সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট এর নোটিফিকেশন চালু করে দিন অথবা আপনার ইমেল আমাদের সাথে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
জীবন বদলে দেওয়ার মতো মোটিভেশনাল ছোট গল্প
দুর্বল মস্তিষ্ক উন্নত করার উপায়ঃদুর্বল মস্তিষ্ক উন্নয়নের জন্য সঠিক পরিচর্যা
যদি সফলতা পেতে চান এই 3 টি SKILLS শিখুন