ফেসবুক থেকে আয় | ৭টি উপায়ে ফেইসবুক থেকে টাকা ইনকাম
সেরা উপায়ে ফেইসবুক থেকে টাকা ইনকাম।ফেইসবুক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং #১ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্ম। সবাই চাই ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।সময়ে অসময়ে হয়ে ওঠে না ফেইসবুক থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা।
অনেকে ফেইসবুক ব্যবহার করে আড্ডা দেওয়ার জন্য, আবার অনেক ফেইসবুক ব্যবহার করে আয় করার জন্য । আবার অনেক মানুষ আছে ফেইসবুক আসক্তি হয়ে পড়েছে ফেইসবুক তাদের নেশায় পরিণত হয়েছে শুধুমাত্র অন্যর পোস্ট কমেন্টে লাইক এবং নিউজ ফিড দেখে দেখে।
অনেকে চাই এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে কিন্তু কারণে অকারণে পারে না বা হয়ে ওঠে না।
প্রত্যাক জিনিসের ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে । ফেইসবুকে শুধু সময় অপচয় হয় যেমন ঠিক, ফেইসবুকের মাধ্যমে অনেক ভালো কাজ ও করা সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সময়ে।
যেমনঃ কোন মানুষ হারিয়ে গেলে বা অজ্ঞতনামা কোন ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেলে ফেইসবুক শেয়ারের মাধ্যমে তার পরিচয় পাওয়া যায় এছাড়াও আরও আছে রক্ত দান খুব বড় একটা মহৎপ্রাণ কাজ। এক ব্যাগ রক্তের জন্য মানুষের জীবন বেঁচে যাচ্ছে যারা এমন মহৎ কাজের সাথে জড়িয়ে আছে তাদেরকে জানাই মন থেকে সালাম।
কি করে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়?
ফেসবুক থেকে আয় করার অনেক উপায় আছে। অনেক ই-কমার্স থেকে আয় করে আবার অনেকে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করে থাকে। আবার অনেকে influencer হিসাবে আয় করে থাকে। আপনাদের সাথে ৭টি বিষয় নিয়ে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় শেয়ার করেছি।
এই পোস্টটি ভালো মতো পড়লে আপনি ফেসবুক থেকে আয় সম্পর্কে খুটিনাটি সব জেনে যাবেন।
আজকে আমাদের আলোচনার মূল টপিক হলো ফেইসবুক থেকে কি করে আয় করা যায়। ৭টি টপিক নিয়ে আলোচনা করবো ফেইসবুক থেকে আয় উপায় নিয়ে। ফেসবুক থেকে এক্টিভ এবং প্যাসিভ আয় দুইটো একসাথে করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহত সোশ্যাল মিডিয়ায় হলো ফেইসবুক টপ ৩ এর মধ্যে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করা হয়। আজকে ফেইসবুকের কল্যাণে দেশ- বিদেশে মানুষের সাথে খুব সহজে বন্ধুত্ব করা যাচ্ছে।
এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ফেইসবুক থেকে খুব সহজে আয় করতে পারেন। আসলে সহজ বলতে কোন কাজ নেই আপনার পরিশ্রমের উপর ভিত্তিতে আপনি আয় করতে পারবেন।
আপনি যে কাজই করেন না কেনও আপনি যদি আপনার কাজে সেরাটা দিতে না পারেন তাহলে আপনি সেই কাজটি ভালো মতো করতে পারবেন না। আপনি যদি ফেইসবুক কে প্রফেশনালি ভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে ফেইসবুক আপনাকে বড় একটা আয়ের সুযোগ করে দিবে।
আমাদের দৈন্দিন জীবনে মোটিভেশন এর বিকল্প নেই। আপনারা নিজেকে মোটিভেট রাখতে আমাদেরকে এই পোস্ট গুলো দেখতে পারেন।
অনেকে মনে করে থাকে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিতে জানি, ফেইসবুকের বিভিন্ন সেটিংস এর খুটিনাটি জানি,অন্যর পোস্ট কমেন্টে করে উৎসাহ পাওয়া, বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারা এগুলো কে ফেইসবুক দক্ষতা মনে করে থাকে আসলে এগুলো কোন দক্ষতা না। নিচের দক্ষতা গুলো অর্জন করুন ।
ফেসবুক থেকে আয় করার ৭টি উপায়?
এফ-কমার্স।
মার্কেটপ্লেস।
ফাইবারের গিগ বিক্রি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
লোকাল ব্যবসা।
গুগল এডসেন্স।
নিজের দক্ষতা।
এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ফেইসবুক থেকে খুব সহজে আয় করতে পারেন।
১। এফ-কমার্স?
