মার্কেটিং-এর কিছু বই যা পড়া উচিত উদ্যোক্তাদের,দিন বদলাচ্ছে সেই সাথে বদলাচ্ছে আমাদের চিন্তাধারা। দিন দিন বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে আর গ্রাহকরা হাতে পাচ্ছে অনেক অপশন, বাছাই করার সুযোগ। তাহলে আপনার প্রোডাক্টই গ্রাহকে কেন কিনবে? কিংবা আপনি আপনার প্রোডাক্টকে বাজারজাত করার জন্য যে পন্থা অবলম্বন করছেন সেটা কি যথেষ্ট ফল্প্রসূ ? আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটাজির ফলে কাস্টমার বিরক্ত হচ্ছে নাত? আরও দেখতে পারেন ৭ টি বিষয়ের উপর সফল ব্যাক্তিরা সময় নষ্ট করে না
এমনি সব প্রশ্নের উত্তর ,সেই সাথে মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি জানতে পড়ে ফেলুন নীচের বইগুলো।নীচের লিস্টটিতে সম্প্রতি প্রকাশিত বই সমূহই রাখা হয়েছে তার কারন দিন দিন ব্যাবসার ক্ষেত্র বাড়ছে সেই সাথে পাল্টাচ্ছে বৈশ্বিক বাজারের নিয়ম কানুনও যদি সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে চান তবে আপডেট নিউজ ও নতুন নতুন ব্যবসার স্ট্র্যাটাজি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে।তাহলে চলুন ঘুরে আসা যাক বইয়ের দুনিয়া থেকে-
বইটি লেখা হয়েছে মূলত আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানিকে ফোকাস করে ।প্রাণ,আরফএল,গ্লোব ,আকিজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কেমন? বিকাশ,রকেট,নগদ এদের উথান-পতন । হালাল মার্কেটিং কি? গেরিলা মার্কেটিং কি ? এসব জিনিষ সেখাতে লেখক বিভিন্ন কেসের উদাহরণ দেখিয়েছেন ।সে সাথে কেইস স্টাডির উল্লেখতো আছেই। মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয়?
১৯৯৯ সালে পুরো ঢাকা ছেয়ে গেছিলো “১০০% হালাল সাবান” এই বিজ্ঞাপনে।সেই সময় তারা দখল করে নিয়েছিল ১৪ ভাগ মার্কেট শেয়ার।কেন এত বিক্রি বেড়ে গিয়েছিল? এই হালাল বিজ্ঞাপনের চক্কর কি? জানতে এখনই পড়ে ফেলুন বইটি।
বইয়ের নাম শুনেই হয়তো বুঝতে পারছেন বইটি কি নিয়ে হতে পারে। পাবলিক ইমোশন কাজে লাগিয়ে কিভাবে তা ব্যবসার প্রসারে কাজে লাগানো যায় সে সম্পর্কে বলেছেন তিনি। সম্প্রতি সানসিল্কের ” সানসিল্ক হিজাব ফ্রেশ” শ্যাম্পুর এড দেখানো হচ্ছে টিভিতে।
এই বিজ্ঞাপনটি মূলত মুসলিম নারীদের টার্গেট করে বানানো সেই সাথে রয়েছে কিছু ধর্মীয় আবেগের ব্যাপার স্যাপার। এরকমই কিছু ঘটনার উল্লেখ করে লেখক বুঝিয়েছেন ইমোশনাল মার্কেটিং কি? এটি কিভাবে কাজ করে।
বইটি চারটি অংশে লেখা হয়েছে । প্রথম অংশে দেখানো হয়েছে ইমোশনাল মার্কেটিং কি? দ্বিতীয় অংশে ইমোশনাল মার্কেটিং এ ইমোজির ব্যবহার।তৃতীয় অংশে চারটি কেস স্টাডি করা হয়েছে আর শেষ পর্বে গিয়ে ফেসবুকে কিভাবে ইমোশনাল মার্কেটিং করতে হয় সে সম্পর্কে জানিয়েছেন । তাই ইমোশনাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা পেতে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি।
আরও দেখতে পারেন ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন | ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