এফ-কমার্স হলো ফেইসবুক-কমার্স এটা হলো মূল চাবিকাঠি ফেইসবুক থেকে আয় করার জন্য। ফেইসবুক থেকে আয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটা ফেইসবুক পেইজ, এই পেইজ থেকে আপনি যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে পারবেবন।
ফেইসবুক পেইজ থেকে আপনি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। প্রতিনিয়ত আমরা ফেইসবুকে দেখে থাকি আমাদের নিউজ ফিড বিভিন্ন পণ্যের স্পন্সর পোস্ট আমাদের সামনে এসে থাকে ৪০% অফ এই পণ্যের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির শার্ট, মেয়েদের ড্রেস, বিভিন্ন গিফট আইটেম ইত্যাদি।
আমাদের নিউজ ফিড চলে আসে আমাদের পছন্দ হলে আমরা ক্রয় করে থাকি এইটা হলো ই-কমার্স ব্যবসা। এটা করতে আপনাকে কিছু পণ্যের জন্য ইনভেস্ট করতে হবে। প্রোডাক্ট মার্কেটিং জন্য কিছু ইনভেস্ট করতে হবে শুরু দিকে ফ্রিতে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রোডাক্ট ডেলিভারি এবং ভালো কোয়ালিটি প্রোডাক্ট ডেলিভারি করা।
ভালো প্রোডাক্ট হলে আপনার কাছে সেই কাস্টমার আবার আসবে ক্রয় করার জন্য। মনে রাখবেন আপনার ব্যবসাটি লং টাইমের জন্য হওয়া উচিত। এই ই-কমার্স থেকে আপনার ইনভেস্ট এবং মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বাংলাদেশ থেকে।
অনেক মানুষ করতেছে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। করোনা কালিন লকডাউনের সময় সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো ই-কমার্স ব্যবসায়িরা। মানুষ এখন সবকিছু অনলাইনে অর্ডার করতে চাই। এখনই আপনি ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শুরু করতে পারেন ।
২। মার্কেটপ্লেসঃ
মার্কেটপ্লেস বলতে কাজ করার জায়গাকে বুঝানো হয়।এই মার্কেটপ্লেসে সব ধরনের কাজ পাওয়ার যায়। কাজ করতে হলে নিজেকে দক্ষ এবং নিজেকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আয় করা। ফেইসবুক সবচেয়ে বড় একটা মার্কেট প্লাটফর্ম হয়েছে। এই প্লাটফর্মে নিজেকে কাজে লাগাতে পারলে অনায়াসে ৩০-৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
কি করে দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করবেন তাহলে পুরো পোস্ট পড়ুন অনায়াসে বুঝতে পারবেন। মনে রাখবেন ফেইসবুক পেইজে লাইক বাড়ানো মানে ফেইসবুক মার্কেটিং না।ফেইসবুক থেকে কোন পণ্য সেল করা হলো মার্কেটিং এর মূল অংশ। যদি আপনি সেল তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনার মার্কেটিং ভালো হচ্ছে না বুঝে নিতে হবে।
ফেইসবুকে ঠিকে থাকতে হলে আপনাকে অবশ্য আপনার পেইজকে ভালোমতো সাজাতে হবে। রেগুলার কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে, আপনার টার্গেটেট অডিয়েন্সের কাছে গিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হবে। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কি করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করবেন সেটা বিস্তারিত ভাবে পরবর্তী টপিক আলোচনা করিতেছি।
৩। ফাইবারের গিগ বিক্রি:
ফ্রিল্যান্সিং অনেক কাজ কিন্তু ফেইসবুক পাওয়া যায়। অনেক ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করায় না সরাসরি তাদের ফেইসবুক জব পোস্ট করে থাকে।
আপনার একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে বা নিজের ব্যাক্তিগত প্রোফাইল থেকে এই কাজ খুব সহজে করতে পারবেন। প্রথমে আপনার ফেইসবুক পেইজ বা ব্যাক্তিগত প্রোফাইল কে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিন।
একটা প্রোফেশনাল লোগো বা প্রোফাইল পিকচার ভালো মানের ফেইসবুক কভার ফটো, পেইজ ডিসক্রিপটশন ইত্যাদি। অবশ্যই আপনার লোগো এবং কভার ফটো একজন ভালো ডিজাইনারকে দিয়ে করিয়ে নিবেন। মনে রাখবেন আপনার ব্যান্ডিং হলো মূল বিষয় ব্যান্ডিং খারাপ হলে আপনাকে কেউ কাজ দিতে চাইবে না।
এগুলো করার পরে আপনার পেইজে বা ব্যাক্তিগত প্রোফাইল আপনার নিশ রিলেটেড কনটেন্ট শেয়ার করুন।
মনে করুন, আপনি SEO সার্ভিস দিবেন আপনার পেইজ থেকে আপনার ফেইসবুক পেইজে প্রতিদিন ৩টি কন্টেন্ট শেয়ার করুন। একটা টেক্সট কনটেন্ট, আরেকটা ইমেজ কন্টেন্ট, আরেকটা আপনার সার্ভিস রিলেটেড পোস্ট।
আপনার সার্ভিস সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে যদি না জানান তাহলে কেউ বুঝবেনা আপনি কি বিক্রি করতেছেন। আপনার আশেপাশে মানুষকে আপনার সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন। বাংলাদেশের পেক্ষাপটে এটা অনেক কষ্ট কর।
তবে এটা আমেরিকা বা ইউরোপ কান্ট্রি তে খুব সহজে করা যায়। একদিন বাংলাদেশ ও এমন কাজ হবে দুনিয়ায় হচ্ছে ডিজিটাল যখন বাংলাদেশর লোকাল ব্যবসা ডিজিটাল করে নিবে তখন একজন Seo স্পেশিয়ালিস্ট বা বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হবে।
চেষ্টা করুন আপনার ওয়েবসাইট ডোমেইন নাম এবং ফেইসবুক পেইজে ইউজার নাম যেন এক হয়। যদি এক রাখতে পারেন আপনাকে খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে অনলাইনে এবং আপনার প্রতি একটা বিশ্বাস স্থাপন হবে।
আপনি যদি কাউকে আপনার সার্ভিস সেল করে দিয়ে থাকেন তাহলে তাদের থেকে ফিডব্যাক নিন আপনার সার্ভিস সম্পর্কে। চেষ্টা করুন যদি কাজ পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্লায়েন্ট এর কাজটাকে ভালো মতো করে দিতে।
৪। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
অনলাইন আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেম এর মাধ্যমে আপনার রেফারেন্স কোন ওয়েবসাইট থেকে কেউ পণ্য ক্রয় করলে সেই রেফারেন্স থেকে ছোট একটা কমিশন আপনাকে দেওয়া হবে।
সোজা সুজি বলতে গেলে আপনার মাধ্যমে কেউ পণ্য ক্রয় করলো যে বিক্রি করেছে সে তো লাভবান হলো আপনার মাধ্যমে। তার লাভের কিছু অংশ আপনাকে দেওয়া হবে আপনার রেফারেন্স ক্রয় করেছে বিদায়।
বর্তমান সময়ে ফেইসবুক থেকে টাকা ইনকামের সবচেয়ে ভালো মাধ্যমে হলো অফ্যালিয়েট মার্কেটিং।
এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে প্রতিমাসে লক্ষধিক টাকা আয় করা সম্ভব বাংলাদেশ থেকে।অনেকে ফেসবুক পেইজ কে কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করতেছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কাটারে প্রথম চয়েস হলো ফেইসবুক, এই প্লাটফর্ম থেকে অডিয়েন্স নিয়ে সেল জেনারেট করা। আপনি ফেইসবুক থেকে ফ্রিতে এবং টাকা খরচ করে উভয় ভাবে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট বা আপনার Landing পেইজে।
যে পেইজ থেকে আপনি আপনার কাস্টমারকে সরাসরি প্রোডাক্ট সেল করার জন্য নিয়ে যাবেন। এগুলো করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটা ভালো মানের ফেইসবুক পেইজ।
একটা ওয়েবসাইট বা লেন্ডিং পেইজ যারা মাধ্যমে আপনি সেল জেনারেট করতে পারবেন। হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে লেন্ডিং পেইজ কি এটার উওর একদম নিচে পেয়ে যাবেন।
৫।লোকাল ব্যবসা:
লোকাল ব্যবসার জন্য ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ তাদের ব্যবসাকে ফেইসবুক জন্য ব্যবহার করে না।
তবে একদিন করবে এখন করতেছে না। অনেকে লোকাল ব্যবসা ফেইসবুক নিয়ে এসেছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখে থাকি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিজ্ঞাপন ফেইসবুকে। আপনারা এই লোকাল ব্যবসা থেকে কি ভাবো আয় করতে পারবেন।
আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে স্কিল থাকে, আর আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানাজার নিয়ে নলেজ থেকে থাকে তাহলে এই লোকাল ব্যাবসায়িদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের ফেইসবুক পেইজে আপনি নিজেই হ্যান্ডেল করুন তার জন্য মান্থলি ব্যাসিক একটা টাকা এমাউন্ট নিন।