বইটির লেখক ইউলিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনিস্টারের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক। কিন্তু বইটিতে তিনি জটিল কোন তত্ত্বে যান নি।খুবই সহজ সরল ভাষায় ১০০টি মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং সম্পর্কে আইডিয়া দিয়েছেন। বইটির অনুবাদ ও যথেষ্ট ঝরঝরে । বিশ্বের নামিদামী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করেছেন লেখক এবং শেষে আমরাও নিজেদের প্রোডাক্টের জন্য সেটি কিভাবে ব্যবহার করতে পারি সে সম্পর্কে বলেছেন ।
বিএমডব্লিউ, ভক্সওয়াগন , ডিএইচএল ইত্যাদি কোম্পানির বিভিন্ন কেইস স্টাডি করা হয়েছে সে থেকে কোন আইডিয়া কার্যকরি হবে তা নিয়ে কথা বলা হয়েছে বইটিতে ।তাই বিভিন্ন কোম্পানি কোন ধরনের স্ট্র্যাটেজি ফলো করে তা জানতে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি।
বইটির লেখক নিজেই একজন মার্কেটার।মার্কেটিং এ পড়াশোনা শেষে কাজ শুরু করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত “নেসলে” কোম্পানিতে।এরপর পর্যায়ক্রমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, প্রাণ,এসিআই হয়ে বর্তমানে কাজ করছে “ডানো দুধের” মাদার কোম্পানি ডেনমার্কের অরলা ফুডসের হেড অফ মার্কেটিং হিসেবে। বইটি তিনি লিখেছেন নিজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে।
বইটিতে মোট ২১টি লেখা আছে , সবগুলো লেখাই তিনি লিখেছেন তার দেড় যুগের বেশি মার্কেটিং-এর অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে। কোন জিনিষ গুলো আপাত দৃষ্টিতে সঠিক মনে হলেও আসলে মার্কেটিং এর জন্য ক্ষতিকারক, কোন জিনিষ করা উচিত করা উচিত কোন জিনিষ নয় মূলত এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে। বিখ্যাত বইয়ের তালিকা যেসব একবার হলেও পড়া উচিত
যেমনঃ মোবাইলে কলে প্রডাক্ট সম্পর্কে জানানো বর্তমানে বহুল পরিচিত একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কিন্তু সেই জিনিষই পাবলিকের বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়াবে যখন অসময়ে বা কাস্টমার যখন ব্যস্ত থাকে সেই সময়ে কল দিলে। তাই আমদের সঠিক সময় নির্ধারন করা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এমনি বিভিন্ন টিপস নিয়ে ঠিক বেঠিক মার্কেটিং বইটা লেখা হয়েছে।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে বাড়ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সংখ্যা। তাদের প্রধান টার্গেট থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো । সেই সাথে আজকাল মানুষ সারাদিনের একটা বড় অংশই পার করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমনঃ ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম,টুইটার ইত্যাদিতে।তাই মার্কেটিং জগতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা থাকা আবশ্যক। আরও দেখতে পারেন স্টিভ জবসঃ কলেজ ড্রপ আউট থেকে বিলিয়নিয়ার (মোটিভেশনাল স্টোরি)
আরিফুল ইসলামের এই বইটি পাঠকের কাছে অনেক সমাদৃত হয়েছে। বইটিতে আছে ফেসবুক অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে ,ফেসবুক অ্যাড কিভাবে কাজ করে,কিভাবে এর খরচ নির্ধারণ হয়,কিভাবে পেইজ ম্যানেজ করতে হয়, বিভিন্ন মার্কেটিং টিপস সহ আরো অনেক কিছু। তাই ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে এই বইটি পড়ে ফেলতে পারেন নিঃসন্দেহে।