আপনাকে যা যা করতে হবে কন্টেন্ট তৈরি করার দক্ষতা থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানাজার হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগেই বলেছি ফেইসবুক পোস্ট করা, কমেন্ট করা এগুলো কোন দক্ষতা না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানাজারের দিন বা দিন চাহিদা বাড়তেছে লোকাল ব্যবসা বা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়।
মনে রাখবেন যত দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকবে তত দিন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানজারের চাহিদা থাকবে। আপনি চাইলে আপনার স্কিল কে লোকাল ব্যবসায় আনতে পারেন। অবশ্যই ৭ নং পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে বলেছি নিজের স্কিল বা দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে কি করে আয় করবেন।
৬। গুগল এডসেন্স:
আপনি যদি ব্লগিং শুরু করেন বা আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে। আপনি ফেইসবুক থেকে ট্রাফিক নিয়ে গিয়ে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে গুগলের পরে ফেইসবুক হলো ২য় সোর্স ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য । আপনার ব্লগ সাইট যত ট্রাফিক আসবে ততই গুগল দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স এর জন্য আপনার প্রয়োজন একটা ব্লগ সাইট, বাংলা ব্লগ সাইটে ও গুগল এডেসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। বর্তমানে বাংলা ব্লগারের সংখ্যা অনেক কম আপনি চাইলে বাংলা ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আপনার যদি লেখা লেখির শখ থাকে তাহলে ব্লগিং হবে আপনার প্রথম চয়েস। বাংলা বা ইংরেজিতে ব্লগিং শুরু করতে পারেন ফেসবুক কে কাজে লাগিয়ে একটা টাকা আয় করতে পারবেন।
৭।নিজের দক্ষতা:
নিজের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা হলো সবচেয়ে ভালো উপায়। দেখুন বর্তমান সময়ে ফেসবুকে অনেক কিছু হয়।নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফেইসবুক পেইজ থেকে আয় করা যায় বা ব্যাক্তিগত একাউন্ট থেকে ও আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন নিজেকে তৈরি করা। আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার না হয়ে ও কি করে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে আয় করবেন সেটা ও বলতে ছি।
প্রথমে আপনি ২-৩ জন গ্রাফিক্স ডিজাইনার সাথে যোগাযোগ করে রাখুন তাদের কাজের নমুনা গুলো সংগ্রহ করে নিন। তাদেরকে বলুন আপনি ক্লায়েন্ট নিয়ে আসবেন আপনারা কাজ করবেন সে কাজ থেকে আপনি ৪০% নিবেন যে ডিজাইন করবে তাকে ৬০% করে দিবেন। আপনি একজন ৩য় পক্ষ হয়ে কাজ করবেন।
এটা শুধু আপনি না হাজার হাজার মানুষ এটা করে থাকে। শুধু এটা ফেসবুকে না ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে গুলোতে হয়ে থাকে। আপনার যে স্কিল টা প্রয়োজন সেটা হলো কমিউনিকেশন স্কিল এই স্কিল থাকলে আপনি যেকোন কাজ খুব সহজে নিয়ে ডেলিভারি করতে পারবেন।
মনে রাখবেন মানুষ কথায় অনেক কিছু করা যায়,যার কমিউনিকেশন স্কিল ভালো তার কাছে ক্লায়েন্ট কাজ দিবে এবং রিটার্ন আসবে। অবশ্যই আপনি যে ডিজাইনারকে দিয়ে কাজ করাবেন তার স্কিল ভালো হতে হবে।তাঁকে ক্লায়েন্ট রিভিশন দিয়ে কাজ করার সামার্থ থাকতে হবে।
শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইন না, আপনি যে কোন স্কিলে কাজ করতে পারবেন তার জন্য আপনার সাধারণ নলেজ থাকতে হবে আর কমিউনিকেশন স্কিল থাকতে হবে ভালো।
ফেসবুক থেকে আয় করার আরেকটা উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য হয় একটা ব্লগ ওয়েবসাইট লাগবে না হয় একটা ফেসবুক পেইজ লাগবে।আজকে আপনাদের ফেসবুক পেইজ থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ও বলবো।
ফেসবুক পেইজে থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে ভালো মতো পেইজটি সেট-আপ করতে হবে। কি করে ফেসবুক পেইজ সেটআপ করতে হয় আগের পয়েন্ট বলে দিয়েছি তাই এখন বলতেছি না আর
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ফেসবুকে পেইজ থেকে খুব সহজে করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে ভালো একটা নিশ সিলেক্ট করতে হবে। মনে করুন আপনি Men shoes বা Men T-shirts এর অ্যাফিলিয়েট করবেন।
আপনি কোন লোকেশন এর জন্য এই অ্যাফিলিয়েট করবেন বাংলাদেশ এর জন্য নাকি আমেরিকা বা ইউরোপ কান্ট্রির জন্য করবেন সবচেয়ে ভালো হয় আমেরিকার বা ইউরোপ কান্ট্রি লোকদের জন্য করলে ভালো সেল পাবেন এবং আয় ও বেশি হবে।
আপনি পেইজ তৈরি করলেন আর সেল পাওয়া শুরু করবেন এটা ভাববেন না। আগে আপনার পেইজ কে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে দেখলে যেন মনে হয় আপনি নিজেই একজন প্রফেশনাল মার্কেটার বা ই-কমার্স ব্যবসায়ি।
তার জন্য আপনাকে ভালো ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। কন্টেন্ট হতে টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও এই তিন ধরনের কন্টেন্ট আপনার পেইজে শেয়ার করুন।
ইমেজ তৈরি করার জন্য Canva.com থেকে ফ্রিতে ভালো ভালো ইমেজ তৈরি করতে পারবেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর জন্য। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।
এই ট্রিক এই পযন্ত বাংলা কোন ব্লগে পাবেন না। হয়তো এই আর্টিকেল পাবলিশ এ পর অনেক ব্লগার এই পোস্টের নমুনা একটা আর্টিকেল পেলেও পেতে পারেন ।
তবে সবার আগে নতুন ক্রিয়েটিব আর্টিকেল এমস্টারব্লগে (Msterblog) সবার আগে পাবেন।
আপনাদেরকে যে ট্রিক বলেছি এগুলো সবই পরিক্ষিত এগুলো থেকে অনেক মানুষ আয় করতেছে এবং করবে। আপনারা কেন করবেন না বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করুন যাতে আপনার একটা শেয়ারের মাধ্যমে আপনার বন্ধু জানতে পারবে এই ব্লগ সম্পর্কে এই আয় সম্পর্কে। কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন কেমন লেগেছে, কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট জানান।
আপনার কাছে থাকা প্রশ্ন?
লেন্ডিং পেইজ কি ?
কোন ওয়েবসাইটে আপনি কোন পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপনের লিঙ্কে ক্লিক করার পর আপনার সামনে ওয়েবসাইটের যেই পেজটি আসবে তাকেই ল্যান্ডিং পেজ বলে। আপনার ভিজিটর আপনার সাইটে যে পেজে ল্যান্ড করবে সহজ কথায় সেটাই আপনার ল্যান্ডিং পেজ।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস কি?
ছোট বিক্রয়কারীদের সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে সংযুক্ত হতে দেওয়ার জন্য ফেসবুক মার্কেটপ্লেস একটি প্ল্যাটফর্ম। এফবি মার্কেটপ্লেসের পিছনে ধারণাটি হ’ল আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার অবস্থান নির্ধারণ করা এবং বেশ কয়েকটি আইটেম যা বর্তমানে আপনার অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে তা প্রদর্শন করা।
ফ্রিতে কি ফেসবুক কভার ফটো তৈরি করা যায়?
ফ্রিতে ফেসবুক কভার ফটো তৈরি করতে canva.com ব্যবহার করতে পারেন। নিজের মতো করে ফেসবুক কভার ফটো তৈরি করতে পারবেন।
ফ্রিতে কি লোগো ডিজাইন করা যায়?
অবশ্যই ফ্রিতে লোগো ডিজাইন করা যায়। তবে ফ্রিতে লোগো না করায় ভালো লোগো যেহেতু একটা ব্রান্ডিং তাই ফ্রিতে না করায় সবচেয়ে ভালো হয়।
আমি ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাই
Hay,Yusuf
অবশ্যই আপনি ফেসবুকে থেকে আয় করতে পারবেন। ফেসবুকে থেকে আয় করার জন্য আপনাকে কিছু স্কিল জানতে হবে, তাহলে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন। আমাদের ফেসবুকে থেকে আয় করার অনেক ব্লগ পোস্ট আছে সেগুলো দেখতে পারেন